একজন নাস্তিকের মনে প্রশ্ন জাগল,
কুরআন কি সত্যিই ঐশ্বরীক কোন গ্রন্থ,
নাকি মোহাম্মদের (সাঃ) মনগড়া কিছু?
সে রাত-দিন গবেষনায় লেগে গেল।
প্রথমে সে পৃথিবীর বিখ্যাত গ্রন্থ সমূহ
সংগ্রহ করলো এবং অধ্যয়ন শেষ করলো।
সে একটি বিষয় লক্ষ করলো-
প্রত্যেকটি গ্রন্থের শুরুতেই লেখকের নাম রয়েছে।
সর্বশেষে হাতে নিল মহাগ্রন্থ আল-কুরআন।
কুরআন হাতে নিয়েই সে লেখকের নাম খুঁজল।
এপিঠ ঐপিঠ উল্টিয়ে কোন নামই খুঁজে পেলনা।
শুরুতে তার ধারনা ছিল গ্রন্থটি মোহাম্মদের রচিত,
তাই বইটির উপরে নিশ্চয়ই তাঁর নাম থাকবে।
কিন্তু না, তার ধারনা ভূল প্রমাণিত হতে লাগল।
এরপর পবিত্র কুরআন খুলেই সে
প্রথম যে লেখাটি দেখতে পেল তা হল-
“বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম”
শুরু করছি আল্লাহর নামে যিনি পরম করুণাময়, অতি দয়ালু।
এ আয়াতটির অর্থ বুঝার পর সে অবাক হলো
এখানেও মোহাম্মদের নাম নেই, আছে আল্লাহর নাম।
তার মানে যিনি আল্লাহ, তিনিই এই বাক্যটির রচয়িতা।
তিনি নিজের প্রশংসাও নিজে করেছেন।
পৃথিবীর কোন বিখ্যাত লেখকের এই সাহস হয়নি,
যে তিনি এভাবে নিজের প্রশংসা নিজে করেছেন কোথাও।
এরপর পাঠ করলেন-
“আলহামদুলিল্লাহি রাব্বিল আলামিন”
যাবতীয় প্রশংসা আল্লাহ তা’আলার যিনি সকল সৃষ্টি জগতের পালনকর্তা।
এই আয়াতটির অর্থ বুঝার পর তার মনে প্রশ্ন দাড়াল,
সাধারনত মানুষ যখন পৃথিবীর কারো প্রশংসা করে,
তখন কেবল পৃথিবীর গন্ডি নিয়েই চিন্তা করে।
এছাড়া এই জগতটির বাহিরে আরো সৃষ্টি জগৎ রয়েছে
এই ধারনাও নিশ্চয় কোন মানুষের থাকার কথা নয়!
তাহলে, নিশ্চয়ই এই বাক্যটির রচয়িতা একমাত্র তিনিই,
যিনি সত্যিই অগনিত সকল সৃষ্টি জগতের পালনকর্তা।
পরে সেই নাস্তিক ভাই ইসলাম গ্রহন করে মুসলিম হয়েছেন।
সর্বশেষ এডিট : ১২ ই মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৫:০৭