দেশের অবস্থা যতই দেখি ততই খারাপ লাগে। শেষ যতদিন বাংলাদেশে ছিলাম প্রত্যেক টা দিন তা হাড়ে হাড়ে উপলব্ধি করতাম। এরকম না যে আমি আশাহত, এরকম যে আশা করার পরিমান টা দিন দিন ক্ষীণ হএ যাচ্ছে এই ভেবে।
পোল্যান্ড এর ভিসার জন্যে ভারতে প্রায় এক মাসের মতন অবস্থান করি। বেশ একটা অসাধারণ বলব না, তবে দেখার মতন জায়গা গুলো ঘুরতে পেরে মনে হচ্ছিল এ জীবন সার্থক। প্রত্যেকটা পর্যটন আকর্ষণীয় স্থানকে তারা খুব সহজে ঘুরবার মতন সুযোগ করে দিয়েছে। দিল্লির মেট্রোর কথাই যদি ধরি। ভিসার কাজ ত এক দিনেই শেষ। এরপর বাংলাদেশে ফেরত না এসে বরং থেকে যেয়ে ঘুরা ঘুরি করতে মনস্থির করি। প্রচণ্ড শীত, রাতে বা ভোরে সেইরকম ঠাণ্ডা। তো মেট্রোর কথায় আসি, প্রত্যেকটা মেট্রো স্টেশন এ সুন্দর করে ইংরেজি তে লেখা আছে নিকটবর্তী কোন স্থানে পর্যটক রা যাবেন এবং কিভাবে যাবেন। তাই আমার জন্যে কোন গাইড বা ট্যাক্সি গাড়ি ব্যতিতই প্রত্যেকটা জায়গা বের করা সম্ভব হয়েছে। অসাধারণ সেই অনুভুতি এবং শেষমেশ ভিসা পাওয়া।
আমার ফিরতি ট্রেন ছিল দিল্লি থেকে কলকাতা, এবং ট্রেন ছিল লেট। মানে সন্ধ্যে ৭ টার ট্রেন রাত ২ টা বাজেও আসার খবর নেই। কিন্তু তাই বলে কোন সমস্যা ছিল না। নিজের মতন করে স্টেশন এ অপেক্ষা করলাম। রাত ৩ টা বাজে ট্রেন আসল, এবং যা বুঝলাম সে পৌছতেও লেট করবে। আমার পরিকল্পনা ছিল কলকাতা শহরে যেয়ে একরাত কাটানোর, এবং এরপর ঢাকার বাস ধরা। বলে রাখা ভাল, দিনটি ছিল ৩০ ডিসেম্বর। অতএব ট্রেন কলকাতা গিয়ে থামল পরের রাতে, মানে ৩১ তারিখ রাতে। নির্বিঘ্নেই এসেছি বলতে হবে,কারন পথিমধ্যে কোন প্রকারের বিভ্রাট বা ঝামেলার সম্মুখীন হইনি। কিন্তু যখন ট্রেন থেকে বের হই রাত তখন অনেক,প্রায় ১১ টা হবে। পরের দিন ই ইংরেজি নতুন বছরের শুরু, অতএব বাইরে থাকাটা নিরাপদ মনে করলাম না। মানে কলকাতা যখন চলেই এসেছি, ভাবলাম সীমান্তের কাছে চলে যাই, এতে নিরাপদ মনে হবে।
বলে রাখা ভালো, ট্রেন এ প্রথম পরিচয় হল এক ফরিদপুর এর আদমির সাথে। বেজায় সেয়ানা কথা বার্তা, বহু ঢাক ঢোল পিটিয়ে নিজের গুণকীর্তন করছেন। পেলাম আরও ২ বাংলাদেশি, বন্ধু বলতে পারেন। সবাই ই ঘুরতে এসেছেন এবং শেষমেশ ট্রেন এ আমাদের এই ৪ জনের একটা ছোট্ট গ্রুপ হল। তো ট্রেন থেকে বেরিয়ে যখন এই দশা, তখন ফরিদ(ছদ্মনাম)বললেন, চলেন আজ রাতেই সিমান্তে চলে যাই, ওখানে রাত জেগে থেকে ভোরে অপারে বঙ্গদেশে চলে যাবো। আমরা সবাই রাজি হলাম কারন বুঝতে পারছিলাম না কি করব। স্টেশন এর বাইরে মাতাল লোকের উৎপাত, সাথে আমার পাসপোর্ট এবং কাঙ্ক্ষিত ভিসা। আমার বিশ্বাসের ঘাটতি ছিল ফরিদ সাহেব কে, কারন আমি নিজের সাফাই গাওয়া লোক পছন্দ করি না। কিন্ত অগত্যা রাজি হতে হল। সাথের ২ বন্ধু কে খুব চালাক কিংবা নির্ভরশীল মনে হল না, মনে হল তারা আমার মতন ই ভরকে গেছে।
একটি গ্রুপ কে চোখে পরল স্টেশন এই, এবং চেহারা দেখে মনে হল স্টেশন তাদের কাছে অচেনা। পরক্ষনেই চিনে ফেললাম, কারন একজন তার হজ্জ এর ব্যাগ বহন করছেন, যাতে সুন্দর করে বাংলাদেশ লেখা। মানুষ গুলো বৃদ্ধ হবার কারনে বিশ্বাস বাড়ল, মনে হল সঙ্গে উনারা থাকলে আমি সীমান্তে এত রাতে যাবার সাহস পাব। কাছে গিয়ে জানতে চাইলাম, এবং একজন রাজি হল আমাদের সাথে যেতে, কিন্তু বাকিরা অপারগতা প্রকাশ করল। আমার শুধু বাস এর লাইন এর অনুমতি ছিল, তাই গ্রুপ এর বাকি সবার সাথে ট্রেন এ যেতে পারলাম না। গ্রুপ এর একজন বয়স্ক বাদে বাকি সবাই ট্রেন এর উদ্দেশ্যে যাত্রা করল। আর আমাদের ৪ জনের সাথে জুটল এক চাচা।
শেষমেশ আমরা বনগাঁর ট্রেন ধরলাম। বনগাঁ পৌঁছে দেখি রাত তখন ২ টা ৩০। এতরাতে আমরা ৫ জন ভিনদেশি কি করব টা ভেবে পাচ্ছিলাম না। এদিকে ফরিদ সাহেবের বেজায় আত্মবিশ্বাস কিচ্ছু হবেনা। এতেই আমার সন্দেহ বারবার বেরে যাচ্ছিল কারন সত্যিকার ভাবেই তখন আমাদের কেউ কিছু করলে কিছু করার থাকবেনা।কেউ জানবেওনা। এদিকে চাচা আসায় কিছুটা সাহস পেলাম। একটু পর পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে এল। চা খেলাম না বাকি সবাই খাওয়া সত্ত্বেও।
একটা বেবি ট্যাক্সি যোগার হল। সবেমোটে ৩০০ রুপি দরদাম হল, সবাই মিলেমিশে দিব ভাবলাম। সব গাঁটটি পোঁচরা বেধে উঠে গেলাম আমাদের ত্রিচক্রযানে। যান তার আপন গতিতে চলছে, আর আমরা গল্পে মেতে আছি। চাচা কে নিয়ে বেশ ঠাট্টা মশকরা হল। চাচা খুব ই মজার মানুষ, আমাদের মজার গল্প বলে যাচ্ছেন। শেষপর্যন্ত আধা ঘণ্টার ভেতর চলে এলাম সীমান্তের কাছেই। এর মাঝে সম্পূর্ণ রাস্তা ছিল অন্ধকার। কিন্তু প্রায় সীমান্তে পৌঁছে গেছি, এদিকে মোবাইল নেটওয়ার্ক কাজ করতে শুরু করল। অতএব বাসায় ফোন এবং সবাইকে আশ্বস্ত করলাম নিরাপদেই আছি।
সব রুপি পরিবর্তন করতে ঢুকলাম একটি দোকানে। উদ্দেশ্য শুধু লেনদেন নয়, বরং আরেকটি উপায় বাতলানোর। দোকানদার কে বললাম, দোকান এখানে অনেক আছে রুপি ভাঙ্গানোর। কিন্তু তাদের কারো কারো ভিসিটিং কার্ড দেখালে নাকি কাস্টমস ভেজাল করেনা। বলে রাখা ভালো, কাস্টমস দিয়ে সেদিন খুব ই কম মানুষ যাতায়াত করছিল, অন্যদিকে সময় ছিল ভোরবেলা। অতএব আশা করা জায় , নতুন বছরের শুরু, কাস্টমস এর দুই ধারেই ব্যাপক মিষ্টি খাওয়ার চাঁদা চাওয়া হবে। যারা সড়কপথে পথে ভারত যাবেন, যদি বিশেষ কোন রেফেরেন্স না থাকে, তবে আপনার কাছ থেকে প্রত্যেক ধাপেই চাঁদা চাওয়া হবে। তো আমার বিশেষ অফারে রাজি হন দোকানি। উনি উনার কার্ডে কি যেন লিখেন। এবং আসলেই তা দেখে আমরা ৫ জন ই সীমান্ত পার হই।
অদ্ভুত হলেও সত্য, এপারে এসে লক্ষ্য করি আমি নিজ দেশে এসে আরও বিপাকে পরেছি। সকল গাড়ির স্ট্রাইক চলছে, কোন বাস ট্রাক কিছু নেই। শুধু ইজিবাইক চলছে, এতে কিছুই হবেনা। একটি হোটেল এ ঢুকে আমরা সবাই কিছু খেয়ে নিলাম, আর এক ই সাথে বেয়ারার কাছ থেকে জেনে নিলাম কিভাবে কত দূর যাওয়া যায়।
কাছাকাছি শহর যশোর। অই পর্যন্ত গেলে কিছু একটা পাওয়া যাবে এই আশায় আমরা এগোলাম, কিভাবে? হাহা। ঠিক করা হল একটি ইজিবাইক, যাতে ৫ জন এক সাথে চড়ে বসি। আমি চাচা পাশাপাশি বসে ভাবছিলাম ফরিদ সাহেব কে নিয়ে, এবং সিদ্ধান্ত নিলাম আমরা আলাদা হএ যাবো এই গ্রুপ থেকে। কারন বরাবর ই সন্দেহ প্রবল আমার, সাথে টাকা আর এখন আমরা এই পাশে বাংলাদেশে। অনেক কষ্টে আমরা যশোর পৌঁছলাম এবং তখন ফরিদ সাহেব এম্বুলেন্সে এ যাওয়ার প্রস্তাব করল। আমি এবং চাচা না করলাম, উদ্দেশ্য আমরা ট্রেনে চলে যেতে চাই।
আমি আর চাচা যশোর ট্রেন স্টেশন এ গেলাম, কিন্তু বিধিবাম। কোন ট্রেন এ জায়গা নেই, এমনকি দারিয়েও যাওয়া যাবেনা বললেন রেলওয়ে কর্মচারী। বরাবর এর মতই উনি অন্য প্রস্তাব দিলেন, যা বুঝলাম দ্বিগুণ দামে টিকেট কিনতে হবে। যা অবশ্যই আমার সাধ্যের বাইরে। এয়ারপোর্ট অনেক দূরে, অই পর্যন্ত জাবার সাহস করলাম না আর।
অগত্যা একটি হোটেল ভাড়া করে উঠে পরলাম। স্টেশন এর পাশেই ছিল।চাচা আমাকে বিদায় দিয়ে চলে গেলেন, উনি যাবেন ভৈরব। বলেছিলেন উনার সাথে যেয়ে ১ রাত থাকতে। আমি যশোর থেকে যাওয়াটাই সঙ্গত মনে করলাম। পরদিন শুক্রবার। একটা আশা আছে, যে কাল হয়ত বাস পাব। হোটেল এ উঠেও মহা বিভ্রান্তি। সাথে ব্যাগপত্র থাকায় অসৎ নারীকুলের ভয়ানক বিরক্ত করা শুরু হল। শেষমেশ বাধ্য হয়ে হোটেল বেয়ারা কে অতিরিক্ত ঘুষ দিয়ে তা বন্ধ করালাম। রাত টা যাতে অন্তত ভালভাবে ঘুমাতে পারি। আর অনেক দিন পর দেশে ফিরে ডাল ভাত ভর্তা দিয়ে রাতের খাবার সারলাম।
পরদিন বহু ত্যাগ তিতিক্ষা সহ্য করে শেষমেশ ঢাকা পৌঁছলাম। আমাকে দেখে বাবা মায়ের যার পরনাই মহা আনন্দ। বহু ঘটনা আর সংগ্রাম এর পর নিজেকে ইখতিয়ার উদ্দিন বখতিয়ার খিলজি টাইপ মনে হচ্ছিল।এই মহা গল্প বলার পিছনে একটি ই উদ্দেশ্য, মানুষ কে জানানো, আমাদের একটি স্বাধীন দেশে পদে পদে আপনার জন্যে কত মহা সমস্যা অপেক্ষা করে আছে। যদি আপনি আমার মতন আম সাধারন মানুষ হয়ে থাকেন, সমস্যা আপনাকে একের পর এক ঘায়েল করবে। এর থেকে বাচতে কখনও ঘুষ, কখনও মস্তিস্ক কিংবা কখনও আত্মসমর্পণ করা ছাড়া গতি থাকেনা।
প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি বছর পরবার সৌভাগ্য আমার হয়েছে। উত্তর দক্ষিন বিশ্ববিদ্যালয়ে ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগে উচ্চতর শাখায় যখন থেকে ভর্তি হই, অর্থ যেন হয়ে গিয়েছিল হাতের ময়লা। অই এক বছরে প্রতি সেমিস্টার এ অর্থ দিয়ে একসময় বুঝতে পারি, এ অর্থ গচ্চা ছাড়া কিছুই নয়। ক্রেডিট প্রতি ৫৫০০ টাকা, সাথে প্রতি সেমিস্টার এ ৪০০০ টাকা অতিরিক্ত দিতে হবে এবং ঢুকবার সময় প্রথম নগদ ২৫০০০ দিতে হবে। আমার টাকা উৎপাদনকারী গাছ না থাকায় বহু কষ্টে ৩ সেমিস্টার করেই আমি সটকে পরি।আমার কাছে মনে হয়েছে ভারত বা চীন দেশে যেয়েও এর থেকে কম খরচে পড়া সম্ভব আমার পক্ষে, যদি একটু কষ্ট করে চিনা ভাষা রপ্ত করা যায়। শেষমেশ নিজেকে ইউরোপ এ আবিস্কার করা।
শিক্ষার সাথে ব্যবসার বেপারটা আমাদেরই যুগান্তকারী আবিস্কার। আমরা আসলে সবখানেই ব্যবসা করতে ভালবাসি। তো সাথে সাথে চলে এসেছে তাই রাজনীতি নামক ব্যবসাটিও। আমাকে যখন জিজ্ঞাসা করা হয়, বলত গনতন্ত্র এর সংজ্ঞা কি? নাহ, আমি আপনার মতন উত্তর না দিয়ে জিজ্ঞেস করব, কোন ভারসন? বাংলাদেশি ভার্সন হলে সংজ্ঞা হবে যেখানে ৫ বছর পর পর জনগন ভুল করে রাজতন্ত্র কে ভুল করে ৫ টাকার চায়ের কাপে গুলিয়ে গনতন্ত্র মনে করে গিলে ফেলে। হ্যাঁ, সত্যি বলছি। প্রতি ৫ বছরান্তর সমাজপতিরা এসে অই ৫ টাকার চা গুলিয়ে জিতে নেন আমাদের হৃদয়। আমরা কতই সরল, আজ স্বাধীনতার এত বছর এত ক্রান্তি দেখেও বিশ্বাস করি আমরা এই হব সেই হব তাইনা? আমরা সত্যিই অনেক সরলমনা জাতি।
আমার অনেক বন্ধুই রাজনীতি নিয়ে লেখা, বা কথাবার্তা হলে কমন উত্তর উনারা এতে চিন্তিত বা উৎসাহী নন। ডেস্টিনি, হলমার্ক , ছাত্রলীগ বা তদুপরি ব্যাপার নিয়ে কথাবার্তা তাদের কাছে মানানসই হয়না কখনই। অনেকের আবার অন্ধ সমর্থন কোন দলের প্রতি, অনেকের ঘৃণা। তো এ তো থাকতেই হবে, শত হলেও আমরা গনতন্ত্র কামি জনগন। এইবার এর একটি ঘটনা আমার সেই বন্ধুদের রাস্তায় নামাল। শেষ পর্যন্ত আন্দোলন সফল, সরকার এই দাবি দাওয়া মানতে বাধ্য হয়েছে। কিন্তু সরকারি দলের ক্যাডার, তিতুমির কলেজ এর গুণী কতক ছাত্র হামলা করল তাও দেখতে হল। এই হল আমাদের দেশের বর্তমান অবস্থা।কিন্তু বিশ্ব বিদ্যালয় গুলো যেভাবে ফিস নির্ধারণ করে তার প্রতিকার? ইংরেজি মাধ্যমের স্কুল কলেজ গুলোর যেরকম ফিস তার? অনেক ক্ষেত্রেই তা গলার কাঁটা হয়ে দাড়ায় বৈকি এই মধ্যবিত্ত সমাজের কাছে।
আমার এক বান্ধবি সেদিন অদ্ভুত এক কথা বলল আমায়। বেচারি কথাও স্বাধীন ভাবে বসে থাকতে পারেনা। টি এস সি তে বসে আছে, একগাদা রিকশাওয়ালা সামনে এসে হ্যাঁ করে তাকিয়ে আছে। হলের সামনে যেয়ে বসে আছে, কতক যুবক মোটর সাইকেল করে আশপাশ ঘুরছে। কোথায় যাবে সে, শান্তিতে কথাও নিরাপদ মনে করে বসবে তার জো নেই। বড্ড মুসলিম দেশ আমরা, বড় আমাদের চেতনা, তার থেকে বড় আমাদের অহংকার। আচ্ছা তবে একলা মেয়ে কেন একটি ছেলের ন্যায় বাইরে বেরুতে ভয় পায় আমাদের বঙ্গদেশে? পেরেছি আমরা নারীর স্বাধীনতা দিতে। পহেলা বৈশাখ এর ঘটনা নিশ্চয়ই মনে করিয়ে দিতে হবেনা আপনাদের।কি বিশ্রী আমাদের নজর তাইনা? আমাদের চোখ এবং নজর কতই না ভালো।
কড় আদায় হবেনা কেন? যে হারে দুর্নীতি হয়েছে সেই হারে টাকা তো উঠে আসছেনা। বিয়োগ করলে তো শুধু হবেনা, যোগ ও তো করতে হবে তাইনা? এভাবে না পারুক অন্য ভাবে আদায় ঠিক হবে এটা আমার ধারনা। দেশের পরিবেশ মানুষের জীবন কোনটাই যদি ভালো থাকত তবে আমার দেশের সোনার ছেলেরা সাপ লুডূ খেলতে তো আর সমুদ্রপথে মালয়সিয়া যাবার চিন্তা করেনা তাইনা?
আবেগি হতে পারেন, সমর্থন করতে পারেন, তবে কেউই সমালোচনার বাইরে নয়। বন্যায় আপনি সাধারন মানুষের দোষ দিবেন, পলিথিন ময়লা ইত্যাদি ইত্যাদি। তো সেই ডাস্টবিন কোথায়? সেই মানুষ কোথায় যে পরিস্কার করবে প্রতিদিন? তো যদি গাফিলতি হয়, শুধু সরকারি অফিসের সামনে বা ভিআইপি এলাকাতেই পরিস্কার কার্যক্রম চলে তবে সরকারকে সমগ্র দেশের মানুষ কেন কড় দেবেন? আমাদের সমস্যা সমাধান করতেই তো তাদের নির্বাচন করা। আমরা সমালোচনা করতে ভয় পাই। আর আমাদের পরের প্রজন্ম? তারা ভুলে যাবে সমালোচনা কি তাই ভাবছেন? দুঃখিত আপনাদের সেই চিন্তায় আমি একমত নই। রাজনৈতিক ইজারাদার রাস্তার মোড়ে মোড়ে গজানো ছাত্র রাজনীতির মোড়কে আবৃত কাকতাড়ুয়া কয়জন? সংখ্যায় তারা অতি নগন্য সাধারন মানুষের তুলনায়।
সময় এসেছে দেশে প্রয়োজন বুদ্ধিমান সত্যিকার দেশপ্রেমিক নেতা নেত্রীর। বঙ্গবন্ধু কিংবা শহিদ জিয়া কেউই তাদের পিতামাতার কর্মের খাতিরে দেশের স্বর্ণ শিখরে পৌছাননি। লালসালু বন্ধ হোক, দেশ মুক্তি পাক শোষণের হাত থেকে। একজন মাওলানা ভাসানি আজ বড্ড প্রয়োজন।