somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

বিচারপতি নাসিমকে নিয়ে কয়েকজন রাজাকারের বক্তব্য!!!!

১০ ই ডিসেম্বর, ২০১২ রাত ১১:৫৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



বাংলাদেশটাকে বড়ই আজব লাগছে। কোন একজন লোক হয়ত চুরি ডাকাতি করল আর অন্য কেউ চুরির খবরটা অন্যদেরকে জানিয়ে দিল। এখন, চোরটাকে অপরাধী সাব্যস্ত না করে চুরিটাকেই আমরা সাপোর্ট করে যাচ্ছি এবং অপরাধী বানাচ্ছি চুরির কথা যে বলে দিল তাকেই!!! এটাই মনে হয় ডিজিটালের আসল রূপ!!!

নিজামুল সাহেব কাজটা করে আমাদের দেশের বিচার ব্যবস্থাকে কলঙ্কিত করেছেন। এজন্য তার পদত্যাগ করা উচিত। কারণ, কোন বিচারপতিই আইনের উর্ধ্বে নন। এদিকে মন্ত্রীদের বক্তব্য দেখে মনে হচ্ছে এদের লজ্জা বলতে কিছুই নেই। লজ্জাকে মনে হয় তারা কোথাও বন্দক রেখে এসেছেন। বুঝতে পারলাম- দেশের মানুষ এমনি এমনিই বলেনা যে, তুই মানুষ না আওয়ামী লীগ??? আওয়ামী লীগ কত প্রকার ও কী কী তা মন্ত্রীরা আমাদেরকে প্র্যাক্টিকালী দেখিয়ে দিয়েছেন।

ইদানিং বিভিন্ন সংস্থা বাংলাদেশকে দুর্নীতির দিক থেকে শীর্ষদেশ হিসেবে তালিকাভুক্ত করেছে। আবার কবে না জানি চোর কিংবা চোর প্রশ্রয়দানকারী শীর্ষদেশ হিসেবে বাংলাদেশকে তালিকাভুক্ত করে। আমরা এসব চোর ডাকাতমুক্ত একটি সোনালী সমাজ ও দেশ চাই!!! প্রধান বিচারপতিকে অনুরোধ করব বিচার ব্যবস্থায় কলঙ্ক লেপন করার কারণে নিজামুল ইসলাম সাহেবের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হোক!!!





আজকের আমারদেশ পত্রিকার রিপোর্টের ব্যাপারে সরকারের উপর মহল কিংবা বিচারপতি নাসিম সাহেবের মন্তব্য জানা দরকার!!! কেউ কি কোন মন্তব্য করেছে এটা নিয়ে??? তবে, আমি খুবই আশ্চর্য হয়েছি যে এত কিছু ফাস হয়ে যাওয়ার পরেও নিজামুল সাহেব ট্রাইবুনালে এসেছেন বিচার কাজ চালিয়ে যেতে।

লজ্জা জিনিসটা কি তাহলে দুনিয়ার থেকে উঠে যাচ্ছে নাকি?? আমি তো মনে করেছিলাম বিচারপতি নিজামুল সাহেব আর মানুষের সামনে মুখ দেখাবেন না। তাদের মন্তব্য জানতে খুবই ইচ্ছা করছে।





সারা বাংলাদেশে আজ ট্রাইব্যুনালের সমালোচনা করা হচ্ছে, সমালোচনা করা হচ্ছে বিচারপতি নিজামুল হক নাসিমেরও। অতিসত্বর নাসিমের পদত্যাগ দাবী করেছে বাংলাদেশের সচেতন মানুষ। মিছিলে মিছিলে সবাই বিচারপতি নাসিমের বিরুদ্ধে শ্লোগান দিচ্ছে। সেই শ্লোগান গুলো
নিচে তুলে ধরা হলঃ

বিচারপতি নাসিম চোরা,
খাইসে খাইসে খাইসে ধরা।
নাসিম নাসিম নাসিম চোরা,
খাইসে খাইসে খাইসে ধরা।

নাসিমের গালে গালে,
জুতা মারো তালে তালে।

নাসিম চোরার পদত্যাগ,
করতে হবে করতে হবে।

অবৈধ ট্রাইব্যুনাল
মানি না, মানব না।

ভারতের দালালেরা
হুশিয়ার সাবধান।

ছাত্রলীগের গুণ্ডারা
হুশিয়ার সাবধান।





শুরুতেই যখন বলেছিলাম এই আইন অস্বচ্ছ । এই আদলত মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার করার উপযুক্ত নয় । এ কোন বিচার নয় । বিচারের নামে প্রহসন । হত্যা-খুনের আয়োজন ।
তখন তোমরা অযৌক্তিক ভাবে বলেছিলে দেশে থাকবা, দেশের সংবিধান মেনে নির্বাচন করবা আর দেশের আইন-আদালত মানবা না, তাহয় না ? আমরা কখনো বলি নি যুদ্ধাপরাধের বিচার চাই না । তবে আমরা বরাবরই বলেছি যে বিচার চলছে তা কোন যুদ্ধাপরাধের বিচার নয়, এটা একটি রাজনৈতিক উদ্দে
শ্য চরিতার্থ করার হীন চেষ্টা মাত্র । কেন বলেছি এ কথা ? সে কথাতেই আসছি ।
জামায়াত কিছুটা গাইগুই করলেও তারাও কি তোমাদের সহায়তা করে নি ? তারা ঠিকই আদালতে গেছে । দিনের পর দিন জুলুম-হয়রানি(সময় প্রার্থনা করেও তারা সময় পায় নি) মেনেও বিচারিক প্রক্রিয়ায় উপস্থিত থেকেছে ।
শুরু থেকেই আমরা যেখানে প্রশ্ন তুলেছি, তোমরা সেটা এড়িয়ে গেছ বার বার ! আমরা বলেছি এই ট্রাইব্যুনাল উক্ত বিচার চালানোর জন্য উপযুক্ত নয় । তোমরা গায়ের জোড়ে সে কথা উড়িয়ে দিয়েছ । কিন্তু বাস্তবতা খুবই নির্মম নিজামুল হক নাসিম সাহেব নিজে স্বীকার করেছেন তিনি এই আইনের সাথে পরিচিত নন ।

কি ছিল আমাদের দাবি ?
আমরা বলেছি যারা এই বিচার চালাতে সক্ষম তেমন বিচারক নিয়োগ দিতে । দরকারে তোমরা বিদেশী আইনজীবী নিয়োগ দাও । অভিযুক্তদেরকেও সে আইনি সুবিধা দাও ।
কিন্ত তোমরা বরাবরই তা অস্বীকার করে গেছ ! যে আইন জানো না । আইন বোঝ না । মুহুরি কাজ করতে যার হিমসিম দশা তাকে করেছ প্রসিকিটর প্রধান । যার ট্রাইব্যুনালে আইনজীবী হওয়ার যোগ্যতা ছিল না, তাকে করেছ বিচারপতি । এই দায় কার ? একি দায়িত্বহীনতা নাকি সাজানো খুনের প্রস্তুতি ? জাতির সাথে বেঈমানি শুরু করেছিলে শুরু থেকেই বলেছিলে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করবে, নাম দিলে মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার !

সত্যিই কি তোমরা চাও জাতি দায় মুক্ত হোক ? মুক্তিযুদ্ধের মত একটি গুরুত্বপূর্ণ অর্জন নিয়ে জাতি এক কাতারে আসুক ?
চেতনা সে কথা নাই বা বললাম । কিসে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা আর কিসে নাই, তা কি দিবালোকের মত পরিস্কার নয় ? অবশ্যই পরিস্কার ।

তরুণরা এক হলেও তোমরা গুটিকয় স্বার্থান্বেষীরা তা চাচ্ছ না । কি হত আন্তর্জাতিক মানের একটি বিচার আদালত গড়লে ? হেরে যেত মানবতা ? নাকি হেরে যেতে তোমরা ? তোমরাই তো হারিয়ে দিচ্ছ মানবতা !
৩টি মন্তব্য ২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

মব রাজ্যে উত্তেজনা: হাদির মৃত্যুতে রাজনৈতিক পরিস্থিতি অগ্নিগর্ভ

লিখেছেন কলিমুদ্দি দফাদার, ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:৪২

রোম যখন পুড়ছিল নিরো নাকি তখন বাঁশি বাজাচ্ছিল; গতরাতের ঘটনায় ইউনুস কে কি বাংলার নিরো বলা যায়?



বাংলাদেশ প্রেক্ষাপটে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পদটি সবসময় ছিল চ্যালেঞ্জিং।‌ "আল্লাহর... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইন্টেরিম সরকারের শেষদিন : গঠিত হতে যাচ্ছে বিপ্লবী সরকার ?

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১২:২২


ইরাক, লিবিয়া ও সিরিয়াকে ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করার আন্তঃদেশীয় প্রকল্পটা সফল হতে অনেক দিন লেগে গিয়েছিল। বাংলাদেশে সে তুলনায় সংশ্লিষ্ট শক্তিসমূহের সফলতা স্বল্প সময়ে অনেক ভালো। এটা বিস্ময়কর ব্যাপার, ‘রাষ্ট্র’... ...বাকিটুকু পড়ুন

মব সন্ত্রাস, আগুন ও ব্লাসফেমি: হেরে যাচ্ছে বাংলাদেশ?

লিখেছেন শ্রাবণধারা, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৩:৫২


ময়মনসিংহে হিন্দু সম্প্রদায়ের একজন মানুষকে ধর্মীয় কটূক্তির অভিযোগে পুড়িয়ে মারা হয়েছে। মধ্যযুগীয় এই ঘটনা এই বার্তা দেয় যে, জঙ্গিরা মবতন্ত্রের মাধ্যমে ব্লাসফেমি ও শরিয়া কার্যকর করে ফেলেছে। এখন তারই... ...বাকিটুকু পড়ুন

তৌহিদি জনতার নামে মব সন্ত্রাস

লিখেছেন কিরকুট, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১১:৫৪




ছবিঃ অনলাইন থেকে সংগৃহীত।


দেশের বিভিন্ন স্থানে সাম্প্রতিক সময়ে ধর্মের নাম ব্যবহার করে সংঘটিত দলবদ্ধ সহিংসতার ঘটনা নতুন করে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। বিশেষ করে তৌহিদি জনতা পরিচয়ে সংঘবদ্ধ হয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

মুখ গুজে রাখা সুশীল সমাজের তরে ,,,,,,,,

লিখেছেন ডঃ এম এ আলী, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৪:০৫


দুর্যোগ যখন নামে আকাশে বাতাশে আগুনের ধোঁয়া জমে
রাস্তা জুড়ে কখনো নীরবতা কখনো উত্তাল প্রতিবাদের ঢেউ
এই শহরের শিক্ষিত হৃদয়গুলো কি তখনও নিশ্চুপ থাকে
নাকি জ্বলে ওঠে তাদের চোখের ভেতর নাগরিক বজ্র
কেউ কেও... ...বাকিটুকু পড়ুন

×