২০১৪ সালের অর্থণীতির নোবেল লরেট Jean Tirrole যথার্থ ব্যাখা দিয়ে নোবেল পেয়েছেন। কিন্তু আমরা কি তার প্রতিপাদ্য বিশ্লেষন করেছেন কিংবা প্রয়োগের চিন্তা ভাবনাও কি করেছেন, যার সাথে জড়িত রাজণীতি। যেহেতু অর্থনীতি ও রাজণীতি পরস্পর সম্পর্কযুক্ত। অর্থাৎ অর্থণীতি কে প্রয়োগ ককরতে হলে বিচক্ষন রাজণীতি দরকার।
নোবেল লরেট বর্তমান পূজীবাদ অর্থণীতি কে শোষিত বলেছেন এই অর্থে যে, সবকিছু যেহেতু ব্যাক্তিমালিক নিজের মত করে প্রাইস impose করে, যা সরাসরি প্রভাব ফেলে ভোক্তার উপর।অন্যদিকে অধিক মুনাফার আশায় ব্যাক্তিমালিক সরকারী আমলাদের স্পিড মানি দিয়ে ম্যানেজ করে নিজের ঘর গুছিয়ে নেয় দ্রুত। যার ফলাফল আমরা অকপটে দেখতে পাচ্ছি আমাদের দেশে।
যেমন আমাদের প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় ও প্রাইভেট হাসপাতাল দুটোই আমাদের সরকারের নায়ন্ত্রনহীন, যে যার মত প্রাইস অরেপ করে পরিচালনা করে আসছে অধিক মুনাফার আশায়। যাহার সর্বনাশী ফলাফল জনগণ টের পাবে আরও এক দশক পর।
মুক্তবাজার অর্থণীতির ছদ্মনামধারী পুজিবাদেন যে চরম দক্ষিণপন্থি ডামাডোলে বিশ্ব মেতে রয়েছে, তার অবশ্যাম্ভাবী ফলাফলই হলো ক্রমবর্ধমান আয় ও সম্পদ বন্টনের বৈষম্য।
বাংলাদেশের ১৯৭২ সালের সংবিধানে সমাজতন্ত্রকে অন্যতম রাষ্ট্রীয় ণীতি হিসাবে প্রতিষ্ঠা করা হলেও ১৯৭৫ সালের রাজণৈতিক পটপরিবর্তনের আগেই সাহায্যদাতা দেশ ও সংস্থাগুলোর শর্তের চাপে ব্যক্তিখাতকে উৎসাহিত করার নীতি গ্রহণ করা হয়েছিলো।
১৯৯০ সালে এরশাদ পতনের পর ১৯৯১ সালে থেকে বি এন পি ও আওমীলীগের নেতৃত্বে নির্বাচিত সরকার পালাক্রমে এ দেশে গত ২৩ বছরের মধৌ ২১ বছরে সরকারের আসীন থাকলেও দেশে আয় বৈষম্য নিরসনে তাদের তেমন ভূমিকা ছিলো না বললেই চলে।
আওয়ামীলীগ নব্বই দশকের শুরুতেই মুক্তবাজার অর্থণীতি প্রতিষ্ঠাকে তাদের রাজণৈতিক দর্শণ হিসাবে ঘোষনা করেছে। পশ্চিমা বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে কিংবা তাদের স্বার্থেই বর্তমান অর্থনীতি। অামাদের মত উন্নয়নশীল দেশে পশ্চিমা প্রযুক্তির ড্যাজলিং এবং সস্তা কারীগরি ব্যবহার করে ওরা প্রবেশ করে আমাদের অজ্ঞতার অসারতার সুযোগে। উন্নয়নশীল দেশের অর্থনীতির শক্তি ও পশ্চিমা অর্থণীতির শক্তি সমান তালে চলতে পারে না বিধায় তথাকথিত মুক্তবাজার অর্থণীতি থেকে শক্তি সঞ্চার করে উন্নয়নশীল দেশে শক্তি প্রয়োগ করে। শত বছর ধরে চলা ওদের মুক্তবাজার অর্থণীতির রয়েছে শক্তকাঠামো প্রশাসন ও নিয়ন্ত্রক অন্য দিকে আমাদের দুর্বল নিয়ন্ত্রক যা অবশেষে ব্যাক্তিমালানাধীন প্রতিষ্ঠানগুলো অধিক প্রাইস অরোপ করে সরকারকে অস্বস্তিতে ফেলে দেয় আর পূজিবাদরা সহজেই ম্যানেজ করে ফেলে আমলাদের বা নিয়ন্ত্রকদের।
শিক্ষা ও স্বাস্থ্য সেবা মুক্তবাজার অর্থণীতিতে চলে না, এ কথা প্রচলিত। জনগণের দ্বারগোড়ায় গুনগত স্বাস্থ্যসেবা ও শিক্ষা পৌছে দিতে হলে সরকারকে দারোয়ানের ভূমিকা পালন করতে হবে। সরকারী হাসপাতালের ডাক্তার, রোগীকে রোগী ই মনে করে না। কারন Non paid patient, অন্যথায় যে যখন সরকারী চাকুরী ফাকি দিয়ে প্রাইভেট প্রাকটিজ করে, তখন রোগীকে রোগীর চাহিদামতো সেবা দেয়ার সুযোগ পায়।ফলপ্রসূ, সরকারী ডাক্তারের মন মানসিকতা প্রাইভেট হয়ে যায় পাশাপাশি নিজেকে ব্র্যান্ডিং করার সুযোগ পায়( সরকরী সীল)।
অন্যদিকে সরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকেরা এখন হয়ে গেছে হাইব্রিড অর্থাৎ দিনে ফ্রি টিচিং সন্ধ্যায় ইভিনিং এম বি এ ও অন্যান্য। রাতে প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় এ গিয়ে আবার রাত্রিকালীন এম বি এ ও অন্যান্য।
এ সব বিতর্ক অনেক পুরানো যা অনেক কলামিস্ট নিয়মিত লিখছেন। কিন্তু আমার একটা ব্যপার বোধগম্য হয় না BUGC কেনো সরকারী বিশ্ববিদ্যালয় এ প্রাইভেট টিচিং এর অনুমোদোন দিলো। তাহলে সরকার কেনো জনগণের হাজার কোটি ট্যাক্স এর টাকা এদের পিছনে ব্যায় করছে। সব প্রতিষ্ঠানগুলোকে প্রাইভেট করলেই পারে!!!
কিন্তু না, সরকার যদি গণহারে সেবা মূলোক প্রতিষ্ঠানগুলো অর্থাৎ শিক্ষা কিংবা আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো বেসরকারী করে, তার ফলাফল সরকারকে অবশ্বাম্ভি অস্বস্তিতে ফেলবে এবং যার পরিনাম হবে ভয়াবহ এবং জনগনই সরকার হঠিয়ে নতুন সরকার বসাবে। কারন মুক্তবাজার অর্থণীতি কেবলই মুনাফাভোগী।এবং গুটিকয়েক শোষকরা সুইজব্যাংকে টাকা পাচারের সুযোগ পায়, যা আমরা এখন উপলব্দি করতে পারছি বরং নিয়ন্ত্রকরা জবাবদিহিতা মূলক প্ল্যান নিলেই সরকারী প্রতিষ্ঠানগুলো কে ভালো ভাবে চালানো সম্ভব। সামাজিক অংশিদারিত্ব, আর্থিক অর্ন্তভূক্তিকরন, আয় ব্যয়ের সুষম বন্টন নিশ্চিতকরত:, সরকারের কঠোর অবস্থান ও প্রয়োগ এবং আইনের প্রয়োগীক বাস্তবায়ন সুশাসন ও জবাবদিহিতা ই বর্তমান অর্থণীতির মাধ্যমে মধ্যআয়ের দেশে রুপান্তর করা সম্ভব অচিরেই।
আর হয়তো কিছুদিন পরে বর্তমানে প্রচলিত অর্থণীতির নাম পরিবর্তন হয়ে নতুন নামকরণ হতে পারে যাহা Capitalism, Socialism or Mixed Economy নামে নয়।
!!!!!!! অপেক্ষা করছি।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




