একটি মাছের ডুব দেয়া দেখে বুঝে নেয় মৃধা এসে পেছনে দাঁড়াল। অদ্রি জলমগ্ন হয়ে পড়ে। মৃধাদের বাড়ীতে যায়নি অনেক দিন। ওকে কিছু স্বপ্নের কথা বলে, পরে আর যায়নি অনেকদিন। ওদের বাড়িতে স্বপ্ন কেবলই গল্প হয়ে পড়ছিল। আজ কিছু প্রিয় স্বপ্ন বানাবে অদ্রি। স্বপ্নে থিম গুলো আগে থেকেই রাখা আছে বৃক্ষদের কাছে। কয়েকটা পাখীরা চেয়ে নিয়েছে। ওরা বলেছে, পাখীরা কোন স্বপ্ন দেখতে শেখেনি। গাছেরা, শিকড়ে মাছেদের খুনসুটি স্বপ্ন কিনা জিজ্ঞেস করেছে। অদ্রি জানেনা। জানে যে সে তাদের ভালবাসে, তবে সে অলাদা, অন্যরকম। এমন কি সে মৃধার মতন পিপীলিকার জন্য কাঁদেনি। অদ্রির কান্না পায়না। সে কাঁদেনি কোনদিন। নানু ভাই যেদিন ইন্তেকাল করে সেদিন শুধু কান্না করেছিল। তাও দুষ্টমী করে, সকলে যাতে মনে করে অদ্রির মায়া আছে।
অদ্রির আসলেই এখন মায়া হয়। অদ্রির মায়া গুলো মৃধার জন্য। ও এখনো পাখীদের মত। স্বপ্ন শেখেনি। ও এখনো কুয়াশা বুঝেনা। অথচ এই শব্দটির জন্য অদ্রির কান্না পায়। একসময় অনেক কুয়াশা হত অদ্রির। কান্না নয়, কুয়াশায় ভিজে যেত অদ্রি। কুয়াশা না বুঝলে স্বপ্ন শেখা যায়না। স্বপ্নের সত্য আছে, স্বরূপ নেই। মৃধা একে ঘুমের কন্যা বানিয়ে ফেলে, আদর করতে বসে। মৃধা কুয়াশাকে শুধু খেলাপাতি করে রেখেছে।
মৃধা পাশে বসলে পরে পাখীরা এক-একটি থিম দিয়ে যায়। অদ্রি ফিরিয়ে দিয়ে রাখে সেটি। আজ নয়, আজ স্বপ্ন গল্প হয়ে যাবে।
সর্বশেষ এডিট : ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৯ রাত ৮:১৮

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




