বেসরকারি শিা প্রতিষ্ঠানের শিক-কর্মচারীদের জন্য 1980 সালে সরকারি সমমানের বেতনত্রক্রম প্রবর্তন করা হয়। তখন বেসরকারি শিক-কর্মচারীরা 50% বেতন পেতেন। 1986 সালে 50% বেতনের সঙ্গে 100 টাকা বাড়ি ভাড়া ও 100 টাকা চিকিৎসা ভাতা যুক্ত হয়। এরপর 1990 সালে বেসরকারি শিক-কর্মচারীদের জন্য কল্যাণ ট্রাসদ্ব আইন তৈরি করা হয়। তখন কল্যাণ ট্রাসদ্ব বাবদ মোট বেতন থেকে 2% কেটে রাখা হতো। ফলে একজন শিক-কর্মচারী বাড়ি ভাড়া পেতেন 98 টাকা। বর্তমান সরকার 2004 সাল থেকে বেসরকারি শিক-কর্মচারীদের জন্য অবসর সুবিধা প্রদান করেছে। তাই কল্যাণ ট্রাসদ্ব ও অবসর সুবিধা বাবদ মোট বেতনের 8% কেটে রাখা হয়। ফলে একজন শিক-কর্মচারী প্রতি মাসে বাড়ি ভাড়া পান 92 টাকা। বেসরকারি শিক-কর্মচারীদের বেতন ধাপে ধাপে বৃদব্দি পেয়ে 50% থেকে 90%-এ উল্পম্নীত হয়েছে; কিন্তু বাড়ি ভাড়া দীর্ঘ 20 বছরে 100 টাকা থেকে হ্রাস পেয়ে 92 টাকা হয়েছে। অথচ প্রতি বছর বাজেটে শিাকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়া হয়। শিকদের বলা হয় জাতি গড়ার কারিগর। একজন নাগরিকের মৌলিক অধিকারের মধ্যে একটি হচ্ছে বাসস্ট্থান। জাতি গড়ার কারিগরদের বাসস্ট্থানের এ বেহাল অবস্ট্থায় রেখে জাতির অগ্রগতি কি সল্ফ্ভব? বেসরকারি শিক-কর্মচারী ছাড়া দেশের অন্য চাকরিজীবীই বিশ্বাস করবে না যে, একজন শিক প্রতি মাসে 92 টাকা বাড়ি ভাড়া পান। যেখানে একজন সরকারি প্রতিষ্ঠানের চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারী প্রতি মাসে বাড়ি ভাড়া বাবদ 1 হাজার টাকার ওপরে পান সেখানে একজন বেসরকারি শিা প্রতিষ্ঠানের অধ্য পান প্রতি মাসে মাত্র 92 টাকা। তারপরও বেসরকারি শিক-কর্মচারীরা জাতি গঠনে নিরলস চেষদ্বা চালিয়ে যাচ্ছেন। 2005 সাল থেকে ষষ্ঠ জাতীয় পে-স্ট্কেল প্রদান করা হয়েছে। 2006 সাল থেকে ষষ্ঠ জাতীয় পে-স্ট্কেলের ভাতাদি প্রদান করা হবে। তখন বেসরকারি শিক-কর্মচারীদের বাড়ি ভাড়ার বিষয়টি সরকার বিবেচনা করবে কি?
সর্বশেষ এডিট : ৩১ শে ডিসেম্বর, ১৯৬৯ সন্ধ্যা ৭:০০

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




