মাথার দুপাশ ধবধব করছে যন্ত্রণায়। গত কিছুদিন ধরে নতুন এই উপসর্গ আমার জীবনে বাসা বেঁধেছে।
সইতে পারিনা...।
বিষয়টায় নতুন মাত্রা যুক্ত হচ্ছে সময় সময়। এখন দুপুর, চূড়ান্তরকম বোরিং সময়। জীবনটাকে মনে হচ্ছে এক্কেবারে যাচ্ছেতাই পাগলা ঘোড়া। মাঝে মাঝে ইচ্ছে করে জোরসে এক চিৎকার দিয়ে বলি- i hate myself, sometimes. পারিনা। ব্যাপারটা খুবই যন্ত্রনাময়।
যে কারনে লিখতে বসা, কথা হচ্ছিলো ভাসমান জীবন নিয়ে। আমার থিউরী টু থিউরী লম্ফঝম্ফের দৌড় সীমিত। তাই কারো থিউরী রেফার করে ভাবনাগুলোর জীবনদান করা আমার পক্ষে দুস্কর। আমি এই অকল্পনীয় যন্ত্রণাকর সময়টায় লিখতে বসেছি কিছু লিখবো বলে। লিখতে পারছি না ঠিক মত।
বার বার কে যেন ফিসফিসিয়ে বলছে- তোরা মনুষ্যগণ ভাসমান।
আমি সমাধান খুঁজে পাইনা, যন্ত্রণাটা নিয়ে গুমরে উঠি, সময় সময়।
ভাসমান কথাটা সঠিক। না-মানুষে নোঙর ফেলেছি, শরীরে ইয়া বড় একখান না-মানুষ সাইনবোর্ড, তাই ভাসমান নিয়ে যখন কথা ওঠে তখন পুরোপুরি সজাগ হয়ে ভাবতে শুরু করি।
আমরা প্রতিটি না-মানুষ এবং হাঁ মানুষগণ ভাসমান। ভেসে চলেছি অনন্তকাল ধরে, কোন চিরন্তন শক্ত দাবী ব্যতিরেকেই। না-মানুষের জীবনে ব্যর্থতা বেশি, হাঁ মানুষের কম, তারা সুখে থাকে, তারা সহজে মারা যায়, সকালে ঘুম ভাঙ্গলে দেখা যায় 'কি আশ্চায্য তারা বেঁচে উঠেছে, ফের!'
না-মানুষের জীবনে 'ভাসমান' শব্দটা ভালো রকম জড়িত। তারা কোন কিছুতেই অত্যাধিক বুদ্ধিদীপ্ত না। তারা সীমিত চাওয়ার দাবিদার। হাঁ মানুষের চাহিদার শেষ নাই, নিজের স্বার্থের জন্য স্বজনের গলায় চুরি ধরতে সময় বেশি লাগেনা। তারা লজিক্যালি মারা যায়, কিংবা নিজেদের ধ্বংস করে জেনেশুনেই। তারাতো জানে সকালেই তাদের নিশ্চিত নতুন জীবন, তারা প্রত্যহ চাহিদার স্রোতে ভাসমান।
না-মানুষগণ অবশ্য এমন লজিক্যাল মৃত্যু খুব ভয় করে। তারা ভাসমান, পানকুড়ির মতনই। সব কিছু ডুব দিয়ে দেখে নেয়া... তারপর সন্ধ্যা হলে বাড়ি ফেরা। তাদের জীবনে পুনরুন্থান নাই, প্রাপ্তি নাই, তাদের জীবনটা শূণ্য।
সর্বশেষ এডিট : ১৮ ই জুন, ২০০৭ বিকাল ৫:৫৪

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




