কভিড-১৯
এর কালে কয়েকটি বিষয় খেয়াল করলাম-
১. প্রথমে (ফেব্রুয়ারীর শেষ থেকে মার্চের মাঝামাঝি) দেশের বুদ্ধিজীবীগণ লকডাউনের পক্ষে বহু বিতং করছেন দেখলাম। সরকার কেন লকডাউন দিচ্ছে না। চিল্লাইয়া গলা ফাটাইয়া ফালাইছে।
২. সরকার দিল লকডাউন।
৩. দেশের প্রায় ৭০% মানুষ লকডাউনকে মেনে নিতে পারলনা।
৪. সরকার আইন প্রয়োগ করল। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মাঠে নামাল।
৫. বুদ্ধিজীবীসহ দেশের ৯৯% ফটোগ্রাফার আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বদনাম করে ছাড়ল।
৬. আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তাদের এ্যকশন শিথিল করে মানুষকে বুঝাতে লাগল।
৭. বুদ্ধিজীবীসহ দেশের আমজনতা তাতে খুব খুশি হল।
৮. লকডাউনের এক সপ্তাহের মাথায় ত্রাণ বিলি শুরু হল।
৯. চারদিকে ত্রাণ চোর ধরা পড়তে লাগল।
১০. তিন সপ্তাহের মাথায় ব্যবসায়ীদের মাথা খারাপ হতে শুরু করল।
১১. ব্যবসায়ীদের সাথে বুদ্ধিজীবীরাও যোগ দিল।
১২. এবার দেশের বুদ্ধিজীবী, ব্যবসায়ী সহ আমজনতা মিলে সকলেই লকডাউনের বিপক্ষে ভাবনা চিন্তা শুরু করল। সবার ভাষ্য- এভাবে আর চলবে কত দিন?
১৩. সরকার পাঁচ সপ্তাহের মাথায় লকডাউন সীমিত করার ঘোষণা দিল। ব্যবসায়ীরা তাদের মাথা ঠিক করার পথ খুঁজে পেল।
১৪. লকডাউন সীমিত করার কয়েক ঘন্টার মধ্যেই বুদ্ধিজীবীরা আবার হায় হায়, গেল গেল করে উঠল।
১৫. শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ব্যক্তি উদ্যোগে কিছু ব্যবসায়ী তাদের ব্যবসা বন্ধ রাখার ঘোষণা দিল।
১৬. দেশের বুদ্ধিজীবীরা আবার সাধুবাদ জানানো শুরু করল।
এভাবে চলতে থাকবে....
সর্বশেষ এডিট : ০৮ ই মে, ২০২০ রাত ১১:২৭