পল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ছাত্রলীগ ও যুগলীগের হামলার আশঙ্কায় রণ প্রস্তুতি নিয়েছে জামায়াত-শিবির।
শনিবার জামায়াত-শিবিরের ঢাকা মহানগর শাখার কয়েকজন নেতা বাংলানিউজকে জানান, বিকেলে ছাত্রলীগ ও যুবলীগ পল্টনে শিবিরের কেন্দ্রীয় অফিস ও জামায়াতের মহানগর অফিসে হামলা চালাতে পারে।
তারা জানান, ছাত্রলীগ বঙ্গবন্ধু এভিনিউ, দৈনিক বাংলা, মতিঝিল ও প্রেসক্লাবের দিক থেকে মিছিল নিয়ে এসে তাদের কার্যালয়ে হামলা চালাতে পারে বলে জামায়াত-শিবিরের কাছে তথ্য আছে।
তাই সম্ভাব্য হামলা মোকাবেলায় পল্টন ও আশপাশের এলাকায় নেতা-কর্মীদের সংখ্যা বাড়াচ্ছে শিবির।
সকালে মালিবাগে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে আটক জামায়াত নেতাদের মুক্তির দাবিতে বিক্ষোভ মিছিলে অংশ নেওয়া জামায়াত-শিবির কর্মীদেরও এসব এলাকায় প্রস্তুত রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছে শিবির সূত্র।
সূত্র আরো জানিয়েছে, মহানগর বা কেন্দ্রীয় অফিসে হামলা হলে পরবর্তী করনীয়ও ঠিক করে রাখা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত ৫ ও ৬ নভেম্বর সারাদেশে পুলিশের উপর জামায়াত-শিবিরের হামলার পর তাদের প্রতিহত করার ঘোষণা দেয় আওয়ামী লীগ। শিবির ঠেকাতে যুবলীগ ও ছাত্রলীগকে রাজপথে থাকার আহ্বান জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
এছাড়া রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি আখেরুজ্জামান তাকিমের উপর হামলা ও তার পায়ের রগ কেটের দেওয়ার ঘটনার পর থেকে রংপুর, নরসিংদী, সাতক্ষিরাসহ সারাদেশের বিভিন্ন এলাকায় জামায়াত-শিবিরের অফিস ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে হামলা, ভাঙচুর আর অগ্নিসংযোগ করেছে ছাত্রলীগ ও যুবলীগ।
এসব ঘটনা বিশ্লেষণ করে হামলার আশঙ্কাকে অধিক গুরুত্ব দিচ্ছে জামায়াত-শিবির। এ জন্য তারা এরইমধ্যে পল্টনসহ এর আশপাশের এলাকায় তাদেও শক্তি বাড়িয়েছে।
এ বিষয়ে ঢাকা মহানগর জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ বাংলানিউজকে বলেন, “ছাত্রলীগ, যুবলীগ সন্ত্রাসী কায়দায় গত কয়েক দিন ধরে যেভাবে জামায়াত শিবিরের অফিসে হামলা ও অগ্নিসংযোগ করেছে তা অগণতান্ত্রিক ও বর্বরোচিত।”
তিনি বলেন, “আমরা মনে করি- ছাত্রলীগ, যুবলীগ ঢাকায় জামায়াত শিবিরের অফিসে হামলা করার মতো আত্মঘাতী সিন্ধান্ত নেবে না। যদি নেয় তবে তারা চরম ভুল করবে।”
হামলা মোকাবেলায় জামায়াতের প্রস্তুতি সর্ম্পকে জানতে চাইলে বিষয়টি এড়িয়ে গিয়ে শফিকুল ইসলাম মাসুদ বলেন, “জামায়াত একটি নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল। এ দলের অফিসের নিরাপত্তা দেওয়ার দায়িত্ব সরকারের।”
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক হারুন-অর-রশীদ বাংলানিউজকে বলেন, “সাংঘর্ষিক ও অপরাজনীতিতে যুবলীগ বিশ্বাস করে না। এ পর্যন্ত জামায়াত-শিবিরের অফিস ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় কোথাও যুবলীগের নাম আসে নি।”
জামায়াত-শিবির অযুহাত তৈরি করে বড় ধরনের কোন ঘটনা ঘটাতে চায় অভিযোগ করে তিনি বলেন, “যুবলীগ গণমানুষের কাছে গিয়ে যুবজাগরণ সৃষ্টি করবে জামায়াত-শিবিরের বিরুদ্ধে। সরাসরি সংঘর্ষের রাজনীতিতে যাবে না। যুবলীগ দেশ ও জাতির স্বার্থে সব প্রকার নাশকতার বিরুদ্ধে প্রশাসন ও সরকারকে সহযোগিতা করে যাবে।”
এ বিষয়ে ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সিদ্দিকী নাজমুল আলম বাংলানিউজকে বলেন, “জামায়াত-শিবির বিভিন্ন আত্মঘাতী কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে দিশেহারা হয়ে এখন আবোল তাবোল কথা বলছে। এ ধরনের হামলার খবর সত্য নয়।”
তিনি বলেন, “সব কিছু মিলিয়ে জামায়াত-শিবির একটা বিশ্রি অবস্থার সৃষ্টি করতে চায়। তারা বিভিন্ন নাশকতা সৃষ্টি করে যাচ্ছে। ইস্যু তৈরি করতে আরো নাশকতা চালাতে পারে। তারা হয়তো নিজেরাই নিজেদেও অফিস পুড়িয়ে আমাদের উপর দোষ চাপাতে পারে।”
Click This Link

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।






