আমাকে তুমি ছুঁইয়ো না কখনও, কোনদিনই নয়
আমার বুকের মধ্যে নদীর জলের উদ্দাম নৃত্য
বেশরম খুব- বেহায়া ভীষণ; ‘সভ্যতার’ ঘোরটোপ
না মানা জানোয়ার আমার রক্তে আগুন ধরায় প্রতিদিন।
তুমি আমাকে ছুঁলে তোমার পেলম মসৃন হাত
পুড়ে যাবে আগুনে, সংসার উচ্ছন্নে যাবে,
খসে পরবে শরীর থেকে সভ্যতার নামাবলি-
কেন বিষাক্ত হবে তুমি, কেন?
মানুষ জেনে গেছে চাঁদের নিজস্বতা নেই কিছুই
দূর থেকে যা দেখেছি এতোদিন মিথ্যে ছিলো সব
পাথরে- ধূলায় কলঙ্কিত সে চাঁদ অজানা ছিলো বলেই
অপার নান্দনিকতায় মোড়কে ঢাকা ছিলো ।
আমিও দূরে থাকতে চাই দূরে বহু দূরে কোন এক
অজানা অদ্ভূত শহওে, খুব একান্তে আনমনা তুমি ছাড়া।
তুমি হাত বাড়াও আমার দিকে, সে অজানা নয় কিছু
তোমার চোখ তোমার শরীর সে কথা বলে প্রতিনিয়ত
তোমার বাক্য পাথরে ঘষে ঘষে আগুন জ্বালায় দেহে
সে আগুনে পুড়েই আমি চিতাভস্মের মতো উড়ে যাই।
আমিও তোমাকে ছুঁতে চাই প্রাণপণে- ভোমর যেমন
ফুলকে ছোঁয়, আকাশ যেমন মাটিকে স্পর্শ করে দিগন্তে
নদী মোহনায় মেশে সাগরে। আমাদের মিলনের মোহনা
সভ্যতার বালিয়াড়িতে ঢেকে আছে নিয়মের বেড়াজালে!
আজ যতই আদিমতার জয়গান গাই, সভ্যতার জিঞ্জির
ছিঁড়ে ফেলে এগিয়ে যাই মিলন মোহনায় খোঁজে, তাতে
লাভ নেই কোন, সিদ্ধিলাভ অসম্ভব পরাধীন এই জগতে
আমরা আর আদিম মানুষ হতে পারবো না কোনদিনই।
২২ ফেব্রুয়ারি, ২০১২