ইন্টারনেট এর ব্যবহার প্রথম শুরু করেছিলাম সেই ২০০৭ সালে। তখন গুগল এ সার্চ করা ছাড়া আর কোন বিশেষ ওয়েবসাইট এর কথা মনে নাই এখন। তবে কয়েক মাস পরেই খোঁজ পেয়েছিলাম মিগ৩৩ দিয়ে চ্যাটিং, নেটওয়ার্কিং আর স্বল্প পরিসরে মিগ বন্ধুদের ইমেইল করা দারুন মজার একটা সফটওয়্যার।
২০০৮ সালে এসে ইয়াহু দিয়ে আমার দ্বিতীয় ইমেইল খুলেছিলাম। এখনকার রমরমা জিমেইল তখন প্রায় অপরিচিত একটা সার্ভিস। ইমেইল মানেই ইয়াহু ছিলো তখন।
ইয়াহু ইমেইল ব্যবহার করে ওয়াপট্রিক এ ওয়াপ সাইট খোলা, বিভিন্ন বিদেশী প্রতিষ্ঠানের মেইল এ মেইল করা, স্প্যাম মেইল ও সময় নিয়ে পড়া এমনকি উত্তর দেওয়া ছিলো সে সময় মুটামুটি খেলার ই একটা অংশ।
ডাউনলোড বলতে সে সময়ে সিনেট নামক সাইট থেকে সফটওয়্যার ডাউনলোড করতাম। তবে নিজের বসগিরি মুটামুটি ধরে রাখার জন্য বিশাল আকারের সফটওয়্যার এর কালেকশান সিডি পরবর্তিতে ডিভিডি ছিলো দারুন এক মজার অংশ।
গান বা ভিডিও এর জন্য ফানমাজা, সংস পিকে, মিউজিক.কম.বিডি ছিলো দাপুটে ওয়েবসাইট। গ্যাজেট ও সীমিত পরিসরেই পেয়েছিলাম সে সময়। অডিও শোনা, একটু রিমোটলি পিসি কনট্রোল করতে পারা তখনকার ম্যাজিক দেখানোর অন্যতম উপায় ছিলো।
ফেসবুকে ২ জি দিয়েই প্রথম প্রবেশ করেছিলাম। মাত্র ৭ জন বন্ধু নিয়ে প্রায় বছর খানেক পার করেছিলাম। নাহিদ নামে সারা বিশ্বের ১২ জনের নাম পেতাম তখন। সবাইকে মেসেজ করে জানিয়েছিলাম যে আমিও নাহিদ। এদের কয়েকজন নাহিদ নামের মেয়েও ছিলো।
জিপি এর এটা ওয়েব কেয়ার নামের সার্ভিস ছিলো। ওটা দিয়ে চ্যাট করেই অনেক সমাধান করা যেতো। বিশেষ করে এফএনএফ পরিবর্তন ছিলো অনেক উচ্চ মানের সার্ভিস এর মধ্যে একটা। পাড়ার মোবাইল সার্ভিস বা ছবি তোলার দোকানগুলোতে এ নিয়ে আমার বেশ চাহিদা ছিলো এবং বেশ উপভোগ করতাম প্রিমিয়াম গেস্ট হিসেবে।
মুটামুটি ২জি দিয়ে আমার যতটা চর্চার সময় পার করেছি, ৩ জি এসে একটা পাতাও হয়তো ঠিক মতো পড়ে উঠতে পারিনা। সলুশান ভিত্তিক ফোরাম এর চাইতে এখন কুইক ভিডিও তেই সমাধান দেখছি। থ্রিজি এসে প্রায় হাজার খানেক দুয়ার খুলে হয়তো দিয়েছে, তবে রিমার্ক করে রাখার মতো খুব বেশি ঘটনা মনে পড়ে না এভাবে।