ভারতীয় সমর্থকরা আর এই দেশে তাদের দালালরা বলছে যে একটা নো বলের ভুল ডিসিশনে নাকি খেলায় কিছু যায় আসে না!! যদি তাই হয় তাহলে আমরা একটু পিছনে ফিরে যাই। ১৯৯৬ এর বিশ্বকাপ। সেই সময়ও সাদা বল ছিল, থার্ড আম্পায়ার ছিল। সেমিফাইনালে কালুভিতরানা যখন টেন্ডুলকারকে স্টাপড করল, ফিল্ড আম্পায়ার আঙুল দিয়ে চারকোনা এঁকে থার্ড আম্পায়ারের কাছে পাঠিয়ে দিল। তখন আওয়ামি লীগের জম্পেশ হরতাল অবরোধ চলছিল তখন। আমার এখনো মনে আছে, টিভি আম্পায়ার প্রায় দশ মিনিট বা তারো কিছু বেশী সময় ধরে রিপ্লে দেখেও কোন সিদ্ধান্ত নিয়ে পারল না। এরকম ক্ষেত্রে বেনেফিট অভ ডাউটে ব্যাটস্ম্যান নট আউট হয়। কিন্তু আম্পায়ার আউট দিয়ে দিলেন। কিন্তু ভারত আর টেন্ডুলকার বলেই হয়ত দশ মিনিট নিলেন। এখন হলে এত সময় লাগে না, ওনারা আগেই জানেন কি করতে হবে!! এই সিদ্ধান্তে ক্ষিপ্ত হয়ে ইডেনের দর্শকরা লংকান খেলোয়াড়দের ওপর হাতে যা ছিল সব ছুঁড়তে থাকে। সেই ম্যাচ শ্রীলংকা জিতেছিল। কিন্তু আম্পায়ার নট আউট দিলে হয়ত টেন্ডুলকার ম্যাচ বের করে ফেলত। এরপর ইডেনে বহু দিন খেলা নিষিদ্ধ ছিল। কিন্তু আজকে যখন রিয়াদের আউট বা রুবেলের নো বল ডাকার ন্যায্য প্রতিবাদ করছি, দাদাদের আঁতে লাগছে। স্বয়ং আইসিসির প্রেসিডেন্ট প্রতিবাদ করছে এই অন্যায়ের। কিন্তু দাদারা আম্পায়ারদের আগলে রাখছে। এখন প্রযুক্তির উন্নয়নের কারনে আম্পায়ার জিনিসটাই অপাংক্তেয়। তারপরো তাদের অনেক ক্ষমতা। তাই এখন সময় এসেছে বিদ্রোহ করার। আমি প্রস্তাব করছি, বাংলাদেশ আইসিসি থেকে বের হয়ে আসুক। সমমনা দেশগুলার সাথে আলাপ করে আমরা ক্রিকেটের নতুন যুগের সুচনা করব। বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা, পাকিস্তান, জিম্বাবুয়ে, আয়ারল্যান্ড সহ অন্যদের নিয়ে গঠিত হোক নতুন সংস্থা, যার নাম হবে wco, world cricket organization. যার motto বা থিম হবে, Equal Cricket for All. কি, সম্ভব হবে করা? যারা আমার সাথে একমত, তারা এই আইডিয়াটা অন্যদের মাঝে ছড়িয়ে দিন, এই কান্না আর ভালো লাগে না, আমরা মুক্তি চাই!!
সর্বশেষ এডিট : ২৭ শে মার্চ, ২০১৫ রাত ৯:১১