কাল ঈদ, জানি অনেক অনন্দের ,,,,,,
মনে হয় যেন ঈদ টা শুদু ছোটদের জন্যই বেস্ট , যত বড় হচ্চি ততই অনন্দ করার পরিমান কমে জাচ্চে ।। বার বারিইখালি আবেগে টান দিচ্চে আগের সৃতিগুল। ( লেখাটা অনেক বড় করে লিখলাম যাতে কেঊ না পড়ে আমার ডাইরিতে লেখা কিছু অংশ লিখলাম আর এত ভুল স্পেলিং যে ****** ha ha ha ha )
;
;
আগে যখন ঈদ আসত তার ১০ দিন আগ থেকেই ঈদের একটা অমেজ বিরাজ করত। মনের মোধ্য অন্য রকম একটা খুশি থাকত।। বাড়ির সবাই মিলে ঈদ করার মযাই তো আলাদা । বড় ভাই আর আমি বেস মজা করতাম। কিন্তু গত ৪ টা বছর ঈদ আসার ১০ দিন আগ থকেই মনটা খারাপ হতে থাকে ......।
;;
;;
গ্রামের বাড়িতে থাকা কালের প্রতিবারের ঈদ টা চিল অন্য রকম ইস্পেশাল। বাড়িতে ৪ টা ঘর সবাই মিলে একটা গরু কিনত। এই একটা গরুকে ঈদের ৭ বা ৮ দিন আগ থেকেই পালা শুরু করা হত।। আসে পাশের সবাই একসাথে গরুর পরিচর্যা করত।। আর আমরা জারা ছিলাম ছোট সারা টা দিনিই ওতা কে নিয়ে মজা করতাম ্ এদিক ওদিক হতে নানা জিনিস অনে অনে খাওয়াতাম , মাজে মাজে গরুর জিহব্বা হাতে লাগা মাত্র চিল্লা চিল্লি ... আরো যে কত কি হত গরুকে নিয়ে ।। বলা ছলে বাড়ীর সবাই এটা উপভোগ করত... সবার মাজেই অন্য রকম একটা ভাব থাকত ।। সারা বছর যাই হোক এই ঈদের টাইমটাতে সবাই মনে হয় এক ফেমিলির সদস্য ......
;;
;;
আর ৪ পরিবার মিলে এক ঘরু জবাই করত জার কারনে সবাই মিলে গরু জবাই বা কাটা সব কিছুতেই অন্য রকম অনন্দের ছিল ... তবে আমাদের জন্য একটু কস্টের ও ছিল কারন সকাল থেকে একটূ খাটা খাটী করতে হত।। আর আমাদের আড়িতে প্রতিটা কাজ হেব্বি স্টিটলি পালন করা হত।। যেমন গরু জবাইয়ের আগে কেঊ কিছু খেয়ে জেত না মাঠে নামাজ পড়তে কিন্তু আবার রোজার ঈদে সকালে সবার বাসায় খাওয়ার ধুম লাগত ।আবার গোস্ত ভাগ করার পর এক ভাগ রেখে আসতে হত মানে নিয়ম অনুসেরে গরিবদের জন্য জেটা সেটা ঐ উঠানেই রেখে আসতে হত ।। বাড়ীর মুরব্বী রা সব কিছু বসে বসে তাগাদা দিতেন ।
;;
;;
। আর গ্রামে অনেক বড় দুইটা ঈদ গাহ ছিল ।। এই ঈদ গাহের কাজ ঘুলাও আমরা চোট রা গিয়ে টুকিটাকি রে দিতাম । তারপর একটূ বিকালে সবাই বের হত সাবাই সবার বাড়ীতে জেত মজার ব্যাপার জেকেই সালাম দেও না কেন কিছু না কিছু সালামি দিতই ।। তাই প্রায় ৭-৮ বাড়ীতে জেতাম আসে পাশের বন্দুদের নিয়ে মুলত পরিচিত দের বাড়ীতেই আর কি ।। এককথায় প্রতিটাকাজেই ছিল অনন্দের আর মজার সবার মোধ্যি একটা সামাজিকতা
;;
;;
কিন্তু আজ শহরে আছি হাতের কাছে সব আছে ...... গরু আর ১০ দিনা আগে কিনা হয় না পরিচর্যা করবে কে?? ... (এখন আর গরুকে নিয়ে মজ করা হয় না ) এখন ইচ্চা করলে একাই এক গরু দেয়ার মত আল্লাহ সামথ্য দিয়েছে.....( কিন্তু সেই ৪ ফেমিলি বা অঙ্কে দেয়ার মত অনন্দটা নেই). এখন আর গোস্ত ভাগ নিয়ে কোন ব্যাপার না জার জা ইচ্চা গরিব কে দিবে। না হয় ফ্রিজে রাখে সারা বছর খাওয়ার জন্য... কিংবা বাড়ীর সেই মুরুব্বীরা নাই যে তাগাদা দিবে কিংবা সবার মোধ্য সেই অনন্দ টাও নাই ...।কিংবা বাড়ীতে বাড়ীতে আর গোস্ত বানানো হয় না কস্ট হবে টাইম নস্ট হবে তাই বাড়িতে বাড়ীতে কসাই গিয়ে গোস্ত বানায়ে দিয়ে আসে ...।
;;
;;
আর আগের মত আসে পাশে অনেক পরিবার ও নাই বা পরিচিত জন রাও নাই যে তাদের বাড়ীতে জাব সালামির জন্য্... ঈদ টা সকালের জন্য সামান্য কতক্ষনি থাকে বেসির ভাগ মানুশেই বাসায় ঘুমাতে থাকে ...। আর সবার মোধ্য এমন কোন সামাজিকতাও নেই সেই মায়াটাও নেই ...।। সব কালের শ্রোতে হারিয়ে গেছে ... আর এত কম ইস্পেসিপিকেশন বাসার বাহিরে গিয়ে যে কোথাও ঘুরব তাও মনে টানে না ।। হাতে গোণা কইয়েকটা ঘুরার জায়গা আছে তাও মানুষের যে স্রোত ... জানি অনেক জায়গা আছে কিন্তু মনের সাচন্দ্য নেই ।। মজার ব্যাপার আগে বের হত ফ্রেন্ড রা সালামি বা দেখা করার জন্য আর এখন বের হয় সবাই পাখি দেখতে (সবাই প্রাকিতি প্রেমিক)
;;;;
September 24 at 10:55am ·
সর্বশেষ এডিট : ০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১১:২২