আজ সারাদিনই সারাদেশে একপ্রকার যুদ্ধ চলছে, জানিনা এ যুদ্ধের শেষ ফলাফল কি হবে। একদিকে অত্যাধুনিক অস্ত্রসজ্জিত সরকারী বাহিনী সাথে সরকারী দলের সন্ত্রাসী ক্যাডার যাদের হাতে অবৈধ অস্ত্রের ঝনঝনানী, অন্যদিকে সাধারণ ছাত্র, হাতে সামান্য একটি লাঠি। ফলাফল কী হতে পারে তা সবাই অনুমান করতে পারছেন। কিন্তু কিছু কিছু স্থানে দেখলাম ঘটনা সম্পূর্ণ উল্টোটা ঘটেছে। এই সামান্য লাঠির শক্তির কাছে পরাজিত হয়েছে পুলিশ, বিজিবি সহ সরকারী অন্যান্য আধাসামরিক বাহিনী। সাথে তো পেটোয়া সরকার সমর্থিত বাহিনী ছিলই।
আমি ৭১ দেখিনি, দেখেছিলেন আবার বাবা, তিনি শুধু দেখেননি, দেখার একপর্যায়ে তিনি বাড়িঘর ত্যাগ করে ওপারে গিয়ে ট্রেনিং নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন যুদ্ধে। দেশ স্বাধীন হল, তিনি ঘরের ছেলে ঘরে ফিরে এলেন। কিন্তু তখনকার যুদ্ধ ছিল, পাকিস্তান, রাজাকার, আর তাদের সহযোগী অন্যান্যদের বিরুদ্ধে।
আজকে একজনের একটি ব্লগপোস্ট দেখে আমি বেশ কিছুক্ষণ হেসেছি। হ্যাঁ, আপনারা ঠিকই শুনেছেন। ভাবছেন দেশের এই করুণ পরিস্থিতিতে কিভাবে আমি হাসতে পারি, কিভাবে আমার হাসি আসে। আরে ভাই আপনিও হাসবেন তার মত এক পাগলের উদ্ধত প্রলাপ শুনলে, বলে কিনা ‘আপনারা সাধারণ জনগণ কাজে যান ছাত্রলীগের সাহসী ভাইয়েরা আপনাদের নিরাপত্তা দিবে।’ অথচ, সারাদিনে সরকার নিয়ন্ত্রিত কিছু পত্রিকায় যেভাবে সেই সব সাহসী সোনার ছেলেদের মার খাওয়ার চিত্র দেখলাম, তাতে হাসতে হাসতে আমার পেটে খিল ধরে যাওয়ার মত অবস্থা হয়েছে।
দেশের শান্তি বজায় রাখা যাদের কাজ, তারাই আজ দেশে অশান্তি সৃষ্টি করছে। অস্ত্রহাতে পাকিস্তানীরা যেভাবে নিরস্ত্র আপামর বাংগালীদের মেরেছে, ঠিক সেভাবেই আজ বাংগালী অস্ত্রধারীর হাতেই আজ মরছে নিরস্ত্র বাংগালী। জানিনা এর শেষ কোথায়?
আমার এ লেখা পড়ে কিছু কুলাংগার এবং বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী ব্যক্তি আমাকে বিম্পি-জামাত ভাবতে পারে, তাদের সতর্ক করে বলছি ১০০ হাত দুরে থাকুন, আর নিজের বিবেক বলে যদি কিছু থেকে থাকে তাকে জাগ্রত করুন। তাতেই এদেশে আমরা সাধারণ জনগন দুটো ডাল-ভাত খেয়ে শান্তিতে ঘুমাতে পারব।
সর্বশেষ এডিট : ১৮ ই জুলাই, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৫৮