somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

স্বাধীনতার পর থেকে আমাদের দেশপ্রেমের সর্বশ্রেষ্ঠ উদাহরণ কোনটি?

২১ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৮:৫৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

এই প্রশ্নটার উত্তর আমি নিজে নিশ্চিত নই। তাই প্রশ্নটা আপনাদের কাছেই ছুঁড়ে দিচ্ছি।

মুক্তিযুদ্ধ আমাদের স্বাধীনতা সংগ্রাম। সেখানে দেশপ্রেম ছিল অস্তিত্বের পূর্বশর্ত। বাঁচার প্রশ্নেই মানুষ লড়েছিল। তাই মুক্তিযুদ্ধকে এই আলোচনার বাইরে রাখাই যুক্তিযুক্ত। কারণ সেখানে দেশপ্রেম কোনো “উদাহরণ” ছিল না, ছিল একমাত্র রাস্তা।

কিন্তু প্রশ্নটা হলো স্বাধীনতার পর?
১৯৭১–এর পর থেকে আজ পর্যন্ত কোন সময়টাকে আমরা সবচেয়ে বেশি দেশপ্রেমের সময় বলতে পারি? আদৌ কি এমন কোনো সময় ছিল? নাকি দেশপ্রেম সবসময়ই খণ্ডিত, অসম্পূর্ণ আর পরিস্থিতিনির্ভর ছিল? স্বাধীনতার পরপরই একটা সময় ছিল, যখন দেশপ্রেম মানে ছিল পুনর্গঠন। ধ্বংসস্তূপের ভেতর থেকে একটি রাষ্ট্র দাঁড় করানোর চেষ্টা। কিন্তু সেই দেশপ্রেম খুব দ্রুতই দুর্ভিক্ষ, রাজনৈতিক অস্থিরতা আর ক্ষমতার দ্বন্দ্বে ক্লান্ত হয়ে পড়ে।

এখানে প্রশ্ন ওঠে দেশপ্রেম কি তখন কমে গিয়েছিল? নাকি মানুষ শুধু বেঁচে থাকার লড়াইয়ে এতটাই ব্যস্ত ছিল যে দেশটা দূরের বিষয় হয়ে গিয়েছিল?

আশির দশকে আমরা দেখেছি স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলন। রাস্তায় নামা, মিছিল, গ্রেপ্তার, নির্যাতন। অনেকেই বলেন এই সময়টাই ছিল স্বাধীনতার পর সবচেয়ে শক্তিশালী দেশপ্রেমের প্রকাশ। কিন্তু সেটাকে কি আমরা দেশপ্রেম বলব, না কি গণতন্ত্রের জন্য লড়াই? নাকি দুটোই একসাথে? দেশপ্রেম কি রাষ্ট্রের পক্ষে দাঁড়ানো, নাকি রাষ্ট্রের ভুলের বিরুদ্ধে দাঁড়ানো?

১৯৯০–এর পর গণতন্ত্র এলো। কিন্তু তার সঙ্গে সঙ্গে কি দেশপ্রেম ব্যক্তিগত জীবনের পেছনে সরে গেল? মানুষ ব্যস্ত হলো চাকরি, ব্যবসা, বিদেশ যাওয়া, পরিবার নিয়ে। এই সময় থেকেই হয়তো দেশপ্রেম একটা উৎসবনির্ভর ব্যাপার হয়ে উঠল। ২৬ মার্চ, ১৬ ডিসেম্বর, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের পোস্ট, পতাকার ছবি। প্রশ্ন হলো দেশপ্রেম কি ক্যালেন্ডারের বিষয় হয়ে গেল?

বিদেশে গিয়ে দেশপ্রেম
মজার বিষয় হলো, অনেক সময় দেখা যায় দেশের বাইরে গেলে দেশপ্রেম বেড়ে যায়। দূরে গেলে পতাকা আরও উজ্জ্বল লাগে, দেশের গান আরও আবেগী শোনায়। কিন্তু এই দেশপ্রেম কি দায়িত্ববোধে রূপ নেয়? নাকি তা নস্টালজিয়ার মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকে?
দেশপ্রেম কি শুধু অনুভূতি, না কি আচরণ?

আমরা কি কখনো বদলেছি?
এখানে এসে প্রশ্নটা আরও নির্দিষ্ট হয়ে যায়। কথায়, আবেগে, স্লোগানে নয় - আচরণে। দেশকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য আমাদের সম্মিলিত আচরণে কি কখনো এমন কোনো পরিবর্তন দেখা গেছে, যাকে নির্দ্বিধায় দেশপ্রেম বলা যায়?
সর্বশেষ এডিট : ২১ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৮:৫৩
৩টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

অল্প পুঁজিতে অত্যন্ত লাভজনক একটি ব্যবসার সন্ধান, যে কেউ চাইলে শুরু করতে পারে

লিখেছেন জ্যাক স্মিথ, ২১ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৪:৩৫



কেউ একজন জানতে চেয়েছেন ১০/১২ লাখ টাকা বিনিয়োগ করে কিভাবে মাসে ১/২ লাখ টাকা ইনকাম করা যায়? বিষয়টা নিয়ে চিন্তা করে দেখলাম বাংলাদেশে ১০/১২ লাখ টাকা বিনিয়োগ করে... ...বাকিটুকু পড়ুন

সাজানো ভোটে বিএনপিকে সেনাবাহিনী আর আমলারা ক্ষমতায় আনতেছে। ভোট তো কেবল লোক দেখানো আনুষ্ঠানিকতা মাত্র।

লিখেছেন তানভির জুমার, ২১ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৮:২২



১০০% নিশ্চিত বিএনপি ক্ষমতায় আসছে, এবং আওয়ামী স্টাইলে ক্ষমতা চালাবে। সন্ত্রাসী লীগকে এই বিএনপিই আবার ফিরিয়ে আনবে।সেনাবাহিনী আর আমলাদের সাথে ডিল কমপ্লিট। সহসাই এই দেশে ন্যায়-ইনসাফ ফিরবে না। লুটপাট... ...বাকিটুকু পড়ুন

রাজনীতির পন্ডিত, ব্লগার তানভীর জুমারের পোষ্টটি পড়েন, জল্লাদ আসিফ মাহমুদ কি কি জানে!

লিখেছেন জেন একাত্তর, ২১ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৮:৪৯



সামুর রাজনীতির ডোডো পন্ডিত, ব্লগার তানভীর ১ খানা পোষ্ট প্রসব করেছেন; পোষ্টে বলছেন, ইউনুস ও পাকিসতানীদের জল্লাদ আসিফ মাহমুদ ধরণা করছে, "সেনাবাহিনী ও ব্যুরোক্রেটরা বিএনপি'কে... ...বাকিটুকু পড়ুন

নীল নকশার অন্ধকার রাত

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ২১ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১০:১৬


কায়রোর রাস্তায় তখন শীতের হিম হাওয়া বইছিল। রাত প্রায় সাড়ে এগারোটা। দুইটা বড় সংবাদপত্র অফিস: আল-আহরাম এবং আল-মাসরি আল-ইয়াউম—হঠাৎ করেই আগুনে জ্বলে উঠলো। কিন্তু এই আগুন কোনো সাধারণ দুর্ঘটনা... ...বাকিটুকু পড়ুন

আগুন যখন প্রশ্নকে পোড়াতে আসে

লিখেছেন এস.এম. আজাদ রহমান, ২২ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৪:৩২

আগুন যখন প্রশ্নকে পোড়াতে আসে[

স্বাধীন সাংবাদিকতার কণ্ঠরোধে রাষ্ট্রীয় ব্যর্থতা, মব-রাজনীতি ও এক ভয়ংকর নীরবতার ইতিহাস
চরম স্বৈরশাসন বা ফ্যাসিবাদী রাষ্ট্রেও সাধারণত সংবাদমাধ্যমের কার্যালয়ে আগুন দেওয়ার সাহস কেউ করে না। কারণ ক্ষমতা... ...বাকিটুকু পড়ুন

×