somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

প্রমোদযানে একদিন

২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১০ বিকাল ৫:৫৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

(লেখাটি গতকাল- ২৪.১২.১০ তারিখে, চট্টগ্রামের ‘দৈনিক পূর্বকোণ’ পত্রিকায় ছাপা হয়েছে। ব্লগের প্রিয় পাঠকদের জন্য এখানে পোস্ট দিলাম।)

জোয়ান রিকশাঅলা গহর আলী কান খাড়া করে ধীরে ধীরে প্যাডেল মেরে চলেছে। খোলামেলা এলাকাটা একবার চক্বর দেয়া হয়ে গেছে এরই মধ্যে। চারিদিক বড় বেশী সুনসান। এদিকটায় ভারী যান চলে না। টেক্সি-রিকশাই বেশী চলে, তাও হালকা পাতলা। বৃষ্টির পানি এক ফোঁটা দু’ফোঁটা করে কখনো সখনো পড়ছে কি পড়ছে না ঠিক বোঝা যাচ্ছে না। গহরের কেবলই মনে হচ্ছে, রাস্তায় মাঝে মাঝে যে দু’এজন লোক দেখা যাচ্ছে তারা সবাই তার রিকশার দিকেই তাকিয়ে আছে। বৃষ্টি নেই অথচ রিকশার হুড তোলা, পর্দা টাঙ্গানো। প্রশ্ন জাগাই স্বাভাবিক। পর্দার নীচের অংশ কিছুটা খাটো। সেখানে দু’জোড়া বেহায়া পা দেখা যাচ্ছে। পর্দাটি খাটো হওয়ায় গহরকে কন্জুস ভাবাটা ঠিক হবে না। ওটা আসলে মাপ মতই ছিল। যাত্রীরা উপরের অংশ আরো কিছুটা উপরের দিকে তুলে ধরায় নীচের অংশটিকে খাটো দেখাচ্ছে।

রিকশায় সাধারণত পাশাপাশি দু’জন প্রাপ্তবয়স্ক বসার পর সিটে আর কোন জায়গা থাকে না। কিন্তু এই রিকশার যাত্রী ধারণ ক্ষমতা অন্য আর দশটার মত হলেও, সমীকরণটা ভিন্ন। রিকশার পেছন দিকের কোণার সামান্য ফাঁক দিয়ে নির্লজ্জ ভাবে তাকালে স্পষ্ট বোঝা যাবে, পাশাপাশি দু’জন বসা সত্ত্বেও তাদের পাশে আরো একজন বসার মত জায়গা রয়ে গেছে। ভিতর থেকে নানান কিসিমের শব্দ ভেসে আসছে। কোনদিকে কোন খেয়াল নেই যাত্রীদের। গহর আলী মনযোগ দিয়ে শোনার চেষ্টা করছে ভিতরের কথাবার্তা। তবে সেখানে কথার চাইতে শব্দ হচ্ছে বেশী। টক জাতীয় কিছু খাওয়ার সময় জিহ্বা আর তালুর সংঘর্ষে যেমন টকালো আওয়াজ বের হয়, এ শব্দগুলোও অনেকটা সেরকম। কেউ একজন মাঝে মাঝে কুকুর ছানার মত কুঁই কুঁই করছে। রোদের কোন দেখা নেই। রাস্তা মসৃন হওয়ায় রিকশা চালাতে তেমন কষ্টও হচ্ছে না। তবুও গহর ভিতরে ভিতরে খানিক গরম অনুভব করছে।

সস্তায় বিনোদন পেতে সিনেমা হলের বারান্দায় লাগানো পোস্টারে, ‘বারান্দা শো’ দেখে দেখে পকেটের খরচ বাঁচায় গহর। আর বেশী খায়েস হলে, বটতলার চিপা গলির শেষ মাথায় হাকিম্মার অন্ধকার বাসায় ভি.সি.আরে একধরনের ছবি দেখানো হয়, সেসব দেখতে যায়। পেছন থেকে ভেসে আসা টকালো শব্দমালা, তার সেই খরচাটাও বাঁচিয়ে দিচ্ছে আজ। লজ্জায় সাধারণত মাথা নীচু হলেও তার মাথাটা ক্রমশ উঁচু হতে লাগল। প্যাডেল মারতে সমস্যা হচ্ছে খুব।

আজ তার দিনটা বড় ভাল যাচ্ছে। সকালে একটা সুসংবাদও পেয়েছে সে। আগামী শুক্রবার কুলসুমের গার্মেন্টস বন্ধ থাকবে। ওভারটাইম হবে না। সে বলেছে তার দজ্জাল বড় বোনটা সেদিন বাসায় থাকবে না, মাকে নিয়ে বাড়ী যাবে। কুলসুম আজ কথা দিয়েছে ওদিন সে প্রথমবারের মত গহরের সাথে বেড়াতে বের হবে। গার্মেন্টস বন্ধের কথা সে নাকি বাসায় জানায় নি, জানালে তাকেও বাড়ীতে নিয়ে যেতে চাইবে। গহর মিনমিন করে বলেছিল, রাস্তায়-রাস্তায় বেড়ানোর কি দরকার? একলা বাসায় দু’জনে কাছাকাছি বসে গল্পগুজব করলে ভাল হত না? কিন্তু কুলসুম রাজি হয় নি। সে বলেছে সে গহরের রিকশায় করে ঘুরতে চায়। তাছাড়া পুরুষ মানুষকে নাকি বিশ্বাস নাই।

আজ বিকেলে গহর নিজস্ব রিকশাটি নিয়ে গেরেজ থেকে বেরুনোর সময় এক যুবক এগিয়ে এসে বলল, ‘ঘন্টা হিসেবে যাবে?’ সে খানিক চিন্তা করে একশ টাকা বলতে যাচ্ছিল তার আগেই যুবক বলে উঠল, ‘ঘন্টায় দেড়শ করে পাবে।’ গহর মনে মনে ‘আলহামদুলিল্লা’ বলে তোলা হুডটা ফেলতে যাচ্ছিল অমনি যুবক ‘না না’ করে উঠল। এদিক ওদিক তাকিয়ে বলল, ‘হুড তোলাই থাক.. পর্দাটাও লাগিয়ে দাও।’ কুয়াশার মত অতি পাতলা বৃষ্টি অথচ পর্দা টাঙ্গাতে বলছে! গহর অবাক হলেও ঘন্টায় দেড়শত টাকার লোভে কথা বাড়ালো না। যুবকটি পর্দা টাঙ্গানো শূন্য প্রমোদালয়ে ঢুকে পড়ল চট্ করে। কিছুদূর গিয়ে মহিলা কলেজের পাশের কুলিং কর্ণার থেকে এক সলজ্জ তরুণীকে আলতো করে তুলে নিল রিকশায়। তারপর থেকেই চুড়ির শব্দ, এই শব্দ, সেই শব্দ শুরু। গহর গভীর মনযোগে কান খাড়া করে রেখেছে। একবার ঘাড়ের মটকা ফুটানোর অজুহাতে পেছন ফিরে তাকাতে চেয়েছিল। কিন্তু সতর্ক যুবক তড়িৎ বলে উঠল, ‘সামনে তাকাও.. একসিডেন্ট হবে।’ কুয়াশার মত বৃষ্টি কিছুক্ষণ পর আরো হালকা হয়ে এসেছে। গহর ঘাড় না ঘুরিয়ে সামান্য পেছনে হেলে বলল, ‘বৃষ্টিতো নাই.. হুড ফালায়া দিমু?’ ভিতর থেকে উত্তরের বদলে টকালো আওয়াজ শোনা গেল। গহরের মাথাটা শিরশির করে উঠল।

কেউ একজনের মোবাইলে রিং হচ্ছে। পর্দার আড়াল হতে তরুণীর কন্ঠ শোনা গেল, ‘হ্যাঁ মা বলো.. ইয়ে আমি? আমি এখন.. আমি এখন প্র্যাকটিক্যাল ক্লাসে.. স্যার ব্যাঙ ব্যবচ্ছেদ করে দেখাচ্ছেন। আরে আমাদের ক্লাসের পাশে রাস্তা আছে না.. সেখান থেকেই গাড়ীর শব্দ আসছে.. (একটি গোঙ্গানির মত শব্দ হল) কি? শব্দ.. শব্দ কোথায়? ও আচ্ছা.. ইয়ে ব্যাঙটা.. ব্যাঙটা গোঙাচ্ছে। আহ্ দাঁড়াওনা.. না না তোমাকে না মা.. খোরশেদ.. ইয়ে মানে খোরশেদা.. খোরশেদাটা যা করে না..।’ গহরের মাথাটা রীতিমত টনটন করতে লাগল। তরুণীটি আচমকা তীক্ষ্ণস্বরে ‘আউ’ করে উঠল। তারপর তোতলাতে তোতলাতে বলল, ‘না মা.. ওই ইয়ে.. কি যেন? ও হ্যাঁ ব্যাঙটা.. ব্যাঙটা হঠাৎ.. আচ্ছা মা এখন রাখছি.. আচ্ছা বাবা ঠিক আছে ঠিক আছে.. সোজা বাসায় চলে আসবো.. রাখি।’ ছি! ছি! কি বেশরম! প্যডেল মারতে গহরের ভীষন কষ্ট হতে লাগল।

আর থাকতে পারল না গহর। একটু সাইড করে রিকশা দাঁড় করিয়ে পেছনে ফিরে তাকাতেই পর্দা সমেত পুরো রিকশাটি কিঞ্চিত নড়ে উঠল। সিট থেকে নামতে নামতে গহর বলল, ‘আপনেরা এট্টু উডেন.. সিডের ভিৎরে আমার পেলাস্টিকের কোর্তা আছে, ওইডা নিমু।’ যুবক অবাক হয়ে জিজ্ঞেস করল, ‘বৃষ্টিতো নাই, ওটা দিয়ে কি করবে?’ গহর এবার দাঁত কেলিয়ে নিঃশব্দে হাসলো, ‘বিষ্টি যহন নাই তহন রিকশার হুডটা ফালায়া দেই.. কি কন্?’ তরুণীটি আড়ষ্ট হেসে বলল, ‘ভাই আপনি আপাতত আমার ছাতাটা নেন।’ গহর বেজার মুখে ছাতাটা নিয়ে অহেতুক খুলে কাঁধে চেপে ধরে প্যাডেল মারতে শুরু করল। ছাতাটা পেছন দিক থেকে তাকে পুরো ঢেকে রেখেছে। তার কেমন অস্বস্তি হতে লাগল। মনে হল, ছাতার জন্য পেছনের কথা বার্তা তার কানে ঠিক মত পৌঁছুতে পারছে না।

রিকশা চলছে অত্যন্ত ধীর গতিতে। চালনা অবস্থায় গহর কায়দা করে এক হাতে রিকশার হাতল ধরে আরেক হাতে দোভাঙ্গা ছাতাটা বন্ধ করল। এবং এটাকেই একমাত্র সুযোগ মনে করে সে ছাতাটা ফেরত দেয়ার জন্য এক ঝটকায় পেছন ফিরে তাকল। তারপর দৃশ্যত জমে গেল। অবাক কান্ড, পর্দার উপরের দেড় বিঘৎ পরিমান ফাঁকা জায়গা দিয়ে দেখতে পাওয়া দু’টি মাথাকে একটি বলে মনে হচ্ছে। যুবকটির কোনদিকে খেয়াল নেই। তরুণীটি গহরকে লক্ষ্য করে লজ্জায় মাথা হেঁট করল। আর গহরের মাথাটা আরো খানিক উঁচু হল। প্যাডেল মারতে আরো কষ্ট হতে লাগল। তারপর ক্ষনিকের সুখস্বপ্নে বিভোর হয়ে সামনের দিকে ফিরতে যেতেই চোখ দুটি ছানবড়া হয়ে গেল।

সামনে বিশাল বড় রঙচটা নীল রঙা জিপ। রিকশাটি গিয়ে আছড়ে পড়ল তার উপর। ভিতরের বেপর্দা তরুণীটি পর্দার ভিতর থাকলেও গহর এবং যুবক দু’জন দু’দিকে ছিটকে পড়েছে। জিপের পেছন দিক থেকে একটি জুনিয়র পুলিশ এগিয়ে আসল। তার সিনিয়রটি ড্রাইভিং সিটের পাশে বসে হাসি হাসি মুখে সিগারেট ফুঁকছে। জুনিয়র চিন্তিত মুখে রিকশাঅলার দিকে এগিয়ে গিয়ে জিজ্ঞেস করল, ‘লাগছে?’ গহর নাকমুখ বিকৃত করে হেসে ফুলে যাওয়া কপালে হাত বুলাতে বুলাতে খসখসে গলায় বলল, ‘জ্যা না।’ জুনিয়র যুবকটির দিকে একটু তাকিয়ে রিকশার দিকে এগিয়ে গেল। তরুণীটি ভীত হরিণীর মত ছটফট করছে। বৃষ্টিহীন রাস্তায় পর্দা টাঙ্গানো রিকশা, চিন্তিত জুনিয়র ঠোঁটের কোণে হাসি ফুটিয়ে তুলল। তারপর দু’হাত উঁচিয়ে আড়মোড়া ভেঙ্গে সিনিয়রের উদ্দেশ্য বলল, ‘স্যার রিকশার ভিৎরে একটা মাইয়া আছে।’ তারপর সে আবার রিকশাচালকের কাছে ফিরে আসল। কোমড় থেকে ল্যামপোস্টের থামের মত মোটা লাঠিটা বের করে গহরকে বলল, ‘এ্যাই ব্যাটা, বৃষ্টি নাই.. পর্দা লাগাইছস্ ক্যান্?’ একথা শুনে গহর আকাশ থেকে পড়ার ভান করে অবাক হয়ে তার রিকশার দিকে ফিরে তাকল। ভাবখানা, পুলিশটি কি বলছে সে কিছুই বুঝতে পারছে না। জুনিয়র লাঠি দিয়ে গহরের পায়ে জোরে গুঁতো দিয়ে দুষ্টু হেসে বলল, ‘কানে শুনস্ না?’ এবার গহরের অবাক ভাব বেমালুম উবে গেল। সে হাউ মাউ করে কান্না জুড়ে দিল। তারপর আঙ্গুল উঁচিয়ে যুবককে দেখিয়ে সে বলল, ‘ওই ভাই ক’ল, তাই পর্দা দিছি।’
-তুই কস্ নাই, বৃষ্টি নাই.. পর্দা দিমু ক্যান্?
-ওই ভাই ক’ল, বিষ্টি আইতে পারে।
-বলতে পারস্ নাই, বৃষ্টি আইবো না।
-কইছি, ওই ভাই ক’ল, তাইলে রইদ উঠতে পারে.. তেনার নাকি রইদ সয় না।

জুনিয়রের দুষ্টু হাসি এবার আরো প্রসারিত হল। সে হেলেদুলে যুবকের কাছে এগিয়ে গেল। যুবকের অবস্থা মারাত্মক। জুনিয়র তার দৃষ্টি যুবকের সাড়া গায়ে ঘুরিয়ে এনে ফিচেল হাসি দিয়ে জিজ্ঞেস করল, ‘তারপর.. বলেন, মাইয়াটা আপনার কে হয়?’ যুবকের গলা যেন আঘাতে বসে গেছে। সে মিউমিউ করে বলল, ‘কাক্ কাক্ কাজিন.. খালাতো বোন।’ জুনিয়র খ্যাক খ্যাক করে হেসে মুখটা সামনে এগিয়ে নিয়ে বলল, ‘খেলাতো ভইন?’ যুবকের গলা আরো খাদে নেমে গেল। সে তাড়াতাড়ি বলে উঠল, ‘না না.. খালাতো বোন।’ জুনিয়রের মুখে হাসির উৎসব, সিনিয়রকে বলল, ‘স্যার কি করব?’ সিনিয়র হাত ইশারায় ওদেরকে ছেড়ে দিতে বলল। জুনিয়র সিনিয়রকে আড়াল করে দাঁড়িয়ে যুবককে বলল, ‘আপনি রিকশার পাসিন্জার ছিলেন.. রিকশার ধাক্কায় আমাদের গাড়ির ক্ষতি হইছে। কিছু ক্ষতিপূরণ দিয়া যান।’ যুবক ব্যাথায় কঁকাতে কঁকাতে দু’শটা টাকা এগিয়ে দিল। জুনিয়র চোখ সরু করে কিছু জিজ্ঞেস করতে যাবে এমন সময় অকস্মাৎ যুবকটি রিকশাঅলার মত কান্না শুরু করে দিল, তবে মিথ্যে মিথ্যে। হো হো করে হেসে সিনিয়রের অলক্ষ্যে টাকাটা পকেটে পুরে নিয়ে জুনিয়র বলল, ‘যান ভাগেন।’ যাত্রী আর চালক একসাথে রিকশার দিকে এগিয়ে গেল। পেছন থেকে চিৎকার করে জুনিয়রটি বলল, ‘ওই ব্যাটা.. হুড ফালাই দে।’ যুবক ততক্ষণে রিকশায় উঠে বসেছে। গহর তার সিটে বসে ধীরে ধীরে প্যডেল মারতে শুরু করল।

সামনের চাকাটা সামান্য টাল হয়ে গেছে। রিকশাটি কেমন মাতালের মত টলছে। মিনিট পাঁচেক সবকিছু চুপচাপ থাকার পর আচমকা বৃষ্টি নামল ঝমঝমিয়ে। গহর রিকশার গতি কমিয়ে আনলে যুবক জিজ্ঞেস করল, ‘কি হল?’ গহর তার দিকে তাকিয়ে আশায় বুক বেঁধে একটি নাদুসনুদুস হাসি দিয়ে বলল, ‘পর্দা দিমু?’ তরুণী মুখ ঝামটে বলে উঠল, ‘লাগবে না।’ গহর মলিন মুখে গতি বাড়ালো। সে ভাবতে লাগল, ভালই হয়েছে.. অপবিত্র রিকশা বৃষ্টির পানিতে ধুয়ে মুছে সাফ হয়ে যাবে।

যুবক হঠাৎ বলে উঠল, ‘ওই সময় যদি কান্নার অভিনয়টা না করতাম তাহলে এত সহজে ছাড়া পেতাম না। কি.. কিছু বলছ না যে.. এ্যাই।’ গহর কান খাড়া করল। যুবক কথা চালিয়ে যাচ্ছে, ‘বৃষ্টিতে জ্বরজারি হতে পারে.. হুডটা তুলে দিলে ভাল হত।’ তরুণীর চেহারা থমথমে হয়ে আছে। গহর শরীরটাকে কিছুটা পেছন দিকে হেলে দিল। যুবক চট্ করে তরুণীর হাতটা টেনে নিয়ে দু’হাতে চেপে ধরল। রাস্তায় দু’একজন লোক দেখা যাচ্ছে। সবাই তাদের দিকে তাকিয়ে আছে। বৃষ্টির সাথে সাথে ঠাণ্ডা হাওয়া বইছে। একটু শীত শীতও লাগছে।

যুবক ‘হুডটা তুলে দেই?’ বলে লজ্জার মাথা খেয়ে ফের হুড তুলে দিল। তরুণীও লজ্জার মাথা খেয়ে ফিক্ করে একটি প্রশ্রয়ের হাসি দিল। বাকী থাকে গহর। গহরের লজ্জার কথা কি আর বলব, তার মাথা ঠাণ্ডায় হিম হয়ে প্যাডেলের তালে তালে দুলতে লাগল।

৬টি মন্তব্য ৪টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ইসলামে পর্দা মানে মার্জিত ও নম্রতা: ভুল বোঝাবুঝি ও বিতর্ক

লিখেছেন মি. বিকেল, ১৯ শে মে, ২০২৪ রাত ১:১৩



বোরকা পরা বা পর্দা প্রথা শুধুমাত্র ইসলামে আছে এবং এদেরকে একঘরে করে দেওয়া উচিত বিবেচনা করা যাবে না। কারণ পর্দা বা হিজাব, নেকাব ও বোরকা পরার প্রথা শুধুমাত্র ইসলাম ধর্মে... ...বাকিটুকু পড়ুন

কুরসি নাশিন

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৯ শে মে, ২০২৪ সকাল ১১:১৫


সুলতানি বা মোগল আমলে এদেশে মানুষকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছিল৷ আশরাফ ও আতরাফ৷ একমাত্র আশরাফরাই সুলতান বা মোগলদের সাথে উঠতে বসতে পারতেন৷ এই আশরাফ নির্ধারণ করা হতো উপাধি... ...বাকিটুকু পড়ুন

বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন আর আদর্শ কতটুকু বাস্তবায়ন হচ্ছে

লিখেছেন এম ডি মুসা, ১৯ শে মে, ২০২৪ সকাল ১১:৩৭

তার বিশেষ কিছু উক্তিঃ

১)বঙ্গবন্ধু বলেছেন, সোনার মানুষ যদি পয়দা করতে পারি আমি দেখে না যেতে পারি, আমার এ দেশ সোনার বাংলা হবেই একদিন ইনশাল্লাহ।
২) স্বাধীনতা বৃথা হয়ে যাবে যদি... ...বাকিটুকু পড়ুন

সকাতরে ঐ কাঁদিছে সকলে

লিখেছেন হাসান মাহবুব, ১৯ শে মে, ২০২৪ বিকাল ৩:২৯

সকাতরে ওই কাঁদিছে সকলে, শোনো শোনো পিতা।

কহো কানে কানে, শুনাও প্রাণে প্রাণে মঙ্গলবারতা।।

ক্ষুদ্র আশা নিয়ে রয়েছে বাঁচিয়ে, সদাই ভাবনা।

যা-কিছু পায় হারায়ে যায়,... ...বাকিটুকু পড়ুন

বসন্ত বিলাসিতা! ফুল বিলাসিতা! ঘ্রাণ বিলাসিতা!

লিখেছেন নাজনীন১, ১৯ শে মে, ২০২৪ বিকাল ৪:০৯


যদিও আমাদের দেশে বসন্ত এর বর্ণ হলুদ! হলুদ গাঁদা দেখেই পহেলা ফাল্গুন পালন করা হয়।

কিন্তু প্রকৃতিতে বসন্ত আসে আরো পরে! রাধাচূড়া, কৃষ্ণচূড়া এদের হাত ধরে রক্তিম বসন্ত এই বাংলার!

ঠান্ডার দেশগুলো... ...বাকিটুকু পড়ুন

×