বিশ্বকাপের দামামা বাজছে, আর কদিন পরেই শুরু হয়ে যাবে ক্রিকেট যুদ্ধ। আমাদের ময়দানে, আমদের দেশের যুদ্ধারাও নামবে যুদ্ধে, ১৬ কোটি বাংলাদেশীর সৈনিকদের প্রতি আমাদের শুভকামনা থাকবে অবশ্যই।
কিন্তু আমরা কি পারিনা এই সৈনিকদের প্রতি একটুকরো লাল-সবুজ উৎসর্গ করতে?
যখন ভিন্ন দেশে বিশ্বকাপ হয় তখন বাংলাদেশের মত পৃথিবীতে দ্বিতীয়টি নেই যেই দেশ ঐ বিশ্বকাপে খেলেনা অথচ লক্ষ লক্ষ পতা উড়ে অন্য দেশের।, যে পরিমান পতাকা ফুটবল বিশ্বকাপের সময় উড়ানো হয়েছে আমাদের গর্বের বিজয় দিবস কিংবা স্বাধীনতা দিবসেও এর দশ ভাগের এক ভাগ পতাকা উড়ানো হয়না।
যে দেশকে আমরা চিনিনা যে দেশের মানুষজন এমনকি খেলোয়ারাও হয়ত জানেনা বাংলাদেশ নামে একটি দেশ আছে আমরা সেই সব দেশের পতাকা উড়িয়েছি, কে কত বড় পতাকা উড়াতে পারে এটা নিয়ে প্রতিযোগিতা এমনকি এক প্রকার যুদ্ধ হয়, ব্রাজিল আর্জেন্টিনার সমর্থকদের মাঝে সংঘর্ষ করে দেশের এবং জনগনের সম্পদ নষ্ট করা হয়েছে, রাস্তার মানুষজনকে ভুগান্তিতে ফেলা হয়েছে। , সাড়া দেশে কয়েক কোটি টাকার পতাকা উড়ানো হয়েছে।
আমদের দেশে আমরা ভিনদেশের পতাকা উড়ানোর সময় কত টাকা অপচয় হল সেটা দেখিনা, একটা ভিনদেশী পতাকা না উড়িয়ে ঐ পরিমান টাকা একটা গরিব অসহায় দুস্থ মানুষের হাতে তুলে দেই না।
আজ সেই সব সমর্থকদের বিবেকের কাছে একটা প্রশ্ন-
ব্রাজিল আর্জেন্টিনা কিংবা অন্য দেশের পতাকা চেয়ে কি আমাদের নিজের দেশের পতাকাটাকে প্রাপ্য সন্মান দিচ্ছি?
আজ নিজের দেশে বিশ্বকাপ, নিজের দেশ খেলছে সেই বিশ্বকাপে কিন্তু কোথায় আমাদের উন্মাদনা কোথায় আমাদের পতাকা?
আসুন -
অন্তত একটি দেশের পতাকা উড়াই, এবং অন্যকে পতাকা উড়াতে উদ্ভুদ্ধ করি।
ভাষার মাস এবং বিশ্বকাপে আমাদের পতাকার মর্যাদাকে অক্ষুন্ন রাখি
দেশটাকে লাল সবুজে রাঙ্গিয়ে দেই
বিঃদ্রঃ পতাকার মাপ এবং রং যেন সিঠিক হয় এর দিকে লক্ষ রাখবেন।