somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

কতকিছু আরো পেতে হবে

১৬ ই মে, ২০০৬ সকাল ৮:২৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

একটি দৃশ্যমান কলোনীর পরিবর্তে এখন আমরা অবস্ট্থান করছি অদৃশ্য এক কলোনীতে। ত্রক্রমাগ্রসরমান সময়ের ধারায় এ কলোনীটি কোন একক শক্তির নয় বরং নানা পরাশক্তির চাপে দলিত পিষদ্ব। মহাকালের নানা বাঁকে এ ুদ্র ব-দ্বীপ রাষদ্ব্রে নানা সামরিক-বেসামরিক সংঘাতও ছিল অনিবার্য। তন্মধ্যে সবচেয়ে উজ্জ্বল বিদ্রোহ আমাদের স্ট্বাধীনতার সংগ্রাম। যে সময়ের অনিবার্যতায় আমাদের স্ট্বাধীদনতা যুদব্দটি হয়েছিল, সাড়ে তিন দশকের পরিবর্তিত বাস্টস্নবতায় তার অর্জন প্রায শহৃন্যের কোটায়। আমাদের দেশ আমাদের হবে- একথার উজ্জীবনা যতটা ছিল একাত্তুরে, ঠিক ততটাই কিংবা তারচেয়েও বেশি রম্য-উক্তি বরে মনে হয় এখন- একুশ শতকের প্রথম দশকের প্রথমার্ধে। উৎপাদনকারী আর বাজারজাতকারীদের মধ্যকার বৈষম্য ভোক্তার তালকা থেকে পুরোপুরি সরিয়ে দিয়েছে উৎপাদককে। ফলে , সর্বস্টস্নরের মানুষ কমপ েদু'বেলা আহার করবে, একটি স্ট্বাধীন দেশে, তা হয়নি বরং 'মঙ্গা' নামক জাতীয় কলগ্ধেকর উত্থান হয়েছে অবশ্যাল্ফ্ভবীরূপে।
বাঙালি জাতি ঐতিহ্যগত ও সাংস্ট্কৃতিকভাবেই ধর্মের গোড়ামিমুক্ত। আমাদের স্ট্বাধীনতা সংগ্রামে ধমৃ-জাতি-বর্ণের নির্বিশেষ অংশগ্রহণই তার প্রমাণ। ধর্মনিরপেতা, ধর্মমুক্ততা যে দেশটির সংস্ট্কৃতির সাথে যুক্ত সেদেশে বক্তিয়ার খিলজির ধর্ম যে কেমন করে এতটা উগ্র, মানধ্বংসী হয়ে ওঠে তা এখন অন্যতম মৌলিক জাতীয় প্রশম্ন। স্ট্বাধীনতার সাড়ে তিন দশকের ব্যবধানেই আমাদের প্রধান প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোর ধর্মমুখীতা ও তাদের পৃষ্ঠপোষকতা শুধু জাতীয় সংস্ট্কৃতিরই অবমাননা করে না, তা একটি মৌলিক উল্পম্নত জাতিসত্তার ভিত্তিকেই অস্ট্বীকার করছে। মতামুখী রাজনীতি এবং চিরকালই মতার বাইরে থাকার মানসিকতামুখী রাজনীতির যাঁতাকরে পিষদ্ব এদেশবাসী এখন 'পলিটিঙ্' নামক 'পলিটিঙ্' থেকে মুক্তি চায়। পুরো জাতিকে জ্ঞান-কর্মমুখী শিার পরিবর্তে এনজিও নির্দেশিত শিার প্রসারের দিকে ধাবিত করা হয়েছে। মাদ্রাসা- ক্যাডেট করেজ- ইংলিশ মিডিয়াম রেখেই ধোঁয়া তোলা হয়েছে একমুখী মাধ্যমিক শিার। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে ত্রক্রমশই পিছিয়ে পড়ছি আমরা, কিন্তু সংস্ট্কৃতিতে ঢুকে গেছে বাহারি মোবাইল ফোন। দেশে গত সাড়ে তিন দশকে বিকশিত হয়েনি কোন শিল্কপ্প, হয়নি টেকসই উল্পম্নয়ন অথচ আমার অভিভাবক হয়েছে ডানো নেসলে, পরিবার হয়েছে ডিজুস।
বিশ্বায়নের সাথে তাল মেলানো এখন- স্ট্বাধীনতা যুদব্দের সাড়ে তিন দশক পর পরিণত হয়েছে ফ্যাশানে। নিজস্ট্ব আর্থনীতিক প্রবৃদব্দি আশানুরূপ না হলেও মুক্তবাজারের নামে অবাধে ঢুকছে উল্পম্নত বিশ্বের পণ্য। অথচ বিশ্বাজারে আমাদের উৎপাদিত গার্মেন্টস পণ্যের কোটা বল্পব্দ হয়ে যাচে। বল্পব্দ হচ্ছে আমাদের আদমজী, বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ত্রক্রমশ একটির পর একটি চালু হচ্ছে নৈশকোর্স- রাতের অাঁধারে সার্টিফিকেট কেনাবেচার ব্যবসা হচ্ছে।
মুক্তবুদব্দির চর্চা আজ স্টিস্নমিত। পরিবর্তে যিনি বলছেন 'আমরা কি এই বাঙলাদেশ চেয়েছিলাম? তাঁকে অজ্ঞাতনামা সন্পাসীর ধারালো অস্ট্পে প্রাণ দিতে হচ্ছে। বুদব্দির মুক্তি ঘটছে না বলে সার্টিফিকেট অর্জনের উদ্দেশ্য হয়ে দাঁড়াচ্ছে শুধুই মধ্যবিত্তীয় কেরানি হওয়া। কর্মসংস্ট্থানের পর্যাপ্টস্ন সুযোগ নেই বলেই আইন-শৃগ্ধকলা পরিস্টি্থতির অবনতি ঘটছে, পঞ্চাশ টাকার আশায় সল্ফ্ভাবনায় যুবক বোমারু হচ্ছে। দেশে একটি স্ট্বাধীন সরকারি কর্মকমিশন রয়েছে সত্য, তবে তার বিশ্বাস যোগ্যতায় দিনের পর দিন মানুষ আচ্ছা হারাচ্ছে।
স্ট্বাধীন দেশের একজন নাগরিকের স্ট্বাস্ট্থ্য-সুবিধা পাওয়াটি তার মৌলিক অধিকারের মধ্যেই পড়ে। দেশের সরকারি হাসপাতালগুলোর আসন খুবই সীমিত, ডাক্তারদের অফুরান, সমস্যা, ডাক্তার সগ্ধকট তো লেগেই আছে। সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় কিংবা বিএমএ-র দ্বারা পদায়ন হচ্ছে ডাক্তারদের। সরকারি বিনামহৃল্যে প্রদেয় ঔষধগুলো বিত্রিক্র হচ্ছে বাজারে। খাদ্যের ভেজালে দেশবাসীর নাভিশ্বাস উঠেছে। ঔষধেও ভেজাল উন্মোচিত হচ্ছে। অথচ পৃথিবীর নামী-দামী সব হাসপাতালের শাখা উদ্বোধিত হচ্ছে ঢাকায়, যেখানকার একদিনের খরচ একটি নিল্ফম্নমধ্যবিত্ত পরিবারের একমাসের খরচের সমান। স্ট্বাধীনতার সময়ে আমাদের দেশে কতজন কোটিপতি ছিরেন আর বর্তমানে কতজন াঅছেন সে শ্বেতপত্র প্রকাশ না করেই বলা যায়- দেশের 90 ভাগ সমঙ্দ এখন কুগিত মাত্র 10 ভাগ মানুষের হাতে। এ পরিসংখ্যানই বলে দেয় ঐসব উচ্চ ব্যয়বহুল হাসপাতালগুলোতে কোন রোগীরা থাকেন।
স্ট্বাধীনতার পর থেকে চ্যামঙ্িয়নের সবচেয়ে বেশি রেকর্ড দুনর্ীতিতে। সরকারের পর সরকার আমরা দেখেছি, দেখেছি নানা পদব্দতির শাসন। কিন্তু কোনো শাসনেরই পরিবর্তিত হয়নি আমাদের মানসিক অবস্ট্থার। তথাকথিত সামাজিক জীব হিসেবে আমলাতন্পের বাধ্যচত্রেক্র বাঁধা পড়েছে আমাদের সৃষদ্বিশীর চেতনা। সরকারি কোনো কাজে গেলেই বাধ্য হয়ে একজন নাগরিককে ঘুষ দিতে হচ্ছে, ফলে ঐ নাগরিকও বাধ্য হচ্ছেন কোনো না কোনো উপায়ে অতিরিক্ত অর্থ আয় করতে। এভাবে দুনর্ীতি হচ্ছে ত্রক্রমপ্রসারিত। সকলেই দুনর্ীতিগ্রস্টস্ন কেউ কেউ কম- এ কথা নিদ্বর্িধায় মানতে হচ্ছে আমাদের। আইন-শৃগ্ধখলা নিয়ন্পণের জন্য যৌথবাহিনী, র্যাব নামক অনেক বাহিনীই অনেকবার গঠিত হয়েছে কিন্তু মানসিক শৃগ্ধকলা নিয়ন্পণের জন্য কোন বাহিনীই গঠনের প্রয়োজন মনে করেননি কোন সরকারই। ফলে দুনর্ীতি বিস্টস্নৃত হচ্ছে অবাধে। অবস্ট্থাদৃষদ্বে মনে হচ্ছে, এটি বাঙালিধিকারের অংশ হয়ে দাঁড়িয়েছে। ফদ্ধান্সে সরকারি বাহিনী তাড়িত হয়ে দু'জনের মৃতু্যতে প্রবল আন্দোলন-বিােভ গড়ে উঠলেও র্যাবের ত্রক্রসফায়ারে এদেশের মানুষের মৃতু্য যেন স্ট্বাভাবিক ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। স্ট্বাধীনতার সাড়ে তিন দশক পরও মানবাধিকার যেন বাংলাদেশে প্রহসন বলে মনে হয়।
সর্বশেষ এডিট : ৩১ শে ডিসেম্বর, ১৯৬৯ সন্ধ্যা ৭:০০
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। রোড জ্যাম ইন ভিয়েতনাম

লিখেছেন শাহ আজিজ, ১৫ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৭



আমার ধারনা ছিল জটিল জ্যাম শুধু বাংলাদেশেই লাগে । কিন্তু আমার ধারনা ভুল ছিল । ভিয়েতনামে এরকম জটিলতর জ্যাম নিত্য দিনের ঘটনা । ছবিটি খেয়াল করলে দেখবেন... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমার অন্যরকম আমি এবং কিছু মুক্তকথা

লিখেছেন জানা, ১৫ ই মে, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:০৬



২০১৯, ডিসেম্বরের একটি লেখা যা ড্রাফটে ছিল এতদিন। নানা কারণে যা পোস্ট করা হয়নি। আজ হঠাৎ চোখে পড়ায় প্রকাশ করতে ইচ্ছে হলো। আমার এই ভিডিওটাও ঐ বছরের মাঝামাঝি সময়ের।... ...বাকিটুকু পড়ুন

যেভাবে শরণার্থীরা একটি দেশের মালিক হয়ে গেলো!

লিখেছেন মাঈনউদ্দিন মইনুল, ১৫ ই মে, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:২৬



এবার একটি সেমিনারে প্রথমবারের মতো একজন জর্ডানির সাথে পরিচয় হয়। রাসেম আল-গুল। ঘনকালো মাথার চুল, বলিষ্ট দেহ, উজ্জ্বল বর্ণ, দাড়ি-গোঁফ সবই আছে। না খাটো, না লম্বা। বন্ধুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্ব। প্রতিটি সেশন... ...বাকিটুকু পড়ুন

নিউ ইয়র্কের পথে.... ২

লিখেছেন খায়রুল আহসান, ১৫ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:০২


Almost at half distance, on flight CX830.

পূর্বের পর্ব এখানেঃ নিউ ইয়র্কের পথে.... ১

হংকং আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে প্লেন থেকে বোর্ডিং ব্রীজে নেমেই কানেক্টিং ফ্লাইট ধরার জন্য যাত্রীদের মাঝে নাভিশ্বাস উঠে গেল।... ...বাকিটুকু পড়ুন

সামুতে আপনার হিট কত?

লিখেছেন অপু তানভীর, ১৫ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:০৩



প্রথমে মনে হল বর্তমান ব্লগাদের হিটের সংখ্যা নিয়ে একটা পোস্ট করা যাক । তারপর মনে পড়ল আমাদের ব্লগের পরিসংখ্যানবিদ ব্লগার আমি তুমি আমরা এমন পোস্ট আগেই দিয়ে দিয়েছেন ।... ...বাকিটুকু পড়ুন

×