স্কুলের শিক্ষক তার ক্লাসের শিক্ষার্থীদের সবক দিচ্ছেন। ঘুষ দিয়ে চাকরি নিলেও খুব একটা অপরাধ না। ঘুষ দিয়ে চাকরি নিয়ে পরে ঘুষ না খেলেই হয়ে গেলো।
ক্লাস এইটের বাচ্চাদের আর কতটাই বা ভালো মন্দ বিচার করার ক্ষমতা থাকে। তারা অনেক ক্ষেত্রেই শিক্ষকদের এসব কথাকে সারা জীবনের জন্য পাথেয় হিসেবে খুঁজে নেয়।
স্কুলের প্রতিটি শিক্ষক ন্যূনতম পাঁচ লাখ টাকা করে ঘুষ দিয়ে তবেই চাকুরীতে প্রবেশ করেছেন। হালাল উপায়ে পাঁচ টাকা ইনকাম করে যে শান্তি লাভ করা যায় সেটা পেতে হলেও হালাল পথে থাকা প্রয়োজন।
যার মুখটাই তিতা হয়ে আছে, সে আসলে কিভাবে বুঝবে তিতা আর মিঠার পার্থক্য! একটা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সামান্য ঝাড়ুদার থেকে শুরু করে প্রতিষ্ঠান প্রধান পর্যন্ত বিভিন্ন লেভেলে ঘুষ দিয়েই প্রবেশ করে। বিষয়গুলো প্রায় প্রকাশ্যেই চাউর হয়ে যায়, সবাই জানে। আর তাই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে চেইন অব কমান্ড, লিডারশিপ, মান্য করা বিষয়গুলো প্রায়ই উধাও হতে চলেছে।
কে কাকে মানবে? সবাই সভাপতির কাছে খৎনা দিয়েই আসছে।