প্রিয় মেঘ,
ক্ষমা করো বাংলাদেশকে। এ বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্র আজ তোমাকে এতিম করেছে, ছুড়ে ফেলেছে মহাশূন্যে। অন্ধকার করে দিয়েছে তোমার ভবিষ্যতকে। একটা অস্থির, অসুস্থ সমাজে, অরাজক রাষ্ট্রব্যবস্থার শিকার রুনী আর সাগর।
তুমি ক্ষমা করো মোঃ জিল্লুর রহমানকে, ক্ষমা করো শেখ হাসিনাকে, ক্ষমা করো সাহারা খাতুনকে, ক্ষমা করো শামসুল হক টুকুকে, ক্ষমা করো আইজিপি হাসান মাহমুদ খন্দকারকে, ক্ষমা করো ডিএমপির কমিশনার বেনজির আহমেদকে, সমগ্র পুলিশ বাহিনী আর র্যাব বাহিনীকে। ক্ষমা করো ব্যারিষ্টার শফিক আর কামরুলকে। ক্ষমা করো সুপ্রীমকোর্ট, হাইকোর্ট, অধঃস্তন আদালতকে। ক্ষমা করো বাংলার মানুষকে। এদেশ এখন একটা বধ্যভূমি। তোমার ন্যায় আবার কে কখন এতিম হবে, তা কেউ জানে না।
তুমি আজ বলছ, দু’জন লোক ঢুকে তোমার মা-বাবাকে খুন করেছে। তোমার মা তাদের ডিম দিয়ে ভাত খাইয়েছিলো, তারা পিকনিকে ছিলো। বোঝা যাচ্ছে, খুনীরা ডাকাত ছিলো না, লুকিয়ে আছে মুখোশপড়া পরিচিত সমাজে। এখন পুলিশ বাহিনী হন্যে হয়ে খুঁজছে খুনীকে। হাসিনা-সাহারার ঘোষিত ৪৮ ঘন্টার মধ্যে ২৪ ঘন্টা পার হয়ে গেছে। এরপরে কি একজন ‘জজ মিয়া’ হাজির হবে? নাকি কেউ ধরা পড়লেও বিচারিক কিছু ক্যারিকেচারের পরে হয়ত দেখা যাবে, পৃথিবীর সবচেয়ে ক্ষমতাধর রাষ্ট্রপতি খুনীদের সাজা প্রমার্জন করে সাংবিধানিক দায়িত্ব পালন করছেন! তাকে জিজ্ঞেস করার কেউ নেই, নেই কোনো জবাবদিহিতা। খুনীরা তোমার পাশে দিয়ে আস্ফালন করে ঘুরে বেড়াবে। আমাদের এ অক্ষমতাকে তুমি ক্ষমা করো।
একদা তোমার মা আর বাবা দু’জনেই ছুটে বেড়াত খবরের পিছে। তারা ঠিক করতো খবরের শিরোনাম কি হবে। আজ তারাই হয়ে গেলো, সংবাদের ব্যানার হেড। দু’দিন কালো ব্যাজ, একটু লেখালেখি, চেহলামের পরে হয়ত সবাই নিশ্চুপ হয়ে যাবে। আবার নতুন কে খুন হবে, তাকে নিয়ে চলবে মাতামাতি। তোমার খবর রাখবে না কেউ। তুমি আর কখনো সাগরের বুকে ঝাপ দিতে পারবে না, পাবে না পরম মমতাময়ী মাকে।
তাই তো এ সমাজের পক্ষে আমরা ক্ষমা চাই, মেঘ।
তুমি বড় হও। মেঘ থেকে বজ্র হও, বারিষ ঝরাও; যে দেশে ঘটবে না এমন মর্মান্তিক হত্যা, আর কোনো মেঘ যেনো এতিম না হয়
নেট থেকে নিলাম

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




