১৬ বছর বয়সে আমীশ ছেলেমেয়েদের ছেড়ে দেয়া হয়। এসময় তারা যা কিছু মনে হয় করতে পারে। সেক্স, ড্রাগস, গাড়ী চালানো, ধুমপান, ড্রিন্কস যা মনে চায়। ধর্ম বা লাইফস্টাইল কোন কিছুই তাদের উপর চাপিয়ে দেয়া হয় না।ধর্ম বা জীবন সম্পর্কে সিদ্ধান্ত নিতে কারও অল্প সময় লাগে, কারও কয়েক বছর লেগে যায়। এ অনুষ্ঠানের নাম Rumspringa , মানে হল ছুটাছুটি করা বা ঘুরে বেড়ানো।
এরপরে যদি তাদের মনে হয় তারা পরিবারে ফিরে যেতে পারে, ব্যাপটাইজড হয়ে আজীবন নিরামিশ (শব্দার্থে) জীবন কাটাতে হবে। একবার ফিরে যাবার পর আর কোন গাড়ী চালানো যাবে না, মদ, জুয়া, মাগী (মজমা) তো নিষেধই এমনকি ইলেকট্রিসিটি ব্যবহার করা যাবে না। এরপরেও দেখা যায় ৯০ ভাগ বাবা-মায়ের জীবনে ফিরে যায়, আমীশ চার্চে যায়, পুরাপুরি বিবলিক্যাল লাইফ।
এর থেকে একটা প্রমান হয় ধর্ম জোর করেও চাপাতে হয় না। সমাজ,পরিবার হতে ধীরে ধীরে যে জিনিস শৈশবে,কৈশোরে তুলে নেয়, তার বাইরে যাওয়া খুব কঠিন। এভাবে স্বাধীন করে দেয়ার পরেও মাত্র দশভাগ দূরে সরে যায়।
তারপরেও ব্যাপারটা খুবই প্রশংসনীয়, বাবা-মা ছেলেমেয়েদের উপর ধর্ম চাপায় না। অন্য কোন ধর্মে এরকম আছে কিনা জানি না। মুসলামান ধর্মে তো সাত বছরে নামাজ পড়তে বলতে হবে, নয়-দশ বছর বয়সে না পড়লে কড়া মাইর লাগানোর নির্দেশ আছে।
এরমধ্যে একটা ফাঁক আছে। আমীশরা পোলাপানরে নিশ্চিন্ত থাকে, কারণ বেশিদূর যেতে পারবে না। মাত্র আট ক্লাশ পড়ার পরে তাদের পড়াশোনা বন্ধ করে দেয়া হয়, বেশি পড়লে নাকি তাদের মধ্যে 'অহংকার' তৈরি হবে। তো অশিক্ষার কারণে এসব ছেলেমেয়ে মুক্তি পেয়েও বেশিদূর যেতে পারে না। যেখানেই যায় কায়িক শ্রম করে থাকতে হবে, এদিকে বাবার হোটেলে মোটামুটি মজায় থাকা যায়, সাথে চার্চের সাপোর্ট।
কে হায় বাপ-দাদার দেয়া ধর্ম ছেড়ে সব হারাতে চায়?
http://en.wikipedia.org/wiki/Rumspringa
সর্বশেষ এডিট : ২২ শে জানুয়ারি, ২০০৯ সকাল ৯:২২

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




