দ্বীন শব্দের অর্থ :
ধর্ম, বিশ্বাস, প্রথা, প্রতিদান, আনুগত্য, বিচার -আল-মু’জামুল ওয়াফী, রিয়াদ প্রকাশনী।
ধর্ম, আনুগত্য, শাসন, মতা, রাজত্য, অবস্থা, অভ্যাস, আচরণধারা, পরিচালনা
ও ব্যবস্থাপনা, হিসাব-কিতাব, মিসবাহুল লুগাত, থানভী লাইব্রেরী।
মাযহাব শব্দের অর্থ :
মত, পথ, বিশ্বাস, ধর্ম, আদর্শ, মতবাদ - আল-মু’জামুল ওয়াফী, রিয়াদ প্রকাশনী।
মত, বিশ্বাস, তরিকা, পদ্ধতি, ধর্ম, পন্থা, উৎস - মিসবাহুল লুগাত, থানভী লাইব্রেরী।
দ্বীন ও মাযহাব শব্দ দুটি যে প্রায় একই ধরণের অর্থ বহন করে তা আমরা আরবী বাংলা অভিধান দ্বারা জানতে পারলাম। এখন জানতে হবে আমাদের দ্বীন বা মাযহাব এর নাম কি? এ সম্পর্কে মহান আল্লাহ বলেন-
নিশ্চয় আল্লাহর নিকট একমাত্র দ্বীন (অর্থাৎ মাযহাব) হল ইসলাম। -সূরা আলি-ইমরান (৩), ১৯
“আর যে ব্যক্তি ইসলাম ব্যতীত অন্য কোন দ্বীন (অর্থাৎ মাযহাব) গ্রহণ করতে চাইবে কনো তা কবুল করা হবে না এবং আখিরাতে সে ব্যক্তি ক্ষতিগ্রস্তদের অন্তর্ভুক্ত হবে।-সূরা আলি-ইমরান (৩) ৮৫।
দুটি আয়াত থেকে আমরা জানতে পারলাম আমাদের মাযহাব বা দ্বীন এর নাম ইসলাম। আর এই নামটি রেখেছেন মহান আল্লাহ। আল্লাহর দেয়া নাম এর পরিবর্তে অন্য নাম দেয়া বা বলা জায়েয নয়।
এ সম্পর্কে মহান আল্লাহ বলেন-
“তোমাদের প্রতিপালকের নিকট হতে তোমাদের প্রতি যা অবতীর্ণ হয়েছে তোমরা তা মান্য করে চল। তাকে ছাড়া (অন্য কাউকে) অভিভাবক মান্য করো না...” -সূরা আ’রাফ (৭), ৩।
ইসলাম নামটি আল্লাহ অবতীর্ণ করেছেন। তাই আল্লাহর দেয়া নাম ছাড়া অন্য নাম ব্যবহার করলে আল্লাহর হুকুম অমান্য হবে; যেমন, কেউ যদি বলে আমাদের মাযহাব বা দ্বীন এর নাম- আহলে হাদিস, মুহাম্মদী, হানাফী, শাফেয়ী, মালেকী, হাম্বলী, শিয়া ইত্যাদি। কারণ এসব নাম আল্লাহ নির্ধারণ করেন নি। আল্লাহ স্পষ্ট ভাষায় বলেছেন-
“...তাকে ছাড়া (অন্য কাউকে) অভিভাবক মান্য করো না...” -সূরা আ’রাফ (৭), ৩।
এখন যদি ইসলাম নাম ব্যবহার না করে অন্য নাম ব্যবহার করি তাহলে আল্লাহকে বাদ দিয়ে অন্যকে অভিভাবক মানা হবে।
শিক্ষাঃ
(১) মাযহাব এবং দ্বীন শব্দ দুটি প্রায় একই অর্থ বহন করে।
(২) আমাদের মাযহাব বা দ্বীন এর নাম ইসলাম।
(৩) ইসলাম নামটির পরিবর্তে অন্য নাম ব্যবহার করা যাবে না।
(৪) ইসলাম নামটির পরিবর্তে অন্য নাম ব্যবহার করলে আল্লাহর আদেশ অমান্য হবে।
(৫) আল্লাহর আদেশ অমান্য করা হারাম। তাই ইসলাম নাম এর পরিবর্তে অন্য নাম ব্যবহার করা হারাম।