অস্ট্রেলিয়ার একজন পাঠক বইটি পড়ার পরে এক প্রতিক্রিয়ায় নিচের কথাগুলো বলেন, যা রিচার্ড ডকিন্স তার এই বইয়ের ৩০ তম প্রকাশনা সংস্করণের ভূমিকায় উল্লেখ করেছেন -
"...কিন্তু মাঝে মাঝে আমি ভাবি যদি বইটি পড়ার পর সেটি না-পড়ার মতো করে মুছে ফেলতে পারতাম। একটি স্তরে, আমি অনুভব করতে পারি বিস্ময়ের সেই অনুভূতিকে, যা ডকিন্স এত সুস্পষ্টভাবে দেখেছেন এইসব জটিল প্রক্রিয়াগুলোর সমাধান করতে গিয়ে। কিন্তু সেই একই সাথে, আমি অনেকাংশে 'দ্য সেলফিশ জিন'কেই এক দশকের বেশি সময় ধরে আমার বিষণ্ণতায় আক্রান্ত হবার সেই ধারাবাহিক পর্বগুলোর জন্য দায়ী করব। কখনোই জীবনের আধ্যাত্মিক দৃষ্টিভঙ্গির প্রতি আমি সুনিশ্চিত হতে পারিনি, কিন্তু চেষ্টা করেছি গভীর কোনোকিছু অনুসন্ধানের জন্য, কোনোকিছুর ওপর বিশ্বাস করার চেষ্টায়, কিন্তু কখনোই সেটি করে উঠতে পারিনি পুরোপুরি-আমি অনুভব করেছি যে এই বইটি এই ধরনের কোনো চিন্তাধারা অনুসরণের সব অস্পষ্ট ধারণাই বাতাসে উড়িয়ে দিয়েছে, তাদের কখনোই আর আমার মনে জমাট বাঁধতে দেয়নি। এটি কয়েক বছর আগে আমার জীবনের একটি ভয়ংকর ব্যক্তিগত সমস্যার কারণ হয়েছিল।"
এই একই সংস্করণের ভূমিকায় ডকিন্স আরও বলেন - "আমার বইয়ের একজন বিদেশি প্রকাশক স্বীকার করেছিলেন, এই বইটি পড়ার পর তিনি তিন রাত ঘুমাতে পারেননি; তার মতে বইটির শীতল, নৈরাশ্যবাদী বার্তায় তিনি এতটাই অস্থির হয়েছিলেন। অন্যরা আমাকে জিজ্ঞাসা করেছে কীভাবে আমি সকালে ঘুম থেকে জেগে ওঠার মতো কাজটি সহ্য করি। অনেক দূরের একটি দেশের এক শিক্ষক আমাকে তিরস্কারের সুরেই লিখেছিলেন, এই একই বই পড়ে তার এক ছাত্র তার সাথে দেখা করতে এসেছিল কাঁদতে কাঁদতে। কারণ এই বইটি তাকে প্ররোচিত করে বোঝাতে পেরেছে যে, জীবন হচ্ছে শূন্য এবং অর্থহীন। তিনি তাকে উপদেশ দিয়েছেন, সে যেন তার কোনো বইটি না-দেখায়, কারণ শঙ্কা আছে এটি তাদের মনকে সংক্রমিত করতে পারে সেই একই নাস্তিবাদী নৈরাশ্যবাদ থেকে।"
সেই বইটিই পড়ছি। যত এগুচ্ছি আমার জানা দুনিয়ার অনেক কিছুই পালটে যাচ্ছে.......

সর্বশেষ এডিট : ১৪ ই অক্টোবর, ২০২৫ রাত ১০:১২

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




