somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

জীবন যেখানে যেমন

১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৩:৩৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

আনুমানিক আড়াই বছর কেটে গেল পোল্যান্ড এ আসার পর। আজ ও মনে করার চেষ্টা করেছি যেদিন সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম পোল্যান্ড এ পাড়ি জমাব। মুলত পোল্যান্ড এ পড়তে আসা অধিকাংশ শিক্ষার্থীর একটি কমন গল্প থাকে আর তা হল অন্য দেশের জন্যে আবেদন করতে করতে চলে এসেছি পোল্যান্ড এ। গত আড়াই বছরে পড়াশুনা প্লাস চাকরি শেষে ভাবলাম একটি নোট লিখলে মন্দ হয়না। বেশ কিছু ব্লগ চোখে পরেছে পোল্যান্ড এ পড়তে আসা কিংবা ভিসা জটিলতা নিয়ে, কিংবা আসবার আগ পর্যন্ত সকল বিষয় নিয়ে।
আনুমানিক ৪ কোটি লোকের বাস এই পোল্যান্ড এ। শিক্ষা সংস্কৃতি কিংবা ইতিহাস এর জন্যে পোল্যান্ড প্রায় ই আমাদের নজরে আসে, কিন্তু মুলত আমাদের বাংলাদেশি অনেকের কাছেই পূর্ব ইউরোপ এর দেশ পোল্যান্ড একটি গরিব দেশ, তুলনা টা যখন স্ক্যান্ডিনেভিয়া কিংবা পশ্চিম এর সাথে তুলনা হয়। আসবার পূর্বে অনেক গুলো বিষয় আমার মাথায় কাজ করে এবং সেগুলো কিভাবে বর্তমান জীবনে প্রভাব বিস্তার করে তার বিস্তারিত বিবরন আশা করি দিতে পারব।
পোল্যান্ড এর ভিসা কিংবা যাবতীয় অভিজ্ঞতা এককথায় অসাধারণ ছিল। কারন ভিসা নেবার কারনে দিল্লি যেতে তো হয়েছিলই, এবং ভিসা রিজেকশন এর কারনে যেতে হয়েছিল দুই বার। অল্প কোথায় বলে নিলে, একটু পরিপাটি হয়ে দ্বিতীয় বার এপ্লাই করেছিলাম বলেই ভিসা সুন্দর ভাবে হয়ে গিয়েছিল।
মুল সমস্যা থাকে এটা প্রমান করা, কেন আমার পছন্দের তালিকায় পোল্যান্ড। আশঙ্কাজনক ভাবে আমি ছিলাম ইন্টার্ভিউ তে প্রথম ঢোকা ব্যক্তি, এবং কাউন্সেলর সব কথা ভালভাবে বলে আমাকে রিজেক্ট করে দিয়েছিলেন যদিও সম্পূর্ণ সুন্দর ভাষায় আমি বুঝিএ বলেছিলাম। এবং রিজেকশন এর কারন ও ওই, আমার যাবার উদ্দেশ্য পরিস্কার নয়। কিন্তু দ্বিতীয় বার আসবার পূর্বে আমি আবার ও ধরনা দিএছিলাম এম্বেসিতে, আমাকে ঢুকতে না দেয়ায় বাইরে থেকে পোলিশ গার্ড কে বুঝিএ ভেতরে প্রবেশ করি ভারতীয় দারোয়ান কে চোখ রাঙিয়ে, পরবর্তীতে এক সেক্রেটারি(পোলিশ এম্বাসির) সুন্দর করে কিছু টিপস দিয়ে দেন। এর মধ্যে এই তথ্য ও ছিল যে বর্তমান কাউন্সেলর কবে পরিবর্তন হবেন, এবং নতুন কাউন্সেলর এর কাছে কবে সাবমিট করলে আমার ভিসা পাবার সম্ভাবনা আছে। সম্ভবত বেচারা বুঝতে পেরেছে আমার সৎ উদ্দেশ্য, পড়তেই যাচ্ছি অন্য দেশের জন্য পোল্যান্ড ব্যবহার করতে নয়।
এরকম করে ভিসা দ্বিতীয় বার হয়েও যায়। কাকতালীয় ভাবে নতুন বছরের ঠিক প্রথম দিন(১ জানুয়ারী ২০১৩) বাংলাদেশে ঢুকি। আস্তে আস্তে প্রস্তুতি নেই কিভাবে পোল্যান্ড এ আসব এবং সমস্ত বাক্স পেঁটরা তৈরি করতে থাকি। IUT (Islamic University of Technology) এর বড় ভাই দের লিস্ট দেখলাম কি কি নিতে হবে ইউরোপ এ, সেরকম করে নিজের সম্পূর্ণ কিছু সাজাই। আমার ফ্লাইট পুরো পোযনান পর্যন্ত ছিল, (ওহ বলতে ভুলে গেছি আমি পোযনান শহরে ছিলাম এবং এখনও আছি।)ঢাকা থেকে। নেমেই ফুল দিয়ে অভিবাদন জানায় আমার মেন্টর। ধাক্কা খাই ঠাণ্ডার কবলে পড়ে, আমার মেন্টর রমণীর সাথে ব্যাপক গল্পের পর বাস এ চড়ে হাজির হই ডরম এ। তো ডরম(হোস্টেল) সবথেকে ভালটাই আমার জন্যে বরাদ্দ ছিল। কিন্তু IUT তে ছিলাম পরিচিত দের মাঝে, বুঝতে পারছিলাম না কে আমার রুমমেট হবে। মেন্টর অনেক কষ্টে তথ্য বের করল, রুমমেট এক নাইজেরিয়ান। আমার তো পিলে চমকানো অবস্থা।
যাই হোক, সে কিন্তু রুম এ ছিল না। পুরো ২ দিন রুম এ একাই ছিলাম। কিছু গুছাতে পারছিলাম না কারন শেয়ারড রুম এর পুরোটা জুড়েই তার জিনিস। আর সে না থাকা অবস্থায় আমাকে কেন এই রুম দেয়া হল তার কোন তথ্য জানা গেল না(ডরম এর সব স্টাফ এর ইংরেজি yes/no/very good). ২ দিন পর বেচারা এক রাতে হঠাত হাজির, এরপর শুরু হল তার প্রশ্ন বান। এবং সেগুলর উত্তর পুরো রাত ধরে দিয়ে তাকে শান্ত করলাম। কারন অবশ্যই আমাকে যেহেতু সে চেনে না, এটা নীতিগত ভাবে মটেই ভালো হয়নি। কিন্তু আমার ব্যাপার টা শেষ পর্যন্ত সে বুঝল, আর আমার ও শান্তি। কিন্তু বেচারা এরপরেও তার জিনিস ঠিক ভাবে সরায় না, আমি ও বিপাকে। যতই বলি সে বলে করবে করবে কিন্তু করেনা। এভাবে এক মাস হয়ত রাতে জোরে গান শোনা, কিংবা লাইট জ্বালিয়ে রাখা থেকে শুরু করে সব ভাবেই দিন গুলো হয়ে উঠল বিষাক্ত।
প্রথম এক মাস কোন বাঙ্গালির দেখা পাইনাই। পেলাম তা এক পাকি, সে হল আবার ক্লাসমেট। আর ভারতীয় দাদা রা বিশেষ কোন কারনে কথাই বলত না। নিজেই নিজের মতন ঘুরে ফিরে শহর দেখলাম। পড়াশুনা নিয়ে খাবি খাচ্ছিলাম, software engineering ছিল বিষয়। পুরো ক্লাস এ আমি আর সেই পাকি হাসান বাদে সবাই ইউরোপের(ইউক্রেন, পর্তুগাল, ফ্রান্স, পোল্যান্ড তো আছেই।) কিন্তু দুইজনেই চেষ্টায় কাজ গুলো আস্তে আস্তে গুছাতে থাকি। অদ্ভুত ব্যাপার, জার্মানির ভর্তি লেটার আসে পোল্যান্ড চলে আসার পর, যখন আবার ও দেশে ব্যাক করে এপ্লাই করা সম্ভব ছিল না। আর পোল্যান্ড এ বসে আবার ৮ লাখ যোগার করা পুরোই দুঃসাধ্য ছিল। তো admission letter ছিঁড়ে ফেলে মন দিলাম পোল্যান্ড এর পরাশুনায়। আর শিফট হয়ে উঠলাম টার্কিশ ফ্রেন্ড এর সাথে, আমার ই ক্লাসমেট ছিল(erasmus scholarship এ আসা)।
দিন ভালই যাচ্ছিল। টুকটাক মানুষ চিনছিলাম, আর ঘুরা ফিরা তো আছেই। প্রথম সেমিস্টার পর রেসাল্ট শেষ হল, কিছুটা হাত টান পড়ায় খুজে ফিরছিলাম চাকরি। কি করব কিছুতেই বুঝতে পারছিলাম না। ইউনিভার্সিটি থেকে ইন্টার্ন এর জন্যে কিংবা চাকরির job fair হল। কিন্তু এপ্লাই করে কল পেলাম না, যাও পেলাম তার মেইন শর্ত পোলিশ জানিনা। পোলিশ দের জন্য ইংরেজি চায়, কিন্তু আমাদের দুটোই দরকার। আবার যাদের শুধু ইংরেজি হলে হবে তাদের ডিগ্রি শেষ হওয়া দরকার, নতুবা চাকরির ইন্টার্ভিউ তে যেয়ে যেসব problem solveকরতে দেয়া হয়েছে তা পারলে আমার চাকরি নিজ থেকে ই পেতাম, কোন job fair লাগত না।
অগত্যা হতাশ হয়ে চাকরি বাকরি না পেয়ে আমার পাকি বন্ধু গেল মিউনিক তার চাচার বাসায়, আমি শুরু করলাম ভ্রমন। পুরো বাল্টিক(লিথুয়ানিয়া, লাতভিয়া, এস্তনিয়া), ফিনল্যান্ড, চেক এবং ফাইনালি ঘুরলাম জার্মানি। এর আগেই পোল্যান্ড ঘুরে শেষ করেছি, height phobia নিয়ে সু উচ্চ টাটরা পর্বতমালা চুড়ায় যাবার সৌভাগ্য হয়েছে। অসাধারন সুন্দর পোল্যান্ড, দেখার আছে অনেক কিছু। ইউরোপ ভ্রমন করে পোল্যান্ড দেখেন নি তাহলে বলব দেখে নিতে পারেন।
ভ্রমন কথায় পরে আসা যাবে। তো ঘুরাঘুরি শেষে ফিরলাম, দেখি আমাকে শিফট করে দেয়া হবে অন্য ডরম এ, এবং পূর্ব কোন নোটিশ ছাড়াই। যাই হোক আমি আর হাসান শিফট করলাম, তার একমাস পর গ্রীষ্মকালীন ছুটি তে আবার ও শিফট। এভাবে শিফট হতে হতে শেষমেশ যেয়ে পড়লাম একেবারে এক অচেনা পোলিশ ভদ্র লোকের সাথে, যিনি পুরো ২ মাস এ কোন কথা বলেননি(hello র উত্তর ও দেয়নাই)। আমি ভেবে বসছিলাম বেচারা কথা বলতে সমস্যা কিনা। যাই হোক।
এভাবে দিন চলে যাচ্ছিল, পড়াশুনা ভালো চলেছে বলতে হবে। চ্যালেঞ্জ প্রচুর ছিল, কেউ যদি ভেবে থাকেন অন্য দেশ থেকে এখানে পড়াশুনা ঢের সহজ, তবে বলব নির্ভর করে কোন বিভাগ বা বিষয়। কারন আমি electronics এ পড়া ছেলে দের দেখলাম পড়ার চাপ সহ্য না করতে পেড়ে বাধ্য হয়ে চলে যায় management এর সাব্জেক্ট এ। আমি আর হাসান দাতে দাত চেপে অনেক কষ্ট করেই শেষ করেছি এই মাস্টার্স। কারন বাজারে চাহিদা আছে, আর আমার খুব সহজ একটা স্টাইল আছে বুঝার, আর তা হল লক্ষ্য করতে হবে লোকালি কয়টা ছেলে মেয়ে এই কোর্স নিচ্ছে। যেমন দেখলাম কোন একটা বিষয়ে সুযোগ থাকা সত্তেও পোলিশ রা পরছেনা, মুটামুটি ধরে নেয়া যায় ওই সাব্জেক্ট এর ডিমান্ড কম। এটা শুধুই আমার উর্বর মস্তিস্কের কল্পনা কিনা আমি জানিনা। তবে পাস করার পর আমি হাসান দুজনেই চাকরি করছি, এবং নিজের ফিল্ড এই। অতএব কষ্ট করে পড়াটা পরবর্তীতে কাজে এসেছে।
চাকরি খুজে না পেয়ে ঘরাঘুরি টা সিমপ্লি ছিল নিজেকে চাঙ্গা করে নিতে, এবং এক ই সাথে অভিজ্ঞতা। সেই অভিজ্ঞতা কখন কিভাবে কাজে লেগেছে জানিনা, কিন্তু কোন সময় বিফলে যায়নি। সামার ক্যাম্প গুলোতে গিয়েছি এবং পারফর্ম করে পুরস্কার কিংবা সার্টিফিকেট ও নেয়া হল। শেষমেশ অর্থ কড়ি নিয়ে প্রব্লেম, উপায় অন্তর না দেখে স্কাইপ এ টিচিং করতে শুরু করলাম। বেশ কিছু ছাত্র ছাত্রী হল, সবাই adult হবার সুবাদে সম্পর্ক নেটওয়ার্ক বাড়তে লাগলো। এরপর চাকরি ই পেয়ে গেলাম অনেক কষ্টে, দ্বিতীয় সেমিস্টার এর কথা এগুলো। পড়ার পাশে ফুল টাইম দেবার মতন সুবিধা না থাকায় কিছু নিজের ফিল্ড এর চাকরি ই পরে ছারতে হয় বিধায় একটি স্কুল এ জব নিয়ে নেই(বেতন লোকাল টাকায় প্রতি ঘণ্টা ছিল 40 zloty). এই ভাবে মাসের শেষে নিজের পারফরমেন্স এ ভালই জমতে থাকে। তার দরুন স্কুল থেকে যাওয়া শুরু করলাম বিভিন্ন কর্পোরেশন এ, ব্রিটিশ না হওয়ার পরেও পুরো দমে ইংরেজি related সমস্ত ট্রেনিং কোর্স কন্ডাক্ট করতে শুরু করি। বিভিন্ন অভিজ্ঞ মানুষের নিকটে দেখতে শুরু করি কিভাবে পুরো সিস্টেম কাজ করছে। এভাবে চলতে চলতে আজ কাজ করছি volkswagen এর regional office এ, তবে software engineer হিসেবে, ইংরেজি শিক্ষক হিসেবে নয় আর। আর বন্ধু হাসান ডেনমার্ক ভিত্তিক একটি কোম্পানি তে কাজ করছে স্থায়ি ভাবে, software engineer হিসেবে।
পড়বার কিংবা বর্তমানে কাজ করছি শুধু এই সময়ে দরকার ছিল একটি বাসস্থানের। সেই সামার ক্যাম্প এর চেনা জানা কিংবা অফিস এর মানুষেরাই খুজে বের করে দেয় বাসস্থান। এক ৭০ বছর বয়স্ক মহিলা একাই থাকে এক বাড়িতে তিন রুম নিয়ে, আমি এক রুম নিব। পরিবারের বাকি সবাই নিচ তলায় থাকে। নানি র কথা মনে পরে গেল, কিন্তু বুঝতে পারছিলাম না কিভাবে থাকব কারন উনি ইংরেজি র ই ও জানেননা। কিন্তু মনে ছিল সিটি সেন্টার থেকে দূরে এরকম প্রাকৃতিক পরিবেশ হাতছাড়া করা যাবেনা। তাই আস্তে আস্তে উনি এবং উনার ছেলে বা তার পরিবার ও চিনলাম। কাছ থেকে থেকে একটা টিপিকাল পোলিশ ফ্যামিলি কিভাবে বাস করে, এবং কি ভাবে জীবন যাপন করে দেখবার সৌভাগ্য হয়। দীর্ঘ ১ বছরে আমার কখনও মনে হয়নি আমি আমার মা বাবা থেকে দূরে, কারন আমি পরিবারেই আছি। নতুন পরিবার যারা আমাকে কখনও পর ভাবতে দেয়নি। তবে তার কারন আমি ভাষা না বুঝলেও কথা বলতে চাইতাম, কোন কিছু শিখবার আগ্রহ ছিল। অতদঞ্চলে কোন ফরেনার এ জনমে থাকেনি, মানুষ প্রথম তাকিয়ে থাকত হা করে। কিন্তু ধীরে ধীরে মানুষের মন জয় করা নিজের ব্যবহার এবং সৎ আচরনের কারনে। এখন নিজেকে মনে হয় আমি এদের ই একজন।
সম্পর্ক এমন এক জিনিস যা আপনাকে অর্থ কড়ি থেকেও বেশি কিছু দিবে। পড়াশুনা কিংবা চাকরি শেষে আমার তৃপ্তির কারন আমার সম্পর্ক গুলো। মাঝে মাঝে মনে হয় অর্ধেক শহরের মানুষ আমি চিনি, যেখানেই যাই আমার পরিচিত মানুষ পাই। হয়ত কোন ছোট বাবু কে পরিয়েছি, তার গার্ডিয়ান আমাকে চিনে। কিংবা কোন ছাত্র যার ফ্যামিলি তে দাওয়াত এ যেয়ে সারা রাত গল্পে কাটিয়েছি। মনেই হয়নি কিভাবে কেটে গেল এতগুলো সময়। রেসিসম এর স্বীকার হইনি তা নয়, বরং ভালো লেগেছে ওই পরিচিত মানুষ গুলোই সেই মুহূর্তে প্রতিবাদে ঝাঁপিয়ে পরেছে। ভার্সিটির international office এর সেক্রেটারি যেভাবে সাপোর্ট করেছে আমার মনে হয় না কোন ভার্সিটি এত সাপোর্ট দেয়(ভর্তি অব্দি ৭০ টি মেইল আদান প্রদান)। কিংবা মাইগ্রেসন তথ্য দিয়ে সাহায্য করা সেই তরুণী, যাকে দেখে মনেই হয়নি একটা সরকারি অফিস এ ফ্রি এত সুন্দর সাহায্য পাওয়া সম্ভব।
খারাপ অভিজ্ঞতা জানতে চাইলে বলব অনেকের সমস্যা হবে সম্পর্ক খুজে পেতে। তবে পোল্যান্ড এ চাকরির ধান্দা র থেকে বেশি জরুরি সম্পর্ক। আর উন্মুক্ত চিন্তা। খাবার এর বেলায় সমস্যা হালাল খাবার পাওয়া। আর যেকোনো গেদারিং এ এলকোহল, থাক আর না গেলাম বাড়তি তে। হেলথ কেয়ার জঘন্য এমন ও হতে পারে ৭ দিন বসে আছেন ডাক্তার এর আসায়, appointment দিবেনা। ভাষা সবথেকে বড় সমস্যা যদি না জানেন। আর কেউ যদি বলে সে ইংরেজি ভাষা জানে তাতেও খুশি হবার অবকাশ নেই। এই ইংরেজি yes/no/very good ও হতে পারে, আবার expert level ও হতে পারে। সেটেলমেন্ট খুব কম খরচে সম্ভব কথা সত্যি, কিন্তু কাজ খুজে পাওয়া এবং তাতে সন্তুষ্ট থাকা একান্ত আপনার ব্যাক্তিগত ব্যাপার। আমি কাজ করছি একাই, পুরো অফিস এলাকায় আমি আজ অব্দি কোন ফরেনার দেখিনাই(কিজানি চোখে কম দেখি কিনা)।
আরও কিছু মনে আসলে পরে লেখা যাবে। পোল্যান্ড নিয়ে ব্যাক্তিগত অভিজ্ঞতা একেক জনের একেক রকম। কিন্তু কিছু advice - না দিলেই নয়...... পড়া বাদে অন্য কোন উদ্দেশ্যে না আসাই ভালো। এবং জেনে বুঝে পা বাড়ানো। এক বাঙালি ভাই গত মাসে বাসা খুজে বেরাচ্ছিল। বললাম এলাকায় আমি বন্ধু কে বলে দিব কিন্তু রাতে নারী বন্ধু আনা সম্ভব নয়। উনার তাতে পছন্দ হয়নি। একটি জায়গায় থেকে সম্পর্ক ভালো করাটা বেশি জরুরি মনে করেছি সবসময়, নারী মতলবে নষ্ট হওয়া লোকের উদাহারন আমার হাতে অগনিত। স্টাডি নিয়ে ভিডিও দেয়া মানুষ(অনলাইন এ পপুলার ভাই ব্রাদারস) ও পোলিশ নারী র পিছনে টাকা উজার করে দিল শুধু বিয়ের আসায়, কিন্তু সে আশায় গুরেবালি। এখন এগুলো অনেক কঠিন এবং ভুল করার সম্ভাবনা ই বেশি। অতএব জেনে বুঝে কাজ করবেন কি করছেন।
পোল্যান্ড এ স্বাগতম। কোন ব্যাক্তিগত দরকারে গ্রুপ এ পোস্ট করলে কৃতজ্ঞ থাকব, ব্যাক্তিগত মেসেজ নয় দয়া করে।
সর্বশেষ এডিট : ১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৩:৩৯
৩টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

কুরসি নাশিন

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৯ শে মে, ২০২৪ সকাল ১১:১৫


সুলতানি বা মোগল আমলে এদেশে মানুষকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছিল৷ আশরাফ ও আতরাফ৷ একমাত্র আশরাফরাই সুলতান বা মোগলদের সাথে উঠতে বসতে পারতেন৷ এই আশরাফ নির্ধারণ করা হতো উপাধি... ...বাকিটুকু পড়ুন

বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন আর আদর্শ কতটুকু বাস্তবায়ন হচ্ছে

লিখেছেন এম ডি মুসা, ১৯ শে মে, ২০২৪ সকাল ১১:৩৭

তার বিশেষ কিছু উক্তিঃ

১)বঙ্গবন্ধু বলেছেন, সোনার মানুষ যদি পয়দা করতে পারি আমি দেখে না যেতে পারি, আমার এ দেশ সোনার বাংলা হবেই একদিন ইনশাল্লাহ।
২) স্বাধীনতা বৃথা হয়ে যাবে যদি... ...বাকিটুকু পড়ুন

কৃষ্ণচূড়া আড্ডার কথা

লিখেছেন নীলসাধু, ১৯ শে মে, ২০২৪ দুপুর ১:০২



গতকাল পূর্ব নির্ধারিত কৃষ্ণচূড়ায় আড্ডায় মিলিত হয়েছিলাম আমরা।
বছরের একটি দিন আমরা গ্রীষ্মের এই ফুলটির প্রতি ভালোবাসা জানিয়ে প্রকৃতির সাথে থাকি। শিশুদের নিয়ে গাছগাছালি দেখা, ফুল লতা পাতা চেনাসহ-... ...বাকিটুকু পড়ুন

সকাতরে ঐ কাঁদিছে সকলে

লিখেছেন হাসান মাহবুব, ১৯ শে মে, ২০২৪ বিকাল ৩:২৯

সকাতরে ওই কাঁদিছে সকলে, শোনো শোনো পিতা।

কহো কানে কানে, শুনাও প্রাণে প্রাণে মঙ্গলবারতা।।

ক্ষুদ্র আশা নিয়ে রয়েছে বাঁচিয়ে, সদাই ভাবনা।

যা-কিছু পায় হারায়ে যায়,... ...বাকিটুকু পড়ুন

বসন্ত বিলাসিতা! ফুল বিলাসিতা! ঘ্রাণ বিলাসিতা!

লিখেছেন নাজনীন১, ১৯ শে মে, ২০২৪ বিকাল ৪:০৯


যদিও আমাদের দেশে বসন্ত এর বর্ণ হলুদ! হলুদ গাঁদা দেখেই পহেলা ফাল্গুন পালন করা হয়।

কিন্তু প্রকৃতিতে বসন্ত আসে আরো পরে! রাধাচূড়া, কৃষ্ণচূড়া এদের হাত ধরে রক্তিম বসন্ত এই বাংলার!

ঠান্ডার দেশগুলো... ...বাকিটুকু পড়ুন

×