প্রকৃতির ঋতু বৈচিত্রে এবার বর্ষা এসে হাজির। তার মানে চারিদিকে ঝুম বৃষ্টি অর্থাৎ পানি আর পানি।প্রকৃতির এই ছন্দ পতনে বর্ষার বৃষ্টির রিনি-ঝিনি শব্দ আমাদের কবি-সাহিত্যিকদের কবিতা আর গান থেকে শুরু করে সাহিত্যের বিভিন্ন জায়গায় স্থান দখল করে নিয়েছে আমি আর সেদিকে যাচ্ছি না।
আজ আমি বলতে চাই বর্ষার এই বৃষ্টিস্নাত দিনে কিছু অতি প্রযোজনীয় করণীয় টিপস্।কারণ আজকাল বর্ষা মানেই বৃষ্টির টাপুর-টুপুর শব্দ নয় ।চারিদিকে বিল্ডিং এর ছড়াছড়ি আর রাস্তা ঘাটে নালা-নর্দমার জমে থাকা পানি,য়েগুলো পুরো শরীরের জন্যে খুবই ক্ষতিকর।বিশেষ করে এই বর্ষায় পায়ের যত্ন বেশী করে নেওয়া উচিৎ।যার কিছু টিপস্ দেওয়া হল ,যেগুলো বিভিন্ন চর্মরোগ থেকে আপনাকে কিছুটা হলেও পরিত্রাণ দিতে পারে----
১। বৃষ্টির দিনের সর্ব প্রথম সবসময়ের সঙ্গী ছাতা।
২। তারপর বলতে হয় বৃষ্টিস্নাত দিনে বাইরে যাওয়ার সময় সুতি কাপড়ের পরিবর্তে সিল্কের কাপড়
পড়া উচিৎ কারণ সুতি কাপড় ভিজে গেলে শুকাতে সময় লাগে আর সিল্কের বেলায় এই ঝামেলা
থাকে না। এছাড়া ও ভেজা সুতি কাপড় অনেকক্ষণ ধরে গায়ে থাকলে জ্বর-সর্দি-কাশি বেড়ে
যাওয়ার বিড়ম্বনা থাকে।
৩। বৃষ্টির দিনে যেকোন কাজের প্রয়োজনে প্রত্যেকটা মানুষকে কোন না কোন সময় বাইরে বের
হয়ে নালা-নর্দমার ময়লা পানিতে হাটা চলা করতে হয় ।ময়লা পানি যখন পায়ে লাগে তখন
অবশ্যই বাইরে থেকে এসে গরম পানি দিয়ে পা পরিস্কার করা উচিৎ।
৪। গরম পানিতে পা ধুয়ে তোয়ালে দিয়ে ভাল করে মুছে নিতে পারেন আর যারা একটু রুপ
সচেতন তারা ইচ্ছে করলে স্ক্র্যব দিয়ে পা পরিস্কার করতে পারেন।
৫। সপ্তাহে অন্তত একবার গরম পানিতে শ্যম্পু দিয়ে ২০-২৫ মিনিট পা ভিজিয়ে রাখতে পারেন।
৬। তারপর ভালো কোন ব্র্যান্ডের লোশন অথবা ভেসলিন দিয়ে পায়ে ভাল করে ম্যাসেজ করে
নেন।
৭। বর্ষাকালে প্রত্যেকের উচিৎ যথাযত যত্ন নিয়ে হাত এবং পায়ের নখ ছোট রাখা।
৮। সর্বোপরি জুতা কেনার সময় বৃষ্টি উপযোগী জুতাকে প্রাধান্য দেওয়া উচিৎ।
বর্ষায় পায়ের যত্ন বেশী করে নেওয়া দরকার এই জন্য যে বর্ষা মৌসুমে ময়লা-আর্বজনা-কাদা জমে জীবাণু আক্রমণ সব পায়ের উপর দিয়েই যায়।তাই একটু সচেতন হলেই এইসমস্ত সমস্যা থেকে কিছুটা হলেও পরিত্রাণ পাওয়া য়েতে পারে।