somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ভালোবাসা, উপলব্ধি এবং প্রেমপত্র

২১ শে জুন, ২০১৩ রাত ৯:২২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



কখনো এমন সময় আসে যখন দুটি হৃদয় একে অপরের হৃদস্পন্দন অনুভব করতে পারে কিন্তু পারে না একে অপরকে আকড়ে ধরতে। পারে না একসাথে সারাজীবন বাচতে। অনেক সময় ক্ষনিকেই শেষ হয়ে যায়। অনেক ভালোবাসাই আছে যেখানে দুটি প্রাণ একসাথে স্পন্দিত হয় কিন্তু তার ছোয়া তৃতীয় কোনো প্রাণে লাগে না। হয়তবা লাগে, লাগলেও তারা দূরে সরিয়ে রাখে পৃথিবীর সামন্জস্যতার ব্যঘাত নিরসনে। অদ্ভুত এসব জটিলতার মাঝে অনেক বাধা বিপত্তি পার করা যায় কিন্তু শান্তি মেলেনা। জানি ভালোবাসা শান্তির সুবাতাস নিয়ে আসে, কিন্তু ঠিক একই কারনে অনেক সময় ভালোবাসা দূরে সরে যায় স্বেচ্ছায়।

স্বেচ্ছায় নির্বাসনে যাওয়া হৃদয়ে অনেক শুন্যতা ঘিরে ধরে, দিনের পর দিন শুন্যতা বাড়তেই থাকে। অনেক সময় এই শুন্যতার মাঝে ঝটিকা শান্তির সুবাতাস দোলা দিয়ে যায় কিন্তু শূন্যতাকে ছূড়ে ফেলতে পারে না। শুন্য হৃদয় জানে, যেখানে দুটি হৃদয় সমসুরে গাইলেও সংগীত হয় না সেখানে প্রেমকাব্যও রচিত হতে পারে না। তাই এই সংগীত, কাব্য শুন্য থেকে শুন্যেই মিলিয়ে যায়।

ভালোবাসার উদয়ের দিনগুলোতে মনের হাজারো কথা কয়েক লাইনে লিখে পাঠানো চিঠিখানা শুরু থেকে শেষদিন পর্যন্ত রয়ে যায় স্মৃতি হয়ে। হয়তবা খুলেও দেখা হয় না, কিন্তু সময়ের ব্যবধানে হৃদয়ে নাড়া দেয় ভালোবাসা, হ্যা আমি আছি। হয়তোবা সাথে নেই, হয়তোবা নেই আজীবনের জন্য, কিন্তু হ্যা আমি আছি। এই ব্যক্ত কথামালার উপলব্ধি সামনের অব্যক্ত ভালোবাসাকে ভয় পায়। শত চাওয়া পাওয়ার আকাঙ্খাকে দূরে সরিয়ে রাখে। হয়তবা চায়না একই কাব্য বার বার রচিত হোক যেখানে দুটি হৃদয়ের একটি প্রানও সমসুরে সুর মেলাতে পারে না। প্রেমের পদ্য তাই নানা অনিশ্চয়তায় শুধুই ভেসে বেড়ায়। ধরা দেয় না। মন চায় বলতে, পারেনা নানা উপলব্ধির বেড়াজালে বন্দীদশায়।


অসীম প্রতিক্ষার শেষে
আজ এক টুকরো মেঘ নিয়ে এলে,
মরুভূমির দেশে এক পশলার বৃষ্টি।

চলে যেও মেঘ এতটুকু বৃষ্টি ঝড়িয়ে,
ধুয়ে মুছে দিও এই মরুর সীমাহীন ক্লান্তি,

সহস্র যুগ অপেক্ষার পর মেঘ তোমায় পেয়েছি
যেওনা এখনি, থেকে যাওনা কিছুক্ষন।
থেকে যাও রংধনু ফুটে ওঠা পর্যন্ত
চলে যেও, তবে দিয়ে যাও এতটুকু প্রতিশ্রুতি
আবার আসবে ফিরে, থাকবে তুমি আরও কিছুক্ষন
অপেক্ষায় রইলাম সেই মুহুর্তের জন্য।
(ডার্কলর্ড)
সর্বশেষ এডিট : ২৭ শে আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১২:১৭
৩৪টি মন্তব্য ৩৩টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ছি , অবৈধ দখলদার॥ আজকের প্রতিটি অন‍্যায়ের বিচার হবে একদিন।

লিখেছেন ক্লোন রাফা, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:১০



ধিক ‼️বর্তমান অবৈধভাবে দখলদার বর্তমান নরাধমদের। মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীন বাংলাদেশে । বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ক্ষমা চাইতে হলো ! রাজাকার তাজুলের অবৈধ আদালতে। এর চাইতে অবমাননা আর কিছুই হোতে পারেনা।... ...বাকিটুকু পড়ুন

আম্লিগকে স্থায়ীভাবে নিষিদ্ধে আর কোন বাধা নেই

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:২২


মঈন উদ্দিন ফখর উদ্দিনের ওয়ান-ইলেভেনে সরকারের ২০০৮ সালের ডিসেম্বরে ভারতের সহায়তায় পাতানো নির্বাচনে হাসিনা ক্ষমতায় বসে। এরপরই পরিকল্পিত উপায়ে মাত্র দুই মাসের মধ্যে দেশপ্রেমিক সেনা অফিসারদের পর্যায়ক্রমে বিডিআরে পদায়ন... ...বাকিটুকু পড়ুন

আওয়ামী লীগের পাশাপাশি জামায়াতে ইসলামীকেও নিষিদ্ধ করা যেতে পারে ।

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১২:৪৫


বাংলাদেশে আসলে দুইটা পক্ষের লোকজনই মূলত রাজনীতিটা নিয়ন্ত্রণ করে। একটা হলো স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি এবং অন্যটি হলো স্বাধীনতার বিপক্ষ শক্তি। এর মাঝে আধা পক্ষ-বিপক্ষ শক্তি হিসেবে একটা রাজনৈতিক দল... ...বাকিটুকু পড়ুন

J K and Our liberation war১৯৭১

লিখেছেন ক্লোন রাফা, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:০৯



জ্যাঁ ক্যুয়ে ছিলেন একজন ফরাসি মানবতাবাদী যিনি ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্সের একটি বিমান হাইজ্যাক করেছিলেন। তিনি ৩ ডিসেম্বর, ১৯৭১ তারিখে প্যারিসের অরলি... ...বাকিটুকু পড়ুন

এবার ইউনুসের ২১শে অগাষ্ঠ ২০০৪ এর গ্রেনেড হামলার তদন্ত করা উচিৎ

লিখেছেন এ আর ১৫, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:৪০



এবার ইউনুসের ২১শে অগাষ্ঠ ২০০৪ এর গ্রেনেড হামলার তদন্ত করা উচিৎ


২০০৪ সালের ২১ শে অগাষ্ঠে গ্রেনেড হামলার কারন হিসাবে বলা হয়েছিল , হাসিনা নাকি ভ্যানেটি ব্যাগে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×