১
বাংলাদেশটাকে বড়ই আজব লাগছে। কোন একজন লোক হয়ত চুরি ডাকাতি করল আর অন্য কেউ চুরির খবরটা অন্যদেরকে জানিয়ে দিল। এখন, চোরটাকে অপরাধী সাব্যস্ত না করে চুরিটাকেই আমরা সাপোর্ট করে যাচ্ছি এবং অপরাধী বানাচ্ছি চুরির কথা যে বলে দিল তাকেই!!! এটাই মনে হয় ডিজিটালের আসল রূপ!!!
নিজামুল সাহেব কাজটা করে আমাদের দেশের বিচার ব্যবস্থাকে কলঙ্কিত করেছেন। এজন্য তার পদত্যাগ করা উচিত। কারণ, কোন বিচারপতিই আইনের উর্ধ্বে নন। এদিকে মন্ত্রীদের বক্তব্য দেখে মনে হচ্ছে এদের লজ্জা বলতে কিছুই নেই। লজ্জাকে মনে হয় তারা কোথাও বন্দক রেখে এসেছেন। বুঝতে পারলাম- দেশের মানুষ এমনি এমনিই বলেনা যে, তুই মানুষ না আওয়ামী লীগ??? আওয়ামী লীগ কত প্রকার ও কী কী তা মন্ত্রীরা আমাদেরকে প্র্যাক্টিকালী দেখিয়ে দিয়েছেন।
ইদানিং বিভিন্ন সংস্থা বাংলাদেশকে দুর্নীতির দিক থেকে শীর্ষদেশ হিসেবে তালিকাভুক্ত করেছে। আবার কবে না জানি চোর কিংবা চোর প্রশ্রয়দানকারী শীর্ষদেশ হিসেবে বাংলাদেশকে তালিকাভুক্ত করে। আমরা এসব চোর ডাকাতমুক্ত একটি সোনালী সমাজ ও দেশ চাই!!! প্রধান বিচারপতিকে অনুরোধ করব বিচার ব্যবস্থায় কলঙ্ক লেপন করার কারণে নিজামুল ইসলাম সাহেবের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হোক!!!
২
আজকের আমারদেশ পত্রিকার রিপোর্টের ব্যাপারে সরকারের উপর মহল কিংবা বিচারপতি নাসিম সাহেবের মন্তব্য জানা দরকার!!! কেউ কি কোন মন্তব্য করেছে এটা নিয়ে??? তবে, আমি খুবই আশ্চর্য হয়েছি যে এত কিছু ফাস হয়ে যাওয়ার পরেও নিজামুল সাহেব ট্রাইবুনালে এসেছেন বিচার কাজ চালিয়ে যেতে।
লজ্জা জিনিসটা কি তাহলে দুনিয়ার থেকে উঠে যাচ্ছে নাকি?? আমি তো মনে করেছিলাম বিচারপতি নিজামুল সাহেব আর মানুষের সামনে মুখ দেখাবেন না। তাদের মন্তব্য জানতে খুবই ইচ্ছা করছে।
৩
সারা বাংলাদেশে আজ ট্রাইব্যুনালের সমালোচনা করা হচ্ছে, সমালোচনা করা হচ্ছে বিচারপতি নিজামুল হক নাসিমেরও। অতিসত্বর নাসিমের পদত্যাগ দাবী করেছে বাংলাদেশের সচেতন মানুষ। মিছিলে মিছিলে সবাই বিচারপতি নাসিমের বিরুদ্ধে শ্লোগান দিচ্ছে। সেই শ্লোগান গুলো
নিচে তুলে ধরা হলঃ
বিচারপতি নাসিম চোরা,
খাইসে খাইসে খাইসে ধরা।
নাসিম নাসিম নাসিম চোরা,
খাইসে খাইসে খাইসে ধরা।
নাসিমের গালে গালে,
জুতা মারো তালে তালে।
নাসিম চোরার পদত্যাগ,
করতে হবে করতে হবে।
অবৈধ ট্রাইব্যুনাল
মানি না, মানব না।
ভারতের দালালেরা
হুশিয়ার সাবধান।
ছাত্রলীগের গুণ্ডারা
হুশিয়ার সাবধান।
৪
শুরুতেই যখন বলেছিলাম এই আইন অস্বচ্ছ । এই আদলত মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার করার উপযুক্ত নয় । এ কোন বিচার নয় । বিচারের নামে প্রহসন । হত্যা-খুনের আয়োজন ।
তখন তোমরা অযৌক্তিক ভাবে বলেছিলে দেশে থাকবা, দেশের সংবিধান মেনে নির্বাচন করবা আর দেশের আইন-আদালত মানবা না, তাহয় না ? আমরা কখনো বলি নি যুদ্ধাপরাধের বিচার চাই না । তবে আমরা বরাবরই বলেছি যে বিচার চলছে তা কোন যুদ্ধাপরাধের বিচার নয়, এটা একটি রাজনৈতিক উদ্দে
শ্য চরিতার্থ করার হীন চেষ্টা মাত্র । কেন বলেছি এ কথা ? সে কথাতেই আসছি ।
জামায়াত কিছুটা গাইগুই করলেও তারাও কি তোমাদের সহায়তা করে নি ? তারা ঠিকই আদালতে গেছে । দিনের পর দিন জুলুম-হয়রানি(সময় প্রার্থনা করেও তারা সময় পায় নি) মেনেও বিচারিক প্রক্রিয়ায় উপস্থিত থেকেছে ।
শুরু থেকেই আমরা যেখানে প্রশ্ন তুলেছি, তোমরা সেটা এড়িয়ে গেছ বার বার ! আমরা বলেছি এই ট্রাইব্যুনাল উক্ত বিচার চালানোর জন্য উপযুক্ত নয় । তোমরা গায়ের জোড়ে সে কথা উড়িয়ে দিয়েছ । কিন্তু বাস্তবতা খুবই নির্মম নিজামুল হক নাসিম সাহেব নিজে স্বীকার করেছেন তিনি এই আইনের সাথে পরিচিত নন ।
কি ছিল আমাদের দাবি ?
আমরা বলেছি যারা এই বিচার চালাতে সক্ষম তেমন বিচারক নিয়োগ দিতে । দরকারে তোমরা বিদেশী আইনজীবী নিয়োগ দাও । অভিযুক্তদেরকেও সে আইনি সুবিধা দাও ।
কিন্ত তোমরা বরাবরই তা অস্বীকার করে গেছ ! যে আইন জানো না । আইন বোঝ না । মুহুরি কাজ করতে যার হিমসিম দশা তাকে করেছ প্রসিকিটর প্রধান । যার ট্রাইব্যুনালে আইনজীবী হওয়ার যোগ্যতা ছিল না, তাকে করেছ বিচারপতি । এই দায় কার ? একি দায়িত্বহীনতা নাকি সাজানো খুনের প্রস্তুতি ? জাতির সাথে বেঈমানি শুরু করেছিলে শুরু থেকেই বলেছিলে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করবে, নাম দিলে মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার !
সত্যিই কি তোমরা চাও জাতি দায় মুক্ত হোক ? মুক্তিযুদ্ধের মত একটি গুরুত্বপূর্ণ অর্জন নিয়ে জাতি এক কাতারে আসুক ?
চেতনা সে কথা নাই বা বললাম । কিসে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা আর কিসে নাই, তা কি দিবালোকের মত পরিস্কার নয় ? অবশ্যই পরিস্কার ।
তরুণরা এক হলেও তোমরা গুটিকয় স্বার্থান্বেষীরা তা চাচ্ছ না । কি হত আন্তর্জাতিক মানের একটি বিচার আদালত গড়লে ? হেরে যেত মানবতা ? নাকি হেরে যেতে তোমরা ? তোমরাই তো হারিয়ে দিচ্ছ মানবতা !

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।






