somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

জীবন মানে অলিখিত দলিল

২৪ শে এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ১১:৪৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

"আশ্চর্য্য সত্য" ! পরিস্থিতি মানুষকে এমনভাবে গড়ে তোলে য়ে, মানুষ তখন নিজেকে না ভালবাসতে পারে আবার না ঘৃণা করতে পারে। আমার বেলায়ই ও তাই হয়েছে। আমি বুঝতে পারি না য়ে, পরিস্থিতির কারণে যে সত্য আজ অপ্রকাশিত দলিল তার আরো দু'দিন পর জানতে পারলাম এর থেকে ও বড় একটা সত্য আমার জীবনে অপেক্ষা করছে সেটা আমি চাই কিংবা না চাই। এখন আমার উপায়বিহিন ভাবে বলা ...হে আল্লাহ তুই আমাকে বলে দে য়ে, কিভাবে এত বড় একটা ঘটনা আমি সামাল দেব ?????
জানি য়ে, পৃথিবীতে একটা ঘটনা দুইবার ঘটে না কিন্তু একই ঘটনা এক একটা মানুষের জীবনে এক এক রকম ভাবে আর্বিভূত হয়। কিন্তু জেনে শুনে কিভাবে এরকম একটা অমীমাংসীত সত্যের দিকে এগিয়ে যাব কোন ভাবেই সেটা বুঝে আসছে না য়ে, কি করতে পারি।
বলতে পারি তুই আল্লাহর কাছে আমার কৃতজ্ঞতার কোন শেষ নেই কারণ আমার এই বর্ণিল জীবনের প্রত্যেকটা ঘটনা তোরই ইশারাতেই সংঘটিত হয়েছে যেটা খুব অল্প স্বল্প কিন্তু কোনো মিথ্যা কিংবা মেকি কিছুই ছিল না যার প্রত্যেকটা অংশের সবগুলো একটা একটা করে বর্ণনা করা যাবে।
আমি জানি না কেন তুই আমার জীবনের সব সত্যকে এভাবে লুকিয়ে রেখেছিস কিন্তু আমি য়ে থাকতে পারি না যখন এইসব অমীমাংসীত সত্য ফ্ল্যাসব্যাক হয়ে আমার চোখে-মাথায়-মনে য়খন অনবরত ঘোরপাক খায়......আরো থাকতে পারি না সেই দৃশ্য যখন চোখে ভাসে য়েখানে তুই আল্লাহ ছাড়া আর কোন স্বাক্ষী ছিল না এমন কি মশা-মাছি,পোকা-মাকড়,পশু-পাখি,জন্তু-জানোয়ার থেকে শুরু করে বাতাসের ও কোন শব্দ সেই মূহুর্তে সেখানে ছিল না আর মানূষতো অনেক দুরের কথা...।
তবে এটা বলতে পারি য়ে, সেই জায়গাটা পৃথিবী ধ্বংস হওয়ার আগ পযর্ন্ত সাদা স্ট্যাম্প পেপারে সাইন সম্বলিত দলিল হয়ে থাকবে য়েখানে এর আগে ও কোন দিন আমি যায় নি আবার ভবিষ্যতে যে যাব সেই আশা ও কোন দিন রাখি না । কিন্তু মৃত্যুর আগ পযর্ন্ত স্পষ্ট হয়ে থাকবে স্মতিতে অমলিন আমার এই ছোট্ট জীবনে।
হে আল্লাহ আমি জানি না কেন আমার এই জীবনকে অলিখিত দলিল দিয়ে ভরিয়ে রেখেছিস তবে তুই আমাকে এমন ক্ষমতা দিয়েছিস যেটা বাইরে প্রকাশ না করলে ও পারা যায় আবার এটা ও ঠিক য়ে, প্রত্যেকটা ঘটনা গোপন রাখার দায়িত্ব তুই নিজের কাছে নিয়ে নিয়েছিস। আরো একটা জিনিস দিয়েছিস সেটা হচ্ছে লেখার ক্ষমতা যাতে নিজেকে হাল্কা করতে পারি। কিন্তু তারপর ও বলতে হয় সেই সব অনাকাঙ্খিত সত্য যখন ফ্ল্যাসব্যাক হয়ে আমার চোখে ভেসে উঠে তখন শরীরের রক্ত এমন ভাবে জ্বলে উঠে ইচ্ছে করে তখন গায়ে আগুণ জ্বালিয়ে দিই।
তাই তুই আল্লাহর কাছে প্রশ্ন জাগে মানুষকে ফ্ল্যাসব্যাক যখন দিয়েছিস তখন একটা ইরেইজার এর ব্যবস্থা ও কি তোর তরফ থেকে করা উচিৎ ছিল না যে ---- মানুষ ইচ্ছে করলেই জীবনের অপ্রয়োজনীয় সত্য আকারে অলিখিত দলিল গুলো স্মৃতির পাতা থেকে মুছে দিতে পারতো !!!
হে আল্লাহ ! তুই আমার জীবনের একমাত্র অভিবাবক। তাই জীবনের এই পযার্য়ে এসে খুব ইচ্ছে করে তোর মুখোমুখি বসার কিন্তু এই ক্ষমতা তো তুই মানুষকে দিস নি । ইচ্ছে করে তোর মুখোমুখি বসে সাদা কাগজে সাইন করা অলিখিত দলিল গুলো সমাধান করে যায়। ইচ্ছে করে তোকে জিজ্ঞেস করতে সাহস দিয়েছিস আশ্চর্য্য সত্য গুলোর মুখোমুখি দাড়িয়ে সাহসী সিদ্বান্ত গ্রহণ করার কিন্তু এত ধর্য্য কেন আমাকে দিয়েছিস ? ওই সাহস না দেখালেও তো আমার চলতো কারণ সেই পরিমাণ ধর্য্য আমার ছিল।
আমি জানি না সাংঘর্সিক সত্য দিয়ে আমার জীবনটা কেন সাজিয়ে রেখেছিস তবে তুই আল্লাহর কাছে অন্য উপায় ও তো ছিল ------ তারপর ও কেন ?????
দুই দিন পরে যখন জানতে পারলাম এর থেকে ও আরো বড় একটা সত্য আমার জন্য অপেক্ষা করছে, জানি না কি হবে তবে দ্বিতীয়বারের মতো আমি আর এই ধরনের ঘটনার মুখোমুখি হতে চায় না---চায় না পরস্পর স্ববিরোধী কাজ করতে, অন্য ভাবে কি সমাধান হতে পারে না ? আমি জানি তুই আল্লাহ আমাকে সারা জীবনে ও বাহ্যিক কোনো ঝামেলা দিস নি অন্যদিকে আমাকেই আমার পরীক্ষা ক্ষেত্র বানিয়ে রেখেছিস যেখানে আমি নিজেই নিজের প্রতিদ্বন্দ্বী। আবার দেখা যায় তুই আমাকে এমনভাবে আড়াল করে রেখেছিস যার জন্য আমি তোর কাছে চির কৃতজ্ঞ শুধু তাই নয় এখন ও পয়র্ন্ত কার ও কাছে আমাকে কখনো ছোট হতে হয় নি শুধুমাত্র তোরই কারণে। সুতরাং তুই আল্লাহ আমার জীবনে কোন প্রতিযোগী রাখিস নি বিনিময়ে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করতে হচ্ছে সব সময় নিজের সাথেই ।হযতো এটাই তোর তরফ থেকে আমার জন্য বরাদ্দ ছিল তাই।
এক নওমুসলিমের মুসলিম হওয়ার কাহিনীতে পড়েছিলাম য়ে,ওই ব্যক্তিকে যতবার শত্রু দ্বারা মেরে ফেলার জন্য আক্রমণ করা হয়েছিল ততবারই উনাকে স্বপ্ন দ্বারা সতর্ক করা হয়েছিল যে তোমাকে ওরা এভাবে মেরে ফেলার চক্রান্ত করতে পারে। প্রতিবারই উনি স্বপ্ন মারফত বেঁচে যায। তখন উনি একদিন খুব দুঃখ নিয়ে স্বপ্নের মধ্যে জিজ্ঞেস করে আমার বড় ভাই মারা গেছে কিন্তু বারবার আমাকে মেরে ফেলার চক্রান্ত করার পর ও আমার মৃত্যু হচ্ছে না কেন ? তখন স্বপ্নের মধ্যেই উত্তরে বলা হয়েছে য়ে, এখনো তোমার মৃত্যু সন্নিকটে আসে নি কারণ তোমার মাধ্যমে আরো অনেক কাজ এখনো বাকী আছে ------
এরপর ১৯৯৩ সাল পযর্ন্ত উনি উনার ছেলে আর মাকে মুসলিম বানালো তার ও পরে এক বিধবা মহিলাকে বিয়ে করেছিল। ওই মূহুর্তে ওটায় ছিল শেষ তারপরের ইতিহাস আর জানা হলো না । জানা হলো না উনি কি এখোনো বেঁচে আছে কি মারা গেছে ।
উনার মতো মহৎ ব্যক্তির সাথে কখনো তুলনা করি না কারণ উনাকে আল্লাহ তালা উনার জীবদ্দসাতেই কবূল করেছিল কিন্তু আমার খুব জানতে ইচ্ছে করে আমার জীবনে পর পর দুই বার মৃত্যু আসার পর ও আল্লাহ আমাকে কবুল করে নি । কেন করে নি সেটা স্বয়ং বিধাতাই ভাল জানে কিন্তু আল্লাহকে আমার প্রশ্ন করতে ইচ্ছে করে মানুষের জীবনে ভবিষ্যতে কি হবে তার সামান্য ঈঙ্গিত ও কি মানুয়কে দিতে পারিস না ? যার কারণে মানুষ হয়তো কিছুটা সতর্ক হতে পারে !
জানি তুই আল্লাহ এটা করবি না কারণ এমন হলে তো নিয়তি কিংবা ভাগ্য বলে কিছু থাকবে না । তাই জীবন মানেই অলিখিত দলিল যেটা একদিন না একদিন ইতি টেনে সমাপ্তি ঘটায়ে তোরই ইশারাই--------------। এটাই তো একমাত্র বিধান তোর তরফ থেকে এবং সেটাই পৃথিবীর প্রত্যেকটা সৃষ্টিই অবলিলায় মেনে নিতে বাধ্য হয়।
১টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

রাজত্ব আল্লাহ দিলে রাষ্ট্রে দ্বীন কায়েম আমাদেরকে করতে হবে কেন?

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ০৮ ই মে, ২০২৪ ভোর ৬:০৬



সূরাঃ ৩ আলে-ইমরান, ২৬ নং আয়াতের অনুবাদ-
২৬। বল হে সার্বভৈৗম শক্তির (রাজত্বের) মালিক আল্লাহ! তুমি যাকে ইচ্ছা ক্ষমতা (রাজত্ব) প্রদান কর এবং যার থেকে ইচ্ছা ক্ষমতা (রাজত্ব) কেড়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

মুক্তির কোরাস দল

লিখেছেন সেলিনা জাহান প্রিয়া, ০৮ ই মে, ২০২৪ সকাল ১০:২৫



ঘুমিয়ে যেও না !
দরজা বন্ধ করো না -
বিশ্বাস রাখো বিপ্লবীরা ফিরে আসবেই
বন্যা ঝড় তুফান , বজ্র কণ্ঠে কোরাস করে
একদিন তারা ঠিক ফিরবে তোমার শহরে।
-
হয়তো... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাইডেন ইহুদী চক্তান্ত থেকে বের হয়েছে, মনে হয়!

লিখেছেন সোনাগাজী, ০৮ ই মে, ২০২৪ সকাল ১০:৪৮



নেতানিয়াহু ও তার ওয়ার-ক্যাবিনেট বাইডেনকে ইরান আক্রমণের দিকে নিয়ে যাচ্ছিলো; বাইডেন সেই চক্রান্ত থেকে বের হয়েছে; ইহুদীরা ষড়যন্ত্রকারী, কিন্তু আমেরিকানরা বুদ্ধিমান। নেতানিয়াহু রাফাতে বোমা ফেলাতে, আজকে সকাল থেকে... ...বাকিটুকু পড়ুন

আজ ২৫শে বৈশাখ। ১৬৩তম রবীন্দ্র জন্মজয়ন্তী উপলক্ষে আমার গাওয়া কয়েকটি রবীন্দ্রসঙ্গীত শেয়ার করলাম। খুব সাধারণ মানের গায়কী

লিখেছেন সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই, ০৮ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৩:০৫

আপনারা জানেন, আমি কোনো প্রফেশনাল সিঙ্গার না, গলাও ভালো না, কিন্তু গান আমি খুব ভালোবাসি। গান বা সুরই পৃথিবীতে একমাত্র হিরন্ময় প্রেম। এই সুরের মধ্যে ডুবতে ডুবতে একসময় নিজেই সুর... ...বাকিটুকু পড়ুন

বিশ্ব কবি

লিখেছেন সাইদুর রহমান, ০৮ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৩:২৭

বৈশাখেরি পঁচিশ তারিখ
কবি তোমার জনম
দিন,
বহু বছর পার হয়েছে
আজও হৃদে, হও নি
লীন।

কবিতা আর গল্প ছড়া
পড়ি সবাই, জুড়ায়
প্রাণ,
খ্যাতি পেলে বিশ্ব জুড়ে
পেলে নভেল, পেলে
মান।

সবার ঘরেই গীতাঞ্জলী
পড়ে সবাই তৃপ্তি
পাই,
আজকে তুমি নেই জগতে
তোমার লেখায় খুঁজি
তাই।

যখন... ...বাকিটুকু পড়ুন

×