somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

রাষ্ট্র ধর্ম ইসলাম,সংবিধানে বিসমিল্লাহ এবং ধর্মভিত্তিক রাজনীতিকদের নাভিস্বাস

২৫ শে আগস্ট, ২০১০ রাত ৯:৪৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম থাকবে কি থাকবেনা,সংবিধানে বিসমিল্লাহ থাকবে কি থাকবেনা এবং ধর্মভিত্তিক রাজনীতি চালু থাকবে কি নিষিদ্ধ হবে এই নিয়ে একটা নিউজ প্রায় প্রত্যেকটা দৈনিক পত্রিকায় থাকবেই। এই পত্রিকায় আসল না আর রক্ষা নেই ধর্মভিত্তিক রাজনৈতিক দলের কারন ওমক মন্ত্রী এই বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী সেই বলেছেন আরো কত কিছু....

মন্ত্রী/আদালতের রায়ে ধর্মভিত্তিক দলগুলোরও নাভিস্বাস চরমে উঠা নামা করে যেমনটা করে অসুস্থ মানুষের হার্টবিট অথবা প্রেসারের রোগিদের।

রাষ্ট্র ধর্ম ইসলাম আমাদের জন্য কতটুকু দুনিয়াবী বা আখিরাতের কল্যান বয়ে নিয়ে এসেছে আমার কাছে পরিষ্কার নয়।আর এই স্টেন্ড ইসলামের জন্য কতটুকু উপকারে এসেছে তাও খতিয়ে দেখার দাবী রাখে। পাকিস্তান আমল থেকেই ইসলাম ব্যবহত হয়েছে শাসকদের ক্ষমতার কাঠি হিসেবে অথবা to legitimize their power.

ইয়াহিয়া খানের মত বদ চরিত্রের সেকুলার লোকও "ইসলাম বাচাঁনোর" জন্য ৭১ সালে আমাদের দেশের উপর ঝাপিয়ে পড়েছিল অথচ তখন ইসলামী দলগুলোর সাথে তার পুর্বেকার আইউব খানের সাপে-নেউলে সম্পর্ক।সমগ্র পাকিস্তানে জামায়াত তখন হিউজ পরিমান মিছিল, মিটিং এবং অবরোধ করেছে ফলে আইউব খান গদি ছাড়তে বাধ্য হলেন, অথচ ঐ সময়ের পরপরই ইসলামের নামে আর্মি সরকার তাদেরকে "ব্যবহার" করেছে।

বাংলাদেশ হওয়ার পরও একই ঘটনা ঘটতে দেখা গেছে।ব্যক্তি জিয়া সেকুলার হলেও পটপরিবর্তনের ফলে ইসলামকে তোশামোদ করা তার জন্য জরুরী হয়ে পরে।একই ঘটনা দেখিয়েছেন মহামান্য চরিত্রহীন হো মো এরশাদ! Zia and Ershad as a cynical exploitation of Islam to gain legitimacy for their military regimes. (১)

Why Islam? Rulers exploit only those sentiments that already have a great deal of resonance in the masses. The fact that it was Islam that was instrumentally used by the rulers to legitimize their regimes—and not any other ideology or sentiment—only shows that the rulers were, in fact, responding to something that already had a strong popular base of support.(২)

সংবিধানে বিসমিল্লাহ রেখেই সেকুলার আইন তৈরি হয়েছে এবং হচ্ছে, রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম রেখেই দেশে মদের লাইসেন্স দেয়া হয়েছে, ইসলামী রাজনীতি রেখেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বোরকার উপর কেপ( al lost ban) লাগানো হয়েছে।এত কিছু করতে যেহেতু সরকার কোন বাধার সম্মুক্ষীন হয়নি সেখানে শুধু শুধু এগুলোকে পাব্লিকলি ব্যান করে আওয়ামীলিগ জনরোষের সম্মুক্ষীন কেন হতে যাবে?? ভোটের রাজনীতি এই ভুল যে আওয়ামীলিগ করবেনা তা এই সরকারের শুরু থেকেই বুঝা যাচ্ছে।

বাংলাদেশের মানুষের মধ্যেই ইসলাম নাই সেখানে রাষ্ট্রিয়ভাবে থাকা না থাকার বিতর্ক অর্থহীন।বাংলাদেশের ইসলামের সরুপও অভূতপুর্ব। Hampton University এর পলিটিকাল সাইন্সের প্রফেসর মতাজ আহমেদ বাংলাদেশের ইসলামকে ক্যাটাগোরী করতে গিয়ে দেখিয়েছেন at least six distinct categories: orthodox Islam; Sufi Islam; reformist/liberal Islam; revivalist/fundamentalist Islam; ‘‘Islamic patriotism’’; and a nascent postmodern, nonestablishmentarian Islam.(৩) এই যখন অবস্থা ইসলামের সেখানে ইসলাম গেল ইসলাম গেল বলে যারা লাফালাফি করে তারা সর্বোচ্চ এক ক্যটাগরির লোক।অন্য ক্যটাগরির ইসলামিষ্টদের নিরব থাকতে দেখে আমার কাছে প্রশ্ন জাগে আসলে ইসলাম গেল নাকি কারো গোষ্ঠি সার্থে টান পড়ল??

দেশের মানুষ এখনো অসুস্থ হলে তাবিজের জন্য, পানি পড়ার জন্য কবিরাজের কাছে যায়, ফতোয়ার জন্য মক্তবের হুজুরের কাছে যায়,মাজার পুঁজা রাষ্ট্রীয়ভাবে এখন প্রতিষ্ঠিত, সম্পত্তিতে আল্লাহ প্রদত্ত ভাগ মেয়েদের পাওয়ার জন্য রস্তায় নামতে হয়.............সেই দেশে ইসলাম কবে ছিল আর কেই বা নিয়ে যাচ্ছে আমার বুঝে আসেনা।

পরিশেষে, বৃহত অংশের সেকুলার জনগনের ম্যন্ডেট নিয়ে ক্ষমতায় আসা সেকুলার সরকারে বক্তব্য বিবৃতির উপর যে সমস্ত ব্যাক্তির, গোষ্ঠির এবং দলের ইসলাম, ইসলামী আন্দোলনের কর্মসূচী উঠা নামা করে তারা দেশে কি ইসলাম কায়েম করবে তা বুঝতে আমার আরো কয়টা বই পড়তে হবে তা জানার অপেক্ষায় আছি।

নোট:
১। Ahmed and Nazneen, ‘‘Islam in Bangladesh,’’ and Uddin, Constructing Bangladesh
২। Mumtaz Ahmad, Islam State and Society in Bangladesh, from
the book Asian Islam in 21st Century Edited by
john l. Esposito, john o. Voll and osman bakar, Oxford University Press, 2008, New York (page- 53)
৩। Mumtaz Ahmed, page- 53
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আমি আর এমন কে

লিখেছেন রূপক বিধৌত সাধু, ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৪:১৩


যখন আমি থাকব না কী হবে আর?
থামবে মুহূর্তকাল কিছু দুনিয়ার?
আলো-বাতাস থাকবে এখন যেমন
তুষ্ট করছে গৌরবে সকলের মন।
নদী বয়ে যাবে চিরদিনের মতন,
জোয়ার-ভাটা চলবে সময় যখন।
দিনে সূর্য, আর রাতের আকাশে চাঁদ-
জোছনা ভোলাবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

২০২৪ সালের জুলাই মাস থেকে যেই হত্যাকান্ড শুরু হয়েছে, ইহা কয়েক বছর চলবে।

লিখেছেন জেন একাত্তর, ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:৪৭



সামুর সামনের পাতায় এখন মহামতি ব্লগার শ্রাবনধারার ১ খানা পোষ্ট ঝুলছে; উহাতে তিনি "জুলাই বেপ্লবের" ১ জল্লাদ বেপ্লবীকে কে বা কাহারা গুলি করতে পারে, সেটার উপর উনার অনুসন্ধানী... ...বাকিটুকু পড়ুন

রাজাকার হিসাবেই গর্ববোধ করবেন মুক্তিযোদ্ধা আখতারুজ্জামান !

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১১:১৮


একজন রাজাকার চিরকাল রাজাকার কিন্তু একবার মুক্তিযোদ্ধা আজীবন মুক্তিযোদ্ধা নয় - হুমায়ুন আজাদের ভবিষ্যৎ বাণী সত্যি হতে চলেছে। বিএনপি থেকে ৫ বার বহিস্কৃত নেতা মেজর আখতারুজ্জামান। আপাদমস্তক টাউট বাটপার একজন... ...বাকিটুকু পড়ুন

চাঁদগাজীর মত শিম্পাঞ্জিদের পোস্টে আটকে থাকবেন নাকি মাথাটা খাটাবেন?

লিখেছেন শ্রাবণধারা, ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:৫৭


ধরুন ব্লগে ঢুকে আপনি দেখলেন, আপনার পোস্টে মন্তব্যকারীর নামের মধ্যে "জেন একাত্তর" ওরফে চাঁদগাজীর নাম দেখাচ্ছে। মুহূর্তেই আপনার দাঁত-মুখ শক্ত হয়ে গেল। তার মন্তব্য পড়ার আগেই আপনার মস্তিষ্ক সংকেত... ...বাকিটুকু পড়ুন

ধর্মীয় উগ্রবাদ ও জঙ্গী সৃষ্টি দিল্লী থেকে।

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৩:১৫


((গত ১১ ডিসেম্বর ধর্মীয় উগ্রবাদ ও জঙ্গী সৃষ্টির ইতিবৃত্ত ১ শিরোনামে একটা পোস্ট দিয়েছিলাম। সেটা নাকি ব্লগ রুলসের ধারা ৩ঘ. violation হয়েছে। ধারা ৩ঘ. এ বলা আছে "যেকোন ধরণের... ...বাকিটুকু পড়ুন

×