- কোটা সংস্কার এর সময়কার ছবি
সরকারের কেউ এখনো আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের রাজাকারের বাচ্চা বলেননি এজন্য সরকার ধন্যবাদ পেতেই পারে।
ছাত্রলীগের সংযমও প্রশংসনীয়, তারা এখন পর্যন্ত হাতুড়ি নিয়ে শিক্ষার্থীদের উপর হামলে পড়েনি। যদিও ২-১ টা জায়গায় ব্যর্থ চেষ্টা হয়েছে, তবে এটা নিতান্তই বিচ্ছিন্ন ঘটনাই মনে হয়েছে। সাংগঠনিক ভাবে ছাত্র নেতা রা যথেষ্ট ধৈর্য্য দেখিয়েছেন।
সরকারের লোকজন ইতোমধ্যে এর মধ্যে বিএনপির ভূত খোঁজার জন্য হাতড়ে বেড়াচ্ছে, ওবায়দুল কাদের ভূতের গন্ধ পেয়েও গেছেন। নৌপরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান আজকেই বলেছেন তাঁর যে পদত্যাগের দাবি উঠেছে, সেটা বিএনপির। যদিও এটাকে কেউ ই আমলে নিচ্ছেন না। আওয়ামীলীগ এর একজন দায়ীত্বশীল নেতা ও উনার বক্তব্যের দায়ভার সম্পর্কে হাত ঝাড়া বক্তব্য দিয়েছেন। নৌপরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান এর বক্তব্য কে ব্যক্তিগত বক্তব্য বলেই অভিহিত করেছেন জাতীয় সংবাদ মাধ্যমে।
নিহতদের পরিবার এর পক্ষ থেকে কোন রকম তদবির করতে হয়নি। সরকার নিহতদের অনুদান-সান্ত্বনা দিয়ে, বাড়ি গিয়ে ক্ষমা চেয়ে, শীঘ্রই নতুন আইন পাশের আশ্বাস দিয়ে, কোন মন্ত্রী আর হাসবেন না বলে শপথ করে, স্কুল-কলেজ বন্ধ ঘোষণা করে পরিস্থিতি সামাল দিতে চেয়েছেন। একমাত্র আড়িয়ল বিলে বিমানবন্দর তৈরি থেকে পিছু হঠতে হয়েছিল এছাড়া এই সরকারের আর কোন কিছুতেই হার ছিল না। তারপরেও একটু আগে কথিত সকল দাবী মেনে নেওয়ার যে মৌখিক খবর পাওয়া তা হয়তো এই ব্যর্থতার ঝুলিতে আরো একটি লাইন যোগ করতে যাচ্ছে।
তথাপি এই আন্দোলন যে সরকারকে কিছুটা নড়চড়া করাতে পেরেছে তা স্পষ্ট।
কিন্তু কেন এই আন্দোলন? আন্দোলনের দাবীগুলো তো অনেক পুরনো। তাও এসব দাবী আবার বর্তমান সরকারকে হটিয়ে অন্য কাউকে ক্ষমতায় বসানোর জন্য নয়, শুধু সড়কে সাধারণ মানুষের জীবনের নিরাপত্তা নিশ্চিতের দাবী। এসবের জন্য আন্দোলন কেন করতে হবে?
শিক্ষার্থীরা এই নৈরাজ্যের অবসান চায়। এটা আমরা সবাই চাই। আর যেন একজন মায়েরও বুক খালি না হয়।
সর্বশেষ এডিট : ০২ রা আগস্ট, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:২৪