সেদিন শনিবার ছিল বোধ হয়। ঘুম থেকে উঠতে একটু বেশীই দেরী করে ফেললাম অনেকটা ইচ্ছে করে। বাসষ্ট্যান্ড থেকে আমার বাসাটা একটু দূরেই। ঘুম থেকে উঠে তড়িঘড়ি করে ব্রাশ করে, গোসল সেরে সকালের নাস্তাটাও করলাম। যখন ঘড়ির দিকে তাকালাম তখনই আমার মনে হল যে আজকে নিশ্চিত অফিসে লেট হব।
কি -ই বা আর করার। বাসা থেকে বের হয়ে বাসষ্ট্যান্ডে যেতে হলে আমাকে একটি জেব্রা ক্রসিং পার হতে হয়। আসলে আমি যতটুকু জানি "জনগণকে আগে রাস্তা পার হতে দেয়া" -টাই হল জেব্রা ক্রসিং এর উদ্দেশ্য। কিন্তু প্রতিদিনই আমাকে তার উল্টোটা দেখতে হতো, শুধুকি দেখতে সাথে ভোগান্তিও পোহাতে হতো। প্রতিদিনই দেখতাম রাস্তা দিয়ে কে পার হচ্ছে না হচ্ছে তা দেখার কোন সময়ই নেই গাড়ী চালকদের।
প্রতিদিনই একটা জিনিস দেখতে দেখতে কিছুটা অভ্যাসে পরিণত হয়ে গিয়েছিল আমার। তাই রাস্তাটা পার হতে হলে একটা সাবধানেই পার হতাম। ঐ দিনও ঠিক তাই এদিক একবার ঐ দিক একবার তাকিয়ে দেখলাম য, একটা গাড়ী আসছে। তাই আমি গাড়ীটাকে কিছুটা সমীহ করে রাস্তার একপাশে দাড়ীয়েই গেলাম।
পরবর্তী যে ঘটনাটা ঘটল তা দেখে আমি অবাক না হয়ে আর পারলামই না। গাড়ী চালক গাড়ীটা থামিয়ে আমাকে হাত ইশারা করে রাস্তাটা পার হতে বললেন, সাথে একটু খানি মুছকি হাসিও হাসলেন।
আমি প্রথমে বিশ্বাসই করতে পারছিলাম না যে আমি বাংলাদেশে আছি এবং এও বিশ্বাস হচ্ছিলনা যে, গাড়ীর চালক বাংলাদেশী। কিন্তু পরে তার মুখে বাংলা কথা শুনে বিশ্বাস না করে আর পারলাম না।
তখন আমার সিঙ্গাপুরের কথা খুব মনে পড়ছিল। কারণ দীর্ঘ্য ২ টা বছর আমি সিঙ্গাপুরে কাটিয়ে এসেছি। কি সুন্দর ছিল ওখানকার পরিবেশ, কত পরিচ্ছন্ন রাস্তা সেটা মুখে বলে বুঝানো যাবে না।
ব্লগার বন্ধুরা এটাও জানি বাঙ্গালী শুধু বলতে পারে। তারপরেও বলছি আমরা কি পারি না ওদের মত করে আমাদের দেশটাকে সাজাতে। আসলে আমাদের অভাবটা কোথায়; আসুন একটু আলোচনা করি ....

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




