অপেক্ষা শব্দটি বর্তমান সময়ের বহুল প্রচলিত একটি শব্দ। ভ্রূণ কাল থেকেই অপেক্ষা করে থাকে প্রতিটা প্রাণী। মানুষও তার বিপরীত নয়। কিছু অপেক্ষা খুবই মিষ্টিমধুর তো কিছু অপেক্ষা খুবই তেতো। কিছু অপেক্ষা ভালোবাসায় তো কিছু অপেক্ষা অঝোরে কাদায়। কিছু অপেক্ষা প্রতীক্ষায় থাকে তো কিছু অপেক্ষা উপেক্ষা করে। তবে সকল অপেক্ষাতেই থাকে মুখাপেক্ষিতা। তবে প্রত্যেকটি অপেক্ষার পিছনেই থাকে উচ্চাকাঙ্ক্ষা।

সকল অপেক্ষার মধ্যে সর্বাপেক্ষা উত্তম হলো ভালবাসার অপেক্ষা। এই অপেক্ষা ধীরে ধীরে সকল অপেক্ষা কে আপন করে নেয়। প্রিয়তমা যখন অপেক্ষা করায় তখন সময় এতটাই ধীর হয়ে যায় যেন কচ্ছপ ও শামুকের দৌড় প্রতিযোগিতা।
প্রত্যেক মানুষই কোনো আপেকিক্ষতার সাপেক্ষে প্রতীক্ষা করছে। কারোটি ব্যক্ত হয় আর করোটি হৃদয়ের মধ্যেই চাপা পড়ে যায়। তবে বেশির ভাগ অপেক্ষার হার জীবনের সাথে সমানুপাতিক। অর্থাৎ জীবন যত বাড়ে অপেক্ষার অব্যক্ত থাকাটাও ততোই বাড়ে।
এই মুঠোফোন আবিষ্কারের কিছু বছর আগেও তো প্রিয়তমার জন্য অপেক্ষা করা হতো। কখন সাইকেলের কৃং কৃং বাজবে আর শুনতে পাওয়া যাবে,"তোমার চিঠি এসেছে"। খাম খুলতেই প্রিয়তমার সুবাস মাখা পত্রখানা। অন্যরকম স্বর্গীয় অনুভুতি। তবে বর্তমানের অপেক্ষার প্রেক্ষাপট ও ভিন্ন। আধুনিকতার ছোঁয়া অপেক্ষাতেও প্রভাব ফেলতে পেরেছে। এখন অপেক্ষা করা হয় মুঠোফোনে প্রিয়তমার নামের পাশে সবুজ বাতি থাকলেই হৃদস্পন্দন বেড়ে যায়।
সর্বশেষ এডিট : ০২ রা মার্চ, ২০২৩ রাত ২:০৪

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




