আমার এক বন্ধু কিছুদিন আগে বলল, কুমিল্লার নাকি একজন নামীদামি হাম্বালীগ নেতার ছেলে শিবিরের অনেক বড় একজন ক্যাডার হয়ে গেছে। রাজাকারের দলে নাম লেখানোর কারণে নাকি মাঝে মাঝে বাপ বেটায় রাগারাগিও হয়। একদিন বাপ বাড়ী এসে কইল, যদি তুই আমার ছেলে হয়ে থাকিস তাহলে, রাজাকারের দল ছেড়ে দে!! অন্যথায় আমার বাড়ীতে তোর ভাত নেই। আমার বাড়ী থেকে চলে যা!!!
বেচারা শিবির ক্যাডার মনে হয় পরে বাড়ী থেকে চলে গেছিল। এরপরে তার ভাগ্যে কি ঘটেছে আমি কইতে পারি না।
আজকে আবার ফেসবুকে পেলাম একজন ফ্রেন্ডের স্ট্যাটাস। উনিও এরকমই একটা ঘটনার কথা লিখেছেন।
উনি লিখেছেন---
আজকে এক বি.এন.পি এর নেতার সাথে কথা বলছিলাম। উনার ছেলে শিবির করে। উনি কথা প্রসঙ্গে বলল: ও যখন শিবিরে গেল তখন আমাদের মিছিলে আর যায়না। একদিন এম.পি সাব বলল তোমার ছেলে কই?? ওরে আমার কাছে কাছে রাখবা। ওর যোগ্যতা আছে । কয় বছর থাকুক দেইখ নেতা হয়ে যাবে। ওতো শিবিরে গেছে। উনি জবাব দিলেন। "শিবিরে গেছে!!! ওতো কয়দিন পর তোমারেই উল্টা করে রগ কাটবে"
উনি আমার কাছে বললেন: ওর ছোট বেলা থেকেই ইসলামের প্রতি আগ্রহ। ও যে পথে ছিল সে পথেই থাকুক। এই দেখ সাথী হতে গিয়ে কত কুরআন-হাদীছ মুখস্ত করা লাগছে ওর। এখন ও তো ছোটন-রতন থেকে হাজার গুণে ভাল। বাড়ির আশেপাশের সব ছেলেই ওর ভক্ত। এই কথা উনাদের(উনার নেতাদের) বুঝাই ক্যামনে??
উনি বড় নেতা হয়ে গেছেন বলে বিএনপি ছাড়তে পারছেন না। কিন্তু শিবিরকে উনি ভালমত চিনতে পেরেছেন।
এই হল- শিবির রাজাকারের বাচ্চাদের অন্য দলের নেতার ছেলেদের দলে ভেড়ানোর দুইটা উদাহরণ।
আমরা স্বাধীনতার পক্ষের শক্তিরা চাইনা কেউ রাজাকারদের পাতা ফাদে পা দিক। কুপথ থেকে তাদেরকে ফেরানো যায় কেমন করে কেউ জানেন কি??
আমি মনে করি, তাদের হাতে কুরআনের তাফসীর, হাদিস ও ইসলামী বইপত্র তুলে দেয়া যেতে পারে। যেন তারা সত্যকে চিনতে পেরে তা আকড়িয়ে ধরে এবং কুপথকে লাত্থি মেরে দূরে সরিয়ে দেয়।
আমার সাথে কে কে আছেন আওয়াজ দেন। সাথে সাথে আপনার চিন্তাটা উপস্থাপন করেন যে, রাজাকারের বাচ্চাদের থেকে আমাদের সন্তানদেরকে কিভাবে দূরে রাখব??? ওদের কর্মকুশলী দেখে বিস্মিত হতে হয় যে, ওরা বিভিন্ন ফাদ পেতে স্বাধীনতার স্বপক্ষের শক্তির বিভিন্ন নেতাকর্মীর ছেলেদেরকে তারা দলে ভেড়াচ্ছে। আর এর জন্য ওরা পরিকল্পিতভাবে কাজ করে যাচ্ছে।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।






