১।
পিশাচ
শালিক শালিকাকে একটা ধাঁধা জিঙ্গাসা করল, বলতো শালিকা, সবচেয়ে আজব, কিম্ভূত কে?
শালিকা বলল, মানুষ!
-কেমনে
-এরা মানুষ, আবার এই মানুষ হওয়ার জন্যই দিনরাত পরিশ্রম করে। আর মানুষ হতে হতে এরা হয়ে যায় জানোয়ার।
-পুরনো লজিক।
-এরা রোগ উৎপাদন করে ওষুধ বিক্রির জন্য।
-আর?
-জগতে এরাই একমাত্র স্বজাতিকে ঠান্ডা মাথায় হত্যা করে।
-তারপর?
-এরা দিনকে রাত, রাতকে দিন করতে পারে।
-আচ্ছা
-এরা ঘাস খায় আবার মাংসও খায়।
-হা হা, তুই পারলি নারে পাগলি।
-তাহলে তুমি বল, কেন?
-গভীর বিষণ্ণতায় স্তব্ধ শালিক বলল, আমি নিজেও জানি না, ময়-মুরুব্বিরা বলে গেছেন, ঐ মানুষের মত দেখতে, ওদের থেকে দূরে থাকবি।
-ওরা পিশাচ
২।
শরম
কিরে পাগলা, কি খবর তোর?
মেম্বর সাব, শুধু খিদা লাগে।
এটাতো খুব ভাল খবর। খিদা লাগলে খাবি। মানা করল কেডায়?
খানা পামু কই?
ক্যান, তুই অইলি একটা পাগল। তোর খানার অভাব অইব ক্যান? যেখানে খানা দেখবি সেখানেই যায়া খাবি। তোরে কেউ কিছু কইতে পাইব?
না মেম্বর সাব, শরম করে।
পাগলা বলে কি! পাগলেরও নাকি আবার শরম করে। আজব!
সাব, পাগল অইলেও মানুষতো! শরমতো থাকবই।
কয় কি ব্যাটা। মনে মনে ভাবলেন। আমি যে এত বস্তা চাল চুরি করছি, চেয়ারম্যান সাব করছে, কই আমাগো তো শরম করে নাই।
মানুষ অইলেইতো আপনাগো শরম করত।
চমকে উঠলেন মেম্বর সাব।
ঘোষণা দিলেন, পিডা হালারে!
সর্বশেষ এডিট : ১৮ ই আগস্ট, ২০২০ সকাল ১০:৫০