- আমাকে ছোবে না, একেবারেই ছোবে না
বলেই তিন হাত পিছিয়ে গেল সে। অবাক হয়ে গেলাম। বাজারের ব্যাগটিই পড়ে যাচ্ছিল হাত থেকে প্রায়। দেবে নাকি তলোয়ারের এক কোপ ?
- তোমাকে ছোয়া নিষেধ কেন ?
- আমাকে ছুলেই 'লানত' হবে তোমার।
- 'লানত' কাকে বলে ?
- 'লানত' হচ্ছে ব্লগেশ্বরের অভিশাপ। তাতে ভ্যানিশও হয়ে যেতে পারো।
- 'লানত' আর কি কি কারণে হতে পারে ?
- সোজা কথা সোজাভাবে বললে 'লানত'। মানবিকতার কথা বললে 'লানত'। মানুষকে মানুষ হিসেবে দেখলে 'লানত'। আর সাবধান! ধর্মান্ধতার বিরুদ্ধে বলবে না একেবারেই। তাহলে আরো বড় 'লানত'। শিড়দাড়া সোজা করে দাড় হবার চেষ্টা করবে না একেবারেই। তাহলেও 'লানত'। দেখনা ক্যমনে দাড়িয়েছি আমি।
- 'লানত' দেবে কারা।
- তিনকোনা মানুষেরা। ওরা 'লানত' এর জিকির করে প্রতিদিন। সকাল বিকাল সন্ধ্যা, এমনকি গভীর রাতেও। শোননি কোনদিন ?
জিকির শুনিনি কোনদিনও। কিন্তু কোন 'লানত' আসে কে জানে ? তাই ভয়ে ভয়ে বললাম
- শুনেছি।
- একটা তিনকোনা মুখোশ কিনে নিও। বাজারে অনেক পাওয়া যায় আজকাল। ওরা খুশী হয় তাতে।
- ওরা কারা, ওরা কোথায়?
- ওরা সবখানে। স্থলে জলে বাতাসে সর্বত্র। সাবধান যা কিছু করবে, লুকিয়ে লুকিয়ে করবে। তিনকোনা মুখোশ পড়লে ন্যাংটো হলেও তোমাকে কেউ দেখবে না।
- না দেখলে কি লাভ ?
- না দেখলে যা খুশী করতে পারবে। কিছুই আর নাজায়েজ থাকবে না।
- তুমি তিনকোনা মুখোশ পড়নি কেন?
- পড়েছি, কাজ হচ্ছে না।
- কাজ হচ্ছে না কেন ?
- আমি যে তালপাতার সেপাই। আমার জন্যে সবসময়েই 'লানত'।
সর্বশেষ এডিট : ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০০৬ সকাল ৯:১৯

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



