আমি কত রাত কাটিয়েছি বসে বসে আকাশের দিকে তাকিয়ে,
গুনেছি চাঁদের চারপাশাটায় থাকা তারা গুলো একদম অযথা;
সেই রাত গুলোতে ছিলে তারায় তারায়, চাঁদের আলোয় মিশে।
মনের গভীরে ছিলো ভালোবাসায় পূর্ণ শ্রদ্ধাসন,
তোমাকেই বসিয়ে ছিলাম সেথা অন্তরের সমস্ত ভালোবাসায়;
এই মনের আকাশের নীল হয়ে বহুদিন করেছিলে মুগ্ধ,
মনের অন্দরমহলে তোমারই সাম্রাজ্য ছিলে মহারানী,
এই হৃদয়ের রাজ্যে একটাই রানী ছিলে তুমি।
এতবড় পৃথিবীতে আমার যেন-
শুধুই তোমার জন্য ছিলো ভালোবাসা আর সমস্ত বিশ্বাস।
কখনো কখনো হৃদয়ের গহীনে ঝড় বয়ে যায়,
বুকটার বাম পাষটায় বড্ড ব্যথা অনুভব করি।
এমনটা হয়নি তো আগে কোনদিন...!
এখন তোমাকে ভাবতে গেলেই ভেসে উঠে দুচোখ,
মনের গহীনে কেবল দুঃখই বাড়ায়,
মনটাকে কাঁদায় ভীষণ- নিজের ভুল আর ব্যর্থতায়।
সেদিন রাস্তার পাশে চাওয়ালীর দোকানে,
বাম হতের সিগারেটে সুখটান দিয়ে চা কাপে চুমুক দিতেই
চোখের সামনে দেখি সুন্দরী মেয়েটি-
একটা ছেলের হাত ধরে হেটে আসছে এদিকেই,
অপরিচিত জায়গা আমার,
কিছুই জানিনা কারো সম্পর্কে, চিনি না তো কিছুই।
মেয়েটির চোখমুখে চঞ্চলতা আমাকে বুঝিয়ে দিচ্ছে-
ভালোবাসার মানুষটির হাত ধরে উচ্ছ্বসিত মনেই পথ ছলছে দুজন।
তার হাসিখুশী ভরা মুখটা মুহূর্তেই আমার চোখকে ঝাপসা করে তুলেছিল,
আমি মুহূর্তে চা'তে পরের চুমুকে
তোমার আমার পথচলার দিনগুলো দেখতে পাই মনের আয়নায়।
জানি এখন আর আমার আগের সেই অনুভূতি নেই,
যা আছে কেবল অঙ্গার একটা মন।
সে মনেও সেদিন ভালোবাসার ব্যাকুলতা অনোভব করেছি!
মুহুর্তে চোখের সামনে ভেসে আসে সেই বিকেল,
মন মানুষের উরুতে মথা রাখিয়া-
গোধূলী রাঙা আকাশে সন্ধ্যাকে স্বাগত জানানোর স্বাদই আলাদা,
এ এক স্বর্গীয় অনুভব ছিল আমার কাছে।
মাথাটা আজও খুঁজে যখন বিছানায় শুয়ে শুয়ে তোমাকে ভাবি,
বোকের ডানপাশটায় ঠেকিয়ে তোমার বাম বুক
ডান হাতের আঙুল পাঁচটি খেলা করতো আমার চুলে!
আহ! কি মধুর ছিলো সেই দিনগুলো, সেই অনুভূতি!
তোমার শারিরের যৌবনা গন্ধে মাতাল হয়েছি কতদিন,
মনটা যখন চেয়েছে যেমন করেছি আদর কতভাবে
কত স্মৃতিই তো ঝং ধরে, একসময় মুছেই যায়।
অথচ, তোমাতে মিশে থাকা সেই বিশেষ স্মৃতিগুলো-
এখনও চকচকে মনের আয়নায়!
মুহূর্তে ভেসে উঠে চোখের পাতায়, যেন কম্পিউটার!
আজও সেই স্বাদ পাই, স্পষ্ট দেখি সেই স্বাণালী অঙ্গের ভাঁজ।
কিন্তু সবশেষে একটা দীর্ঘশ্বাস এসেই যায় তোমার নামের সাথে,
কতইনা কষ্টের থাকে সেই দীর্ঘশ্বাস, কতটা বেদনার।
কোন কোন অলস দুপুরে বা বিকেলবেলা
হৃদয়ের জানালা খুলতেই তোমার স্মৃতিগুলো সঙ্গী হয়ে যায়,
চোখের কোণ বেয়ে গড়িয়ে পড়তে ধাকে তোমার ভালোবাসা,
তোমাকে হারিয়ে ঠিকানা হারিয়েছে এই মনটা,
হারিয়েছি মনটার আবাসস্থল....।
তুমি ছিলে মসজিদ মন্দির গীর্জা, আমার এবাদতখানা,
তুমি ছিলে জীবনের সবচেয়ে বড় সম্পদ, বিশ্বাস।
অন্ধের মতো ভালোবেসেছি তোমাকে,
কখনোই তোমার ছলচাতুরি আমাকে ভাবায়নি,
অথচ আজ সেই বিশ্বাসই দীর্ঘশ্বাসের মূল কারণ।
আমার হাত ধরে পথ চলেছো, বসে থেকেছো ঘন্টার পর ঘন্টা,
বহুদিন বলেছো ওইমুখে, এখনও স্পষ্টতই যে কথা মোর শ্রবণে,
বলেছো কথা দাও ছাড়বে না এই হাত জীবনের কোন প্রান্তে,
আমি রেখেছিলাম সেই কথা, তুমি রাখতে পারনি!
স্বার্থের মোহে মুগ্ধ ওই নিষ্ঠুর হিয়া গিয়েছিল সব টুটে.....।
তুমি আজও জড়িয়ে আছো অঙ্গার জীবনটায়,
অনেক কিছুই পাল্টে গেল চোখের সামনে,
ভুলো মনটা ভুললো কতকিছু, কেবল তোমাকেই পারলো না ভুলতে!
তুমি আজও দীর্ঘশ্বাসে মিশে আছো হৃদয়ে থেকে।
বাহ! কি দারুণ মিল হিসবেবটায়- ভুল, বিশ্বাস, দীর্ঘশ্বাস।।