চমৎকার!!!! মিসরের প্রেসিডেন্ট মুরসী শেষ পর্যন্ত সফল হলেন। আলহামদুলিল্লাহ!!! সেখানে ইসলামী শরিয়াকে আইনের উৎস হিসেবে নির্ধারণ করা হয়েছে। কিন্তু!!! আমাদের দেশে আমরা কবে পাব?
খবরে প্রকাশ- মিশরের সাংবিধানিক পরিষদ সর্বসম্মতভাবে ইসলামী শরিয়াকে দেশটির আইনের উতস হিসেবে মেনে দিয়েছে। দেশটির নতুন সংবিধান প্রণয়নের দায়িত্ব এই পরিষদের ওপর ন্যস্ত করা হয়েছে।
সাংবিধানিক পরিষদের সদস্যরা গতকাল (বৃহস্পতিবার) বৈঠকে বসেন এবং খসড়া সংবিধানের ২৩৪টি ধারার প্রত্যেকটির জন্য ভোট দেন। এর মধ্যে ইসলামকে রাষ্ট্রধর্ম, আরবিকে রাষ্ট্রভাষা এবং ইসলামী শরিয়াকে সব আইনের মূল উতস হিসেবে গ্রহণের অনুচ্ছেদটি মেনে নিয়েছেন সাংবিধানিক পরিষদের সদস্যরা।
মিশরের খসড়া সংবিধানের অন্য একটি ধারায় বলা হয়েছে, খ্রিস্টান ও ইহুদিদের ধর্মীয় বিধি-বিধান ও ঐতিহ্য অনুযায়ী তাদের ব্যক্তিগত ও ধর্মীয় বিষয়গুলো পরিচালিত হবে। এ ধারার প্রতিও সাংবিধানিক পরিষদ সম্মতি দিয়েছে।
এ ছাড়া, মিশরের খসড়া সংবিধানে প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পালনের মেয়াদ দুই বছর হিসেবে নির্ধারণ করা হয়েছে। মিশরের সাবেক স্বৈরশাসক হুসনি মুবারকের আমলে সংবিধানে প্রেসিডেন্টকে অনির্দিষ্টকালের জন্য দায়িত্ব পালনের ক্ষমতা দেয়া হয়েছিল। মুবারক ৩০ বছর দেশ শাসন করেছিলেন।
২০১১ সালে গণ বিপ্লবের মধ্য দিয়ে মুবারককে উতখাতের পর ওই সংবিধান স্থগিত রাখা হয় এবং নির্বাচিত সাংবিধানিক পরিষদ দেশের নতুন সংবিধান প্রণয়নের কাজ শুরু করে।
নতুন সংবিধানের চূড়ান্ত খসড়া অনুমোদনের জন্য প্রেসিডেন্ট মুহাম্মদ মুরসির কাছে পাঠানো হবে এবং তারপর এ সংবিধানের ওপর গণভোট হবে।
ছয়মাস আগে ইখওয়ানুল মুসলিমিনের প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব গ্রহণ করেন মুরসি। ইখওয়ান মনে করছে, নতুন সংবিধান প্রণয়নের কাজ শেষ হলে মিশরে মুরসিবিরোধী আন্দোলনের অবসান ঘটবে।
গত ২২ নভেম্বর প্রেসিডেন্ট মুরসি নতুন সাংবিধানিক ডিক্রি জারি করেন। এ ডিক্রি অনুযায়ী, বিচার বিভাগের কোনো শাখা সাংবিধানিক পরিষদকে বাতিল করতে পারবে না।
মুরসি বিরোধীরা বলছেন- ক্ষমতা কুক্ষিগত করার জন্যই তিনি এ কাজ করেছেন। তবে, প্রেসিডেন্ট মুরসি ও তার দল ইখওয়ানুল মুসলিমিন বলছে, সাবেক স্বৈরশাসক হুসনি মুবারক ও তার সহযোগীদের বিচার এবং মিশরে প্রয়োজনীয় সংস্কারের জন্য এ ডিক্রি জারি করা অত্যন্ত জরুরি হয়ে পড়েছিল। বিপ্লব রক্ষার জন্য এ ডিক্রি জারি করা হয়েছে বলেও মুরসি জানিয়েছেন।
ডিক্রি জারির পর সমগ্র মিশরে মুরসিবিরোধী বিক্ষোভ শুরু হয়। কিন্তু প্রেসিডেন্ট মুরসি বলেছেন, তিনি যে সব ক্ষমতা নিজের হাতে নিয়েছেন দেশটির নতুন সংবিধান গৃহিত হওয়ার পর তা ফিরিয়ে দেয়া হবে। মিশরকে যখন একটি উত্তরণের পর্যায়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে তখন আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় বিশেষ করে মিশরবাসীকে ধৈর্য ধরতে হবে বলেও জানান তিনি।
মিশরের প্রেসিডেন্ট বলেন, তার প্রধান দায়িত্ব হলো এই উত্তরণের পর্যায়টি ভালভাবে পাড়ি দেয়ার ব্যবস্থা করা। কাজটি সহজসাধ্য নয় উল্লেখ করে প্রেসিডেন্ট মুরসি বলেন, গণতন্ত্র এবং স্বাধীনতার পথে এগিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যে মিশরবাসী বদ্ধপরিকর।
সুত্রঃ রেডিও তেহরান

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।






