সকালবেলা এক যায়গাতে যাইতেছি, পকেটে ভাংতি স্বল্পতা দেখা দেওয়ায় টাকা ভাঙ্গানোর জন্য কেনাকাটা করিলাম। বিল হইছিলো ৯টাকা। আমি দোকানদ্বারকে ১০০টাকার নোট প্রদান করি, সে আমাকে ৯০টাকা+একখানা আলপিন চকলেট ধরাইয়া দিয়া বলিল "১টাকা ভাংতি নাই". টাকাগুলা বাম পকেটে আর চকলেট খানা ডান পকেটে রাখিয়া আমি আমার গন্তব্যে যাত্রা শুরু করলাম।
প্রথমে বাসে উঠিলাম। ভাড়া ৫টাকা, আমার কাছে ৫টাকা খুচরা নাই। আমি কন্ট্রাকটারকে ২খানা ২টাকার নোট আর আলপিন চকলেট খানা ধরাইয়া দিলাম। কন্ট্রাকটার কঠিন দৃষ্টিতে আমার দিকে তাকাইলো, আমি সহ্য করতে না পারিয়া একখানা ১০টাকার নোট প্রদান করিলাম, বিনিময়ে কন্ট্রাকটার ২খানা ২টাকার নোট দিয়া বলিল "১টাকা ভাঙ্গটি নাই"
ক্লাস শেষে কিছু লেকচারশিট ফটোকপি করিলাম, বিল আসিলো ২৩টাকা। আমি একখানা ২০ টাকা একখানা ২টাকা আর সেই আলপিন চকলেটখানা ফটোকপিওয়ালাকে ধরাইয়া দিলাম। ফটোকপিওয়ালা আমার দিকে তাহার কঠিন দৃষ্টি নিক্ষেপ করিলেন। আমি ভয় পাইয়া তাহাকে একটা ২০ আর একটা ১০টাকার নোট প্রদান করিলাম। ফটকপিওয়ালা আমাকে ৩ খানা ২ টাকার নোট প্রদান করিয়া বলিল "১টাকা ভাংতি নাই".
সন্ধা বেলা এলাকার মামার চায়ের দোকানে ছিলাম। ১কাপ চা আর কি কি সহ বিল হলো ১১ টাকা। আমি মামাকে ১খানা ১০টাকার নোট আর আলপিন চকলেট খানা দিয়া দিলাম। মামা একখানা হাসি দিয়া বলিল "চকলেট খাওয়ার বয়স কি আর আছে? লেন লেন, টেকা লেন" আমিও বুঝলাম যে চকলেট খাওয়ার বয়স আসলেই উনার নাই। আমি উহাকে আরো ২টাকা প্রদান করিলাম। মামা পুরো ১২টাকা গ্রহন করিয়া বলিল "১টাকা ভাংতি নাই।"
রাত্রিবেলা কাজ কর্ম শেষ করিয়া বাসায় ফিরিবার পথে মনে হইলো যে কিছু কেনাকাটা করা প্রয়োজন। সকালের সেই দোকান থেকে কেনাকাটা করিলাম। বিল আসিলো ৯ টাকা। আমি পকেটে তাকাইয়া দেখিলাম যে ৪খানা ২টাকার নোট আর ১ খানা ১০০ টাকা ছারা আর কিছুই অবশিষ্ট নাই। হঠাৎ করিয়া মাথায় বুদ্ধির উদয় হইলো। আমি দোকানওয়ালা কে ৪খানা ২টাকা আর সেই আলপিন চকলেটখানা প্রদান করিলাম। দোকানওয়ালা আমার দিকে কঠিন দৃষ্টি তে তাকাইলো। কিন্তু আমি এইবার আর ভয় না পাহিয়া বলিলাম "১টাকা ভাংতি নাই"