somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

যীশুর ভবিষ্যদ্বাণী

০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৫০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

কিন্তু আমি তোমাদের সত্যি বলছি; আমার চলে যাওয়া তোমাদের জন্য ভাল, কারণ আমি যদি না যাই তাহলে সেই সাহায্যকারী তোমাদের কাছে আসবেন না৷ কিন্তু আমি যদি যাই, তাহলে আমি তাঁকে তোমাদের কাছে পাঠিয়ে দেব৷
যখন সেই সাহায্যকারী আসবেন তখন তিনি পাপ, ন্যায়পরায়ণতা ও বিচার সম্পর্কে জগতের মানুষকে সচেতন করবেন৷
তিনি পাপ সম্পর্কে সচেতন করবেন, কারণ তারা আমাতে বিশ্বাস করে না৷
ন্যায়পরায়ণতা সম্পর্কে বোঝাবেন, কারণ এখন আমি পিতার কাছে যাচ্ছি, আর তোমরা আমায় দেখতে পাবে না৷
বিচার সম্বন্ধে সচেতন করবেন, কারণ এই জগতের যে শাসক তার বিচার হয়ে গেছে৷
আমার তোমাদের অনেক কিছুই বলার আছে, কিন্তু তোমরা সেগুলো গ্রহণ করার উপযুক্ত নও।
যখন সত্যের আত্মা আসবেন, তখন তিনি সত্যের পথে তোমাদের পরিচালিত করবেন৷ তিনি নিজে থেকে কিছু বলবেন না, কিন্তু তিনি যা শুনবেন তাই বলেন, আর ভবিষ্যতে কি ঘটতে চলেছে তা তিনি তোমাদের কাছে বলবেন।
তিনি আমাকে মহিমান্বিত করবেন, কারণ আমি যা বলি তাই তিনি গ্রহণ করবেন এবং তোমাদের তা বলবেন। বাইবেলের নতুন নিয়ম, যোন লিখিত সুসমাচার, অধ্যায় ১৬, শ্লোক ৭ থেকে ১৪

আমার মতে বাইবেলের নতুন নিয়মের চৌম্বক অংশ এই শ্লোকগুলি। আজ থেকে প্রায় দুই হাজার বছর পূর্বে মহা মানব যীশু ( ঈসা মসীহ (আ) ) পৃথিবীতে এসেছিলেন একটি লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য নিয়ে। কিন্তু তাকে তা অসম্পূর্ণ রেখেই চলে যেতে হয়। তবে তিনি তার অনুসারীদের নিরাশ করেননি। তিনি তাদের এক সুসংবাদ দিয়ে যান। ভবিষ্যতে আগমণকারী আরেক মহা মানবের।

ত্রিত্ববাদীরা দাবি করে, যীশুর এই ভবিষ্যদ্বাণী পবিত্র আত্না (Holy Ghost) সম্পর্কে। ত্রিত্ববাদীদের মতে পবিত্র আত্না হলো, ঈশ্বরের তৃতীয় রূপ। প্রথম রূপ ঈশ্বর স্বয়ং, আর দ্বিতীয় রূপ হলো যীশু নিজেই। কিন্তু অত্যন্ত নিরপেক্ষ দৃষ্টিতে উপরের শ্লোকগুলি পর্যবেক্ষণ করলে আপনি বুঝতে পারবেন, যীশু তার অনুসারীদের এক মহা মানবের সুসংবাদ দিচ্ছেন। যিনি ভবিষ্যতে আবির্ভূত হবেন। যিনি তার অসমাপ্ত কাজ সমাপ্ত করবেন।

সেই মহা মানবের বৈশিষ্ট্যগুলোও যীশু উল্লেখ করেছেন। অবশ্যই তিনি একজন মানুষ, এক ঐতিহাসিক ব্যক্তিত্ব। যীশু চলে যাবার পর তিনি আসবেন। তিনি পাপ সম্পর্কে, ন্যায়বিচার সম্পর্কে শিক্ষা দিবেন, তিনি মানবজাতিকে সত্য পথ দেখাবেন। তিনি যা শুনবেন তাই বলবেন। এর অর্থ কি হতে পারে? অবশ্যই তিনি ঐশীবাণী শুনবেন, যেমন শুনেছেন যীশু, জন দ্য ব্যাপটিস্ট ( ইয়াহিয়া (আ) ) এবং উনাদের পূর্বে ঈশ্বর প্রেরিত সকল নবী। সেই ঐশীবাণী মানবজাতিকে উপহার দিবেন। সেই মহামানব যীশুকে, তার পরিবারকে মহিমান্বিত করবেন।

এবার আমি আপনাদের ইতিহাসের আশ্রয় নিতে বলবো। যীশুর চলে যাবার পর কোন সেই ঐতিহাসিক ব্যক্তিত্ব, যার মাধ্যমে তার ভবিষ্যদ্বাণী পূর্ণতা পেয়েছে। যীশুতো আরবের শুষ্ক রুক্ষ মরুর বুকে জন্ম নেয়া সেই মহামানবের কথায় বলেছিলেন, যিনি মানুষকে মূর্তিপূজার অভিশাপ থেকে মুক্ত করেছেন, একেশ্বরবাদী হতে শিক্ষা দিয়েছেন, যেভাবে শিক্ষা দিয়েছিলেন ইব্রাহীম (আ), মুসা (আ) ও ঈসা (আ)। মদ, জুয়া, খুন, রাহাজানি,পাপাচার, অনাচার ও ব্যাভিচার সম্পর্কে অত্যন্ত কঠোর ভাষায় মানবজাতিকে সতর্ক করেছেন। মানুষের কাছে ঐশীবাণীকে অত্যন্ত যত্ন ও সতর্কতার সহিত পৌছে দিয়েছেন। মানুষকে ন্যায়বিচার ও সুশাসন সম্পর্কে শিক্ষা দিয়েছেন। যিনি যীশুকে, তার মা মরিয়মকে ইয়াহুদীদের দেয়া মিথ্যা, নোংরা অপবাদ থেকে মুক্ত করেছেন, মহিমান্বিত করেছেন। যীশুর অনুসারী বলে দাবিদারেরা যীশুকে খোদার আসনে বসিয়ে যে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করেছে, তা থেকেও তাকে মুক্ত করেছেন।

যীশুতো তার কথাই বলেছিলেন, যিনি জন্ম নিয়েছিলেন এই রবিউল আউয়াল মাসে, যিনি প্রায় দেড় হাজার বছর পূর্বে মদিনায় স্বর্গরাজ্য (Kingdom of Heaven) প্রতিষ্ঠা করে যীশুর অসমাপ্ত কাজকে সমাপ্ত করেছিলেন। নবুওয়তের ধারাবাহিকতার সমাপ্তি টেনেছিলেন।
২টি মন্তব্য ২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

সৎ মানুষ দেশে নেই,ব্লগে আছে তো?

লিখেছেন শূন্য সারমর্ম, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১:৪৮








আশেপাশে সৎ মানুষ কেমন দেখা যায়? উনারা তো নাকি একা থাকে, সময় সুযোগে সৃষ্টিকর্তা নিজের কাছে তুলে নেয় যা আমাদের ডেফিনিশনে তাড়াতাড়ি চলে যাওয়া বলে। আপনি জীবনে যতগুলো বসন্ত... ...বাকিটুকু পড়ুন

গরমান্ত দুপুরের আলাপ

লিখেছেন কালো যাদুকর, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৫৯




মাঝে মাঝে মনে হয় ব্লগে কেন আসি? সোজা উত্তর- আড্ডা দেয়ার জন্য। এই যে ২০/২৫ জন ব্লগারদের নাম দেখা যাচ্ছে, অথচ একজন আরেক জনের সাথে সরাসরি কথা... ...বাকিটুকু পড়ুন

রাজীব নূর কোথায়?

লিখেছেন অধীতি, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৩:২৪

আমি ব্লগে আসার পর প্রথম যাদের মন্তব্য পাই এবং যাদেরকে ব্লগে নিয়মিত দেখি তাদের মধ্যে রাজীব নূর অন্যতম। ব্যস্ততার মধ্যে ব্লগে কম আসা হয় তাই খোঁজ-খবর জানিনা। হঠাৎ দু'একদিন ধরে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বৃষ্টির জন্য নামাজ পড়তে চায়।

লিখেছেন নূর আলম হিরণ, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৩৮



ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু শিক্ষার্থী গত বুধবার বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে বৃষ্টি নামানোর জন্য ইসতিসকার নামাজ পড়বে তার অনুমতি নিতে গিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এটির অনুমতি দেয়নি, যার জন্য তারা সোশ্যাল... ...বাকিটুকু পড়ুন

=তুমি সুলতান সুলেমান-আমি হুররাম=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:৩৬



©কাজী ফাতেমা ছবি

মন প্রাসাদের রাজা তুমি, রাণী তোমার আমি
সোনার প্রাসাদ নাই বা গড়লে, প্রেমের প্রাসাদ দামী।

হও সুলেমান তুমি আমার , হুররাম আমি হবো
মন হেরেমে সংগোপনে, তুমি আমি রবো।

ছোট্ট প্রাসাদ দেবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×