আগের পর্ব ...
তাসবীহ পাঠকারী- শেষ অংশ
উবাদা ইবনু ছামেত (রা.) হতে বর্ণিত তিনি বলেন, রাসূল (ছা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি রাত্রিতে জাগ্রত হয়ে বলে আল্লাহ ব্যতীত কোন উপাস্য নেই, তিনি এক, তাঁর কোন শরীক নেই, তাঁরই রাজত্ব, তাঁরই জন্য প্রশংসা, তিনি সমস্ত বিষয়ের উপর ক্ষমতাবান, আমি আল্লাহর পবিত্রতা বর্ণনা করছি, সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর, আল্লাহ ব্যতীত কোন মা‘বূদ নেই, আল্লাহ অতি মহান, আল্লাহর সাহায্য ব্যতীত আমার কোন শক্তি ও সামর্থ্য নেই। অতঃপর বলে, হে পরওয়ারদেগার! তুমি আমায় ক্ষমা কর। অথবা কোন প্রার্থনা করে (রাবীর সন্দেহ, রাসূল কোন শব্দ বলেছেন), আল্লাহ তার সে প্রার্থনা কবুল করেন এবং সে যদি ওযূ করে ছালাত আদায় করে, আল্লাহ তার সে ছালাত কবুল করেন’ {বুখারী, বঙ্গানুবাদ মিশকাত হা/১১৪৫}।
আবু হুরায়রাহ (রা.) হতে বর্ণিত তিনি বলেন, রাসূল (ছা.) বলেছেন, ‘তোমরা বিপদের কষ্ট, দুর্ভাগ্যের আক্রমণ, নিয়তির অনিষ্ট ও বিপদে শত্রুর হাসি হতে আল্লাহর নিকট আশ্রয় প্রার্থনা কর’ {মুত্তাফাক্ব আলাইহ, বঙ্গানুবাদ মিশকাত হা/২৩৪৪}।
আনাস (রা.) হতে তিনি বলেন, রাসূল (ছা.) বলতেন, আল্লাহ আমি তোমার নিকটে আশ্রয় চাই চিন্তা, শোক, অক্ষমতা, অলসতা, কাপুরুষতা, কৃপণতা, ঋণের বোঝা ও মানুষের জবরদস্তি হতে’ {মুত্তাফাক্ব আলাইহ, বঙ্গানুবাদ মিশকাত হা/২৩৪৫}।
যায়েদ ইবনু আরকাম (রা.) হতে তিনি বলেন, রাসূল (ছা.) বলতেন, ‘হে আল্লাহ! আমি অক্ষমতা, অলসতা, কাপুরুষতা, কৃপণতা, বার্ধক্য ও কবর আযাব হতে তোমার আশ্রয় প্রার্থনা করছি। হে আল্লাহ! আমার আত্মাকে সংযম দান কর, তাকে পবিত্র কর, তুমিই শ্রেষ্ঠ পাবক, তুমি তার অভিভাবক ও প্রভু। হে আল্লাহ! আমি তোমার নিকট আশ্রয় প্রার্থনা করছি ঐ জ্ঞান হতে যা উপকার করে না, ঐ অন্তর হতে যা ভীত বা বিনম্র হয় না, ঐ মন হতে যা তৃপ্তি লাভ করে না এবং ঐ দো‘আ হতে যা কবুল হয় না’ {মুসলিম, বঙ্গানুবাদ মিশকাত হা/২৩৪৭}।
আব্দুল্লাহ ইবনু ওমর (রা.) হতে তিনি বলেন, রাসূল (ছা.)-এর দো‘আ ছিল, ‘হে আল্লাহ! আমি তোমার আশ্রয় প্রার্থনা করছি তোমার নে‘আমতের হ্রাস প্রাপ্তি, তোমার শান্তির বিবর্তন, তোমার শাস্তির হঠাৎ আক্রমণ এবং তোমার সমস্ত অসন্তোষ হতে’ {মুসলিম, বঙ্গানুবাদ মিশকাত হা/২৩৪৮}।
আয়েশা (রা.) হতে তিনি বলেন, রাসূল (ছা.) বলতেন, হে আল্লাহ! আমি তোমার নিকট আশ্রয় চাই, যা আমি করেছি তার অনিষ্ট হতে এবং যা আমি করিনি তার অনিষ্ট হতে’ {মুসলিম, বঙ্গানুবাদ মিশকাত হা/২৩৪৯}।
ইবনু আব্বাস (রা.) হতে তিনি বলেন, রাসূল (ছা.) বলতেন, হে আল্লাহ! আমি তোমার নিকট আত্মসমর্পণ করলাম, তোমার প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করলাম, তোমারই প্রতি ভরসা করলাম, তোমরাই দিকে প্রত্যাবর্তন করলাম এবং তোমার সাহায্যে (তোমার শত্রুর সাথে) লড়লাম। হে আল্লাহ! আমি তোমার প্রতাপের আশ্রয় প্রার্থনা করছি, তুমি ব্যতীত কোন মা‘বূদ নেই, আমাকে পথভ্রষ্ট করা হতে, তুমি চিরঞ্জীব, কখনও মরবে না; আর জিন ও মানুষ মৃত্যু বরণ করবে’ {মুত্তাফাক্ব আলাইহ, বঙ্গানুবাদ মিশকাত হা/২৩৫০}।
আবু হুরায়রাহ (রা.) হতে তিনি বলেন, রাসূল (ছা.) বলতেন,হে আল্লাহ! আমি তোমার নিকট সত্যের বিরুদ্ধাচরণ, কপটতা ও চরিত্রের অসাধুতা হতে আশ্রয় প্রার্থনা করছি’ {আবু দাউদ, নাসাঈ, বঙ্গানুবাদ মিশকাত হা/২৩৫৪}।
জাবির (রা.) বলেন, রাসূল (ছা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি বলবে ‘সুবহানাল্লাহিল আযীম ওয়া বিহামদিহি’ অর্থাৎ মহান আল্লাহর পবিত্রতা বর্ণনা করি তাঁর প্রশংসার সাথে তার জন্য জান্নাতে একটি খেজুর গাছ রোপন করা হবে’ {তিরমিযী, হাদীছ ছহীহ, মিশকাহ হা/২৩০৪; বাংলা মিশকাত হা/২১৯৬}। হাদীছ দ্বারা প্রমাণিত হয় যে, এই তাসবীহ পাঠ করলে আল্লাহ তাকে জান্নাত দিবেন।
আবদুল্লাহ ইবনু আমর (রা.) বলেন, রাসূল (ছা.) বলেছেন, ‘সর্বোত্তম যিকির হচ্ছে ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ’ এবং সর্বোত্তম দো‘আ হচ্ছে ‘আলহামদুলিল্লাহ’ {তিরমিযী, হাদীছ ছহীহ, মিশকাত হা/২৩০৬}।
ইনশাআল্লাহ্ চলবে ...
রচনাঃ
আব্দুর রায্যাক বিন ইউসুফ