প্রসঙ্গ: ‘শাহনাজ আপার বাইক’ ও ‘পুরুষের সেক্সুয়াল ফিলিংস’; মনোবিজ্ঞান কী বলে??
এক সময় নর্তকীদের ভাড়া করা হত রাজা-বাদশাহদের মনোরঞ্জনের জন্য। আজ সেই নর্তকীগুলো নায়িকা-গায়িকা অর্থাৎ মনোরঞ্জন করা প্রতিষ্ঠিত একটা পেশা হয়ে দাঁড়িয়েছে।
বিভিন্ন দেশে পতিতাবৃত্তিও প্রতিষ্ঠিত একটা পেশা হয়ে গেছে। সেখানে পতিতাবৃত্তির বিরুদ্ধে বলা যায় না। সম্প্রতি এটা বাংলাদেশে নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
যাই হোক, শাহনাজ আপার কথা বলছিলাম। ইলেক্ট্রিক ও সোসাল মিডিয়ায় তাকে নিয়ে খুব মাতামাতি হচ্ছে। বুঝে না বুঝে সবাই তাকে সাহসী বাইকার, নারী-পুরুষ সবাইকে তার বাইকের পেছনে উঠান’ এজন্য তার ব্যাপক প্রশংসা করা হচ্ছে।
সাইকোলজির গবেষণায় বেরিয়ে এসেছে যে, “মানুষ অপরাধ প্রবণ; আর মেয়েদের প্রতি ছেলেদের আকর্ষন স্বাভাবিক। মেয়েদের প্রতি পুরুষের আকর্ষণ না থাকাটা এক ধরনের রোগ বিশেষ”।
প্রশ্ন হচ্ছে- যখন শাহনাজ আপার স্ক্রুটির পেছনে একটা পুরুষ বসে তখন শাহনাজের বডির পেছন দিকটাই পুরুষটির বডির স্পর্শ পায়। বলুন তো তখন এ পুরুষের অনুভূতিটা কেমন হয়ে যায়?? আর শাহনাজেরও তো অনুভূতি শক্তি আছে।
মনোবিজ্ঞানি ফ্রয়েড তার “সাইকো এনালাইটিক থিউরি”তে নারী পুরুষের এই আকর্ষণ থাকার ব্যাপারটা বিস্তারিত আলোচনা করেছে। এমন কি সে বলেছে- “নারীর স্পর্শে একটা ছোট বাচ্চারও সেক্সুয়াল ফিলিংস জাগে।”
শাহনাজ আপা যদি শুধু মেয়েদের তার পেছনে চড়াতেন তাহলে আমি কিছুই লিখতাম না। কিন্তু সমস্যাটা হচ্ছে- সে পুরুষদেরও তার পেছনে চড়ায়।
সাইকোলজিতে ‘মেমোরি’ নিয়ে অনেক গবেষণা হয়েছে। বলা হয়েছে যে, নারী পুরুষের স্পর্শ সম্পর্কিত মেমোরিগুলো বেশি দিন স্থায়ী হয় এবং এই স্পর্শ সময়ে-অসময়ে পুরুষের কামভাব অনেক বেশি পরিমাণে জাগিয়ে তোলে। তখন পুরুষ হয়তো তার এই কামভাব মৈথুন করে প্রশমিত করার চেষ্টা করে অথবা অন্য কোনো অবৈধ উপায়ে। এর চূড়ান্ত ফলাফল হল- ‘নারী টিজিং ও ধর্ষণ’।
শাহনাজের স্ক্রুটিটি কিন্তু একটা পুরুষ ছিনতাই করেছিল যাকে তার পেছনে বসিয়েছিল।
শাহনাজ তার পরিবার চালানোর জন্য অন্য কোনো পেশা বেছে নিতে পারতেন। কিন্তু সেটা না করে তিনি তার পেছনে পুরুষদের বসিয়ে ঠিক ঐ নর্তকীদের মতেই মনোরঞ্জনের মত একটা কাজ করছেন, যদিও এটা অন্যভাবে। শাহনাজ আপার উদ্দেশ্য কেমন সেটা জানি না, তবে একটা মেয়ের পেছনে পুরষকে চড়ানো স্বাভাবিক হতে পারে না। কোনো চরিত্রবান ও ভাল মেয়ে এটা করতে পারে না।
শাহনাজের উদ্ধেশ্য যাই থাক না কেন, দেশের ইহিদীবাদী মিডিয়াগুলো কিন্তু শাহনাজকে মারকেটিং করে নারীর পেছনে পুরুষের বসাকে স্বাভাবিক করার অপচেষ্টা করছে। অথচ স্ক্রুটিতে বসলে স্পর্শ লাগে, এত সেক্সুয়াল ফিলিংস অনুভূত হয় ও কামভাব জাগে যার চূড়ান্ত ফলাফল হল- ‘মৈথুন, নারী টিজিং ও ধর্ষণ’- মনোবিজ্ঞানীরা এমনটাই বলেছেন, এবং এটাই সত্যি।
কাজেই শাহনাজের বাইক চোরের শাস্তি হোক, পাশাপাশি নারীদের এসব পেশাকে নিরুৎসাহিত করা হোক, নইলে সমাজে ‘নারী টিজিং ও ধর্ষণ’ বেড়ে যাবে এতে সন্দেহ নেই।