টাকা, হঁ্যা আমি হচ্ছি মানুষের অতি প্রয়োজনীয় বস্থু। সত্যিই জন্মই আমার আজন্ম সার্থকতা। মানুষের নিজের প্রয়োজনে টাকা তৈরি করল। এখন সেই মানুষই টাকা অর্থাৎ আমার পেছনে ছুটছে আমাকে ধরার জন্য। বিশ্বাস করুন আমার জন্য মানুষ এমন কোনো হীন কাজ নেই যে করছে না। আমাকে পাওয়ার জন্য মানুষ মানুষকেই খুন করছে। ব্যতিত্রক্রম যে নেই তাও নয়। এ আমাকেই ত্যাগ করে কেউ সাধু হওয়ার চেষদ্বা করছে। বিশ্বাস করুন আর নাই করুন, আমাকে দিয়ে যত অন্যায় কাজ হচ্ছে তার জন্য আমি দায়ী নই। তাই তো সর্বকালের সবার কাছে নিঃশর্ত মা চেয়ে আমি কিছু কথা বলতে চাই। মন দিয়ে শুনবেন, কেমন? যতদহৃর শুনেছি যে, কড়ি দিয়ে আমার প্রচলন শুরু । তার প্রমাণ, এখনো হিন্দুদের ঘরে ঘরে লক্ষ্মীপহৃজার সময় পাওয়া যায়। মানুষ আমাকে পহৃজা করছে, মানুষই আমাকে সালাম করছে। আবার এই মানুষ জাতটা এতই স্ট্বার্থপর যে, মুখের থুতু দিয়ে আমাকে গুনছে। আমাকে রোগ-জীবাণু দিয়ে ভরে দিচ্ছে। কি আশ্চর্যের বিষয় একবার ভেবে দেখুন। কেউ কেউ আমাকে নকল করে ধনী হওয়ার ধাল্পব্দায় আছে। এসব সত্ত্বেও আমি কারো কাছে ঘৃণার পাত্র নই, সবার কাছে প্রিয়। হে মানব সমাজ আপনাদের কানে কানে একটি কথাই বলতে চাই, আমারও কিছু চাওয়া-পাওয়ার আছে। আমি অসৎ লোকের আলমারিতে ঢুকতে চাই না। সৎ লোকের ঘরে আমি পরম শানস্নিতে বসবাস করি। অসৎ লোকের ঘর থেকে আমি বেরিয়ে যেতে পারলেই শানস্নি পাই। এরই অজস্র প্রমাণ আপনাদের চোখের সামনেই আছে।
সর্বশেষ এডিট : ৩১ শে ডিসেম্বর, ১৯৬৯ সন্ধ্যা ৭:০০