প্রথমেই বলে নেই এইটা একটা চরম আজাইড়া পোস্ট, ( আমার অন্য পোস্টগুলার চেয়েও আজাইড়া)। সো নিজ দায়িত্বে পইড়েন, পইড়া আমারে গালি দিয়েন না।
রাতে ভাত খেতে গিয়ে মেন্যু দেখে পুরা অফ হয়ে গেলাম। বড় মাছের তরকারী আর ডাল।খাবারের মেন্যুতে মাছের আইটেম থাকলেই আমার 'চিক্কুর দিয়া কান্তে ইচ্ছা করে'। আমি সাধারণত ভর্তা-ভাজি, সবজি দিয়ে খাওয়ার কাজ চালাই, নইলে ডাল তো আছেই। তরকারীর দিকে তাকালাম,মাছের টুকরোগুলা আমার দিকে তাকিয়ে ভেংচি দিচ্ছে। । মনের দুঃখে ফ্রিজ খুললাম, প্রথমে চোখ পড়লো ডিমের উপর। ডিম সাধারণত খেতে পারিনা তাও আজকে সকালে প্রায় একটা ডিমভাজা খেয়েছি। সো ডিম বাদ। তরকারীর দিকে তাকাতেই দেখি বেগুন আমার দিকে তাকায়া মুচকি হাসি দিলো। ছোট সাইজের একটা বেগুন নিলাম, আজকে বেগুন ভাজা দিয়েই খাবো।
ভাজতে গিয়ে দেখি কি কি মশলা দিতে হয় তা ভুলে গেছি। সাধারণত রান্না করিনা, করলেও আম্মা বলে দেন কি কি মশলা দিতে হবে, আমি ওইগুলো দিয়েই রান্না করি। কখনো মনে রাখার চেষ্টাও করিনা। এদিকে আম্মা ঘুমিয়ে পড়েছেন। সিদ্দিকা কবীরকে জিজ্ঞেস করবো ভেবে রান্নার বইটা হাতে নিলাম। বেগুন ভাজি কি জিনিষ তা এই মহিলা জানেনা।
চিন্তা করলাম সব মশলা দিয়ে দিবো । আমি কি আর কাউরে ডরাই! একটু একটু করা আদা বাটা, রসুন বাটা, হলুদ, মরিচ, ধনিয়া আর জিরার গুড়া, লবণ নিলাম। পেঁইয়াজ বাটা খুজে পাচ্ছিনা। সবসময় তো বক্সে সব রকম মশলা বাটা থাকে, আজকে নেই কেন? । পাটায় একটু করে পেঁয়াজ বেটে নিলাম। বেগুন স্লাইস করে তিন টুকরো নিলাম, বেশী করে ভেজে লাভ নাই, সবার খাওয়া শেষ ততক্ষণে।
মশলায় একটু পানি নিলাম, পানি বেশী হয়ে গেছে মনেহয় মশলা মিক্সডটা ভালো হয়নি, ছাড়া ছাড়া হয়ে আছে।
কড়াইয়ে তেল দিয়ে বেগুনে মশলা মাখিয়ে ভেজে নিলাম। ইয়াল্লা! চেহারা এমন কেন?
আমি ততক্ষণে 'খিদায় চোক্ষে আন্ধাইর দেখতাসি', বেগুনের চেহারা দেখার টাইম নাই।
খেতে গিয়ে দেখি ব্যাপক মজা হইছে খালি লবণ একটু কম হইছে। উঠে গিয়ে লবণ আনতে পার্তাম্না, এম্নিতেই খায়া ফেলছি।
( শর্তঃ এই রেসিপিতে রান্না করে খেতে হলে পেটভর্তি খিদা থাকতে হবে)