somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

তবুও জীবন বহিয়া চলে...

০২ রা জানুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ১২:২৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



জীবনটা বড়ই অল্প
অসীম আলোক গল্প

সীমানা নেই কোন
ভালবাসার স্বপ্ন

আঁধার ঘন জীবন স্বল্প
প্রেমের অন্ত নেই গো কোন

হালকা প্রদীপের আলো
নিষ্ঠুর জীবন গল্প

প্রহর গোনা আর বিভীষিকা কল্পনায়
মৃত্যুর সুবাস, প্রাণের বাতাস
মত্ত ইচ্ছা, চাওয়ার শুরু
হঠাৎ থমকে যাওয়া জীবনের শেষ হওয়া।



- লিখেছিলাম ২০১৪-তে। বড় আম্মা তখন খুব অসুস্থ। আব্বা বেশ সেবাযত্ন করার সুযোগ পেয়েছিল। আমার মা মানে ছোট আম্মা ঠিক ১০ বছর আগে ২০০৪-এ মারা যায়। তখনো আব্বা বেশ সেবাযত্ন করেছিল। সেপ্টেম্বরের শেষ রাত, Birdem-এর ICU-তে বড় আম্মা। ডাক্তার আমাকে ডেকে বলেছিল কিছু শক্তিশালী ওষুধ দিবে আম্মাকে। তারপর বাঁচতে পারে নাও বাঁচতে পারে। তার আগে জিজ্ঞাসা করেছিল কে আমি, বলেছিলাম stepson। একটা ফরমে সাক্ষর করতে দিল। করলাম। কিছু সময় পর আমার কাছে এসে বলল যা শোনার জন্য প্রস্তুত ছিলাম না আবার ছিলামও। রক্তের না হয়েও রক্তের চেয়ে যেন বেশি ভালোবাসা পেয়েছিলাম। কষ্টটাও তাই হয়তো বেশি পেয়েছিলাম।

এখন লিখছি ২০২৪-এ। অদ্ভুত লাগে জীবনটা। দুটোই ছিল আমার আব্বার প্রেমের বিয়ে। বড় আম্মা নিঃসন্তান ছিল, আমার মায়ের থেকে ৪ ছেলে মেয়ে পায় আব্বা। একখান বাড়ি বানিয়েছিল ভীষণ শখ করে। এখন কেউই থাকেনা ঘরগুলোই। বেশ নড়বড়ে অবস্থায় রক্তের সম্পর্ক গুলো। ধুলো মুছে স্মৃতি উজ্জীবিত করতেও যাওয়া হয়না এখন আর।

তবুও জীবন বহিয়া চলে...




ছবি - ২০২০ সালের অক্টোবর, বরিশালের আটঘর কুরিয়ানায় গিয়ে এই দৃশ্যের সাক্ষী। এটা কি আমাদের ক্লাসিক বাংলা উপকথা থেকে কিছু মনে হচ্ছে না? লকডাউনের জীবন তাদের কাছে অতীতের মতোই ছিল কিন্তু আমাদের জন্য ছিল তা বড়ই নতুন।
সর্বশেষ এডিট : ০২ রা জানুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ১:০৩
১০টি মন্তব্য ১০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ব্যবহারে বংশের পরিচয় নয় ব্যক্তিক পরিচয়।

লিখেছেন এম ডি মুসা, ২৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১০:১৫

১ম ধাপঃ

দৈনন্দিন জীবনে চলার পথে কত মানুষের সাথে দেখা হয়। মানুষের প্রকৃত বৈশিষ্ট্য আসলেই লুকিয়ে রাখে। এভাবেই চলাফেরা করে। মানুষের আভিজাত্য বৈশিষ্ট্য তার বৈশিষ্ট্য। সময়ের সাথে সাথে কেউ কেউ সম্পূর্ণ... ...বাকিটুকু পড়ুন

মহিলা আম্পায়ার, কিছু খেলোয়ারদের নারী বিদ্বেষী মনোভাব লুকানো যায় নি

লিখেছেন হাসান কালবৈশাখী, ২৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:০৯



গত বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল প্রাইম ব্যাংক ও মোহামেডানের ম্যাচে আম্পায়ার হিসেবে ছিলেন সাথিরা জাকির জেসি। অভিযোগ উঠেছে, লিগে দুইয়ে থাকা মোহামেডান ও পাঁচে থাকা প্রাইমের মধ্যকার ম্যাচে নারী আম্পায়ার... ...বাকিটুকু পড়ুন

জানা আপুর আপডেট

লিখেছেন আরাফআহনাফ, ২৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:৫৭

জানা আপুর কোন আপডেট পাচ্ছি না অনেকদিন!
কেমন আছেন তিনি - জানলে কেউ কী জানবেন -প্লিজ?
প্রিয় আপুর জন্য অজস্র শুভ কামনা।



বি:দ্র:
নেটে খুঁজে পেলাম এই লিন্ক টা - সবার প্রোফাইল... ...বাকিটুকু পড়ুন

বন্ধুর বউ কে শাড়ি উপহার দিলেন ব্যারিস্টার সুমন। বাটার প্লাই এফেক্ট এর সুন্দর উদাহারন।

লিখেছেন নাহল তরকারি, ২৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:০৭



এক দেশে ছিলো এক ছেলে। তিনি ছিলেন ব্যারিস্টার। তার নাম ব্যারিস্টার সুমন। তিনি একজন সম্মানিত আইনসভার সদস্য। তিনি সরকার কতৃক কিছু শাড়ি পায়, তার জনগণের মাঝে বিলি করার জন্য।... ...বাকিটুকু পড়ুন

অধুনা পাল্টে যাওয়া গ্রাম বা মফঃস্বল আর ভ্যাবাচ্যাকা খাওয়া শহুরে মানুষ!!

লিখেছেন শেরজা তপন, ২৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:০০


দেশের দ্রব্যমুল্যের বাজারে আগুন। মধ্যবিত্তরা তো বটেই উচ্চবিত্তরা পর্যন্ত বাজারে গিয়ে আয়ের সাথে ব্যায়ের তাল মেলাতে হিমসিম খাচ্ছে- - একদিকে বাইরে সুর্য আগুনে উত্তাপ ছড়াচ্ছে অন্যদিকে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমুল্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

×