গজনীর সুলতান মাহমুদ একদিন সমরখন্দের খারকান গ্রামে গেলেন। শেখ আবুল হাসান নামে একজন বুযুর্গ ব্যক্তি সেখানে বাস করতেন। সুলতানের ইচ্ছা তার সাথে দেখা করবেন। তিনি সেখানে পৌঁছে বুযুর্গ ব্যক্তিকে অনুরোধ করে পাঠালেন তার তাঁবুতে আসার জন্য।
সুলতানের বেয়ারা যখন সুলতানের বার্তাটি ঐ বুযুর্গ ব্যক্তিকে দিলেন, তখন তিনি বললেনঃ “আমি ঊপরের মহারাজাধিরাজের হুকম পালনে এতই ব্যস্ত যে, অধঃস্তন এই রাজার হুকম পালনের জন্য আমার সময় নেই বলে আমি দুঃখিত ”।
সুলতান মাহমুদ যখন এই খবর শুনলেন তখন তিনি অভিভূত হয়ে পড়লেন এবং বললেনঃ “উঠ তোমরা, আমরাই তার কাছে যাব। তিনি এখানে আসবেন এমন মানুষ তিনি নন।”
সুলতান শেখ আবুল হাসানের কাছে গেলেন এবং তাকে অভিনন্দন জানালেন। শেখ স্বাগত জানালেন সুলতানকে। কিন্তু আসন থেকে উঠলেন না। সুলতান তার কাছে কিছু উপদেশ চাইলেন। শেখ বললেন, “ মসজিদে নামায পড়বে, দান করবে এবং নিজ জনগনকে ভালবাসবে।“
সুলতান তার কাছে আশীর্বাদ চাইলেন। শেখ বললেনঃ “ তুমি সর্বশেষ মাহমুদের (প্রশংসিতের) সাথে থাক।” সুলতান এক থলে টাকা শেখের সামনে রাখলেন। শেখ এক খন্ড বার্লির রুটি তলে নিয়ে সুলতানকে বললেনঃ “খাও”। সুলতান মুখভরে রুটি চিবালেন কিন্তু গিলতে পারলেন না। শেখ বললেনঃ “ এই বার্লির রুটি যেমন তোমার গলায় বাধছে, তোমার স্বর্ণ মুদ্রাগুলো তেমনি আমার গলায় বাধবে। এই স্বর্ণ মুদ্রাগুলো নিয়ে যাও এবং দরিদ্রদের মাঝে বিলি করে দাও।“
উৎসঃ আমরা সেই সে জাতি (২য় খন্ড)

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




