ঈদ চলে আসছে। আর মাত্র ৫ দিন বাকি। কিন্তু ভদ্রলোক কিছুই বলছেন না। টোটাল সাইলেন্স। ৯ দিনের ছুটি! তারপরেও যদি এই মরুভূমি থেকে বের না হই!!
আরো একদিন পার হলো। ইফতার শেষ হলো। ভদ্রলোক কড়া করে দুধ-চা দেওয়ার কথা বলে লিভিং রুমে গেলেন। আমি চা বানিয়ে লিভিং রুমে যেয়ে দেখি টেবিলের উপর দুটো প্লেনের টিকেট! ওয়াও!
আমরা যাচ্ছি। ভ্যাকেশনে।
টু তার্কি। ইসতাম্বুল!
ইন্টারনেট খুলে বসলাম ইসতাম্বুলের আবহাওয়া দেখার জন্য। এখন ঠান্ডা ওখানে। সুতরাং শীতের কাপড় লাগবে। পাশাপাশি বৃষ্টি হচ্ছে। দারুন। কতোদিন বৃষ্টি দেখি না।
আমরা শীতের কাপড়ের খোজে বের হলাম। কিন্তু গরম দেশে শীতের কাপড় পাওয়া এতো সহজ না। দুদিন নষ্ট হলো। সোয়েটার পছন্দ হয় না। বুধবার রাত ২ টায় ফ্লাইট। রাত ১১টায় আজিজ মল থেকে তাড়াহুড়া করে একটা সাদা সোয়েটার কিনলাম। তারপর ভোঁ দৌড়। এয়ারপোর্ট। প্রচুর মানুষ আজ। সবাই হলিডে তে যাচ্ছে। নিজ দেশে বা কোথাও ঘুরতে।
প্লেন-এ উঠলাম। যা তা একটা ফ্লাইট। এতো ছোট যে পা রাখা যাচ্ছে না। এর চেয়ে এয়ার এশিয়ার বাজেট এয়ারও অনেক ভালো। তার্কিশ এয়ারলাইন্স যে এরকম হবে আগে চিন্তা ও করিনি।
অনেক রাত। আমি এয়ারলাইন্সের কম্বল গায়ে দিয়ে ঘুমাবার চেষ্টা করছি। এখন থেকে ৪ ঘন্টা পর একটা নতুন দেশ দেখবো। এই ফিলিংসটা অন্যরকম! তার্কি-এমন একটা দেশ যা দু'টা মহাদেশে একসাথে অবস্থিত- ইউরোপ এবং এশিয়া। আমরা যাচ্ছি ইউরোপ -এর অংশে।
তার্কিশ সময় ভোর ৬ টায় প্লেন ল্যান্ড করবে।
আমি চোখ বন্ধ করে শুয়ে রইলাম।
প্লেন যাচ্ছে তার নিজস্ব গতিতে...
পরের পর্ব: ইসতাম্বুলে প্রথম দিন।