শুধু নারায়ণগঞ্জ নয় রাজধানী ঢাকা থেকেও জামায়াতে ইসলামী ও এর সহযোগী সংগঠন ইসলামী ছাত্র শিবিরকে নির্মূল করা সম্ভব বলে ঘোষণা দিয়েছেন নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সাবেক এমপি ও জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শামীম ওসমান। এজন্য তিনি দলের নেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশ চেয়েছেন।
তিনি বলেন, নারায়ণগঞ্জে গোলাম আজমকে নিষিদ্ধ করার কারণে আমাকে গডফাদার উপাধি দেওয়া হয়। নেত্রী নির্দেশ দেন, আমি শুধু নারায়ণগঞ্জকেই নয় নারায়ণগঞ্জ থেকে বিশাল কর্মী বাহিনী নিয়ে ঢাকাকেও জামায়াত-শিবির মুক্ত করে দেবো।
নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহবায়ক ও ভারপ্রাপ্ত আহবায়ক মফিজুল ইসলাম কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য নির্বাচিত হওয়ায় তাকে দেওয়া এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি।
তিনি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, ‘‘ওরা কাউকে ছাড়ে না। ওরা খালেদা জিয়াকেও ছাড়বে না। দুই নেত্রীর কাউকে ছাড়বে না। তাদের মোকাবেলা করতে হলে সংগঠিত হতে হবে। আমরা যখন জামায়াত-শিবিরকে মোকাবেলায় মাঠে নামবো তখন কোনো পুলিশ লাগবে না। মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তি সাধারণ মানুষকে সঙ্গে নিয়ে প্রতিটি জামায়াত-শিবিরের ঘরে গিয়ে তাদের পায়ে পিষে মারা হবে।’’
তিনি বলেন, ‘‘আমরা মাঠে নামতে চাই না। আপনারা যদি মনে করেন হুট করে বোমা মাইরা দিবেন— আপনারা যে কলেজের ছাত্র, আমরা সেই কলেজের শিক্ষক। জামায়াত-শিবিরকে যখন ধরা শুরু হবে তখন ঘরে ঘরে অভিযান চালানো হবে।’’
শামীম ওসমান আরো বলেন, ‘‘দেশ এখন কঠিন সময় পার করছে। আগামী তিন মাসের মধ্যে দেশে যে কোনো পরিস্থিতির সৃষ্টি হতে পারে। একটা শক্তি দেশের ওপর আঘাত হানছে, দেশটাকে বাঁচাতে হবে। দেশ বাঁচাতে আমাদের এক হতে হবে। কে বিএনপি করে, কার ভাই জামায়াত করে উই ডোন্ট কেয়ার।’’
নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘‘নির্বাচনে চার হাজার কোটি টাকার বাজেট করা হয়েছিলো মিডিয়ার জন্য। আমি বাথরুমে গেলেও দেখতাম আমার পেছনে পেছনে ক্যামেরা দৌড়ায়। সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আমি বিজয়ী হয়েছি, আমাকে ফেল করাতে খালেদা জিয়া বিএনপির প্রার্থীকে বসিয়ে দিয়েছে।’’
হলমার্ক ও ডেসটিনি সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘‘আওয়ামীলীগ সরকার তো এদেরকে ধরেছে। ছেড়ে তো দেয় নাই।’’
শহরের চাষাঢ়ায় শহীদ জিয়া হল মিলনায়তনে শনিবার বিকেলে এ সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে জেলা আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। তারা মফিজুল ইসলামকে ক্রেস্টসহ ফুলেল শুভেচ্ছায় সিক্ত করেন।
এসময় মফিজুল ইসলাম নেতা-কর্মীদের ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন। তিনি নারায়ণগঞ্জ থেকে জামায়াত ও শিবিরকে হটাতে সকলকে এক সঙ্গে কাজ করার আহবান জানান।
অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগের একটি অংশের নেতা-কর্মীরা অনুপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে সাবেক এমপি শামীম ওসমান ছাড়াও অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, জেলা প্রশাসক আব্দুল হাই, শহর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট খোকন সাহা, সোনারগাঁ থানা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অ্যাডভোকেট সামসুল ইসলাম ভুইয়া, রূপগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান শাহজাহান ভূইয়া, ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগ সভাপতি এম সাইফউল্লাহ বাদল, সাধারণ সম্পাদক শওকত আলী, সোনারগাঁ থানা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক মাহাফুজুর রহমান কালাম, বন্দর থানা আওয়ামী লীগ সভাপতি এম এ রশিদ, কেন্দ্রীয় শ্রমিক লীগের সভাপতি শুক্কুর মাহামুদ, জেলা আইনজীবি সমিতির সাবেক সভাপতি অ্যাড আনিসুর রহমান দিপু, হিন্দু বৌদ্ধ ঐক্য পরিষদ সভাপতি কমান্ডার গোপীনাথ দাস, জেলা ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সভাপতি চন্দনশীল, সিটি করপোরেশন এর কাউন্সিলর নুর হোসেন, জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভকেট আবু হাসনাত মোহাম্মদ শহিদ বাদল, যুগ্ম সম্পাদক শাহ নিজাম, সহ-সভাপতি জাকিরুল আলম হেলাল, প্রচার-প্রকাশনা সম্পাদক জহিরুল ইসলাম পারভেজ, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি এহসানুল হক নিপু, ফতুল্লা থানা যুবলীগ সভাপতি মীর সোহেল আলী, সাধারণ সম্পাদক ফাইজুল ইসলাম, জেলা আওয়ামী মহিলা লীগের সভাপতি প্রফেসর শিরিন বেগম, মহিলা নেত্রী কাউন্সিলর ইসরাত জাহান স্মৃতি, অ্যাডভকেট নুরজাহান বেগম, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা যুবলীগ সভাপতি মতিউর রহমান মতি, শহর যুবলীগ সভাপতি শাহাদাত হোসেন সাজনু, শহর সেচ্ছাসেবকলীগ সভাপতি নাজমুল আলম সজল, জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি সাফায়াত আলম সানি, সহ-সভাপতি রাজিব দাস, সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমার সুজন প্রমুখ।
অনুষ্ঠান থেকে শামীম ওসমান আগামী ১ ডিসেম্বর বিজয়ের মাসের প্রথম দিনে জামায়াত-শিবিরের বিরুদ্ধে গণ মিছিলের কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
Click This Link

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।






