নোবেল পুরস্কার পাওয়ার পর বাংলাদেশের সকল রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও ধমর্ীয় সংগঠন . ইউনুসকে সাধুবাদ জানালেও রাজনীতিতে আসার ঘোষণা দিয়ে তিনি বিপাকে পড়েছেন। প্রথম দিকে বড় দুটি দল তাকে রাজনীতির ময়দানে স্বাগত জানায় এ খবর সবারই জানা। কিন্তু দিন যতই যেতে থাকে ড. ইউনুসের ব্যাপারে বিএনপি, আওয়ামীলীগ এমনকি জামাতে ইসলামীও বিরুপ মন্তব্য করতে থাকেন। বাংলাদেশে মনে হয় এই প্রথম আওয়ামীলীগ বিএনপির সাথে জামাত একটা ইসু্যতে ঐক্যবদ্ধ হয়েছে। তবে এসব বিরোধিতাকে উপেক্ষা করে ড. ইউনুস রাজনীতিতে নামার ঘোষণা দেয়ায় দেশের সুশীল সমাজ খুশীই হয়েছিল। মনে করা হচ্ছিল মার্কিন ও ইউরোপীয় দেশগুলো সমর্থন এবং তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সহযোগিতায় ইউনুসের দল তৃতীয় শক্তি হিসেবে ক্ষমতার মসনদে বসবে। কিন্তু যতই দিন যাচ্ছে সে আশায় তত ভাটা পড়ছে।
কারণ ইউনূসের ডাকে কেউ সাড়া দিচ্ছে না। তার স্বপ্নের দল 'নাগরিক শক্তি' গঠনের প্রাথমিক পর্যায়ে মহল্লা বা ওয়ার্ডে 20 সদস্যের 'প্রাথমিক প্রস্তুতি টিম' গঠনের ঘোষণা দেয়ার 10 দিন পার হয়ে গেলেও এ পর্যন্ত কোথাও এ ধরনের কমিটি গঠিত হয়নি। ড. ইউনূসের ঘনিষ্ঠ একটি সুত্রের বরাত দিয়ে দিনকাল জানায়, নাগরিক শক্তি গঠনে সাড়া না পেয়ে তিনি হতাশ হয়ে পড়েছেন। তবে তিনি হাল ছাড়তে রাজি নন। বাংলাদেশে বিদ্যমান রাজনীতির প্রচলিত ধারা ভেঙে নতুন ধারা সৃষ্টির যে অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছেন সে লক্ষ্যে তিনি এগিয়ে যেতে চান। ড. ইউনূসের পাশাপাশি সুশীল সমাজের বিশ্বাস তিনি একদিন জয়ী হবেনই।
সর্বশেষ এডিট : ৩১ শে ডিসেম্বর, ১৯৬৯ সন্ধ্যা ৭:০০