somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

আত্মকথন – ২

২৭ শে জুন, ২০১০ বিকাল ৫:৩৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

27th june,10
1721



আজকের আবহাওয়াটা বেশ । অবশ্য বিলেতে একেই বোধহয় bad weather বলা হয় !
আমি কিন্তু এরকম আবহাওয়াই পছন্দ করি । মেঘে ঢাকা আকাশ । বইছে শীতল বাতাস । আকাশে মেঘেরা গর্জন করছে । এখনই নামবে বৃষ্টি ।


“তুমি চাইলে বৃষ্টি
মেঘও ছিল রাজি
অপেক্ষা শুধু বর্ষণের
মাতাল হাওয়া বইছে
বৃষ্টি তোমার আহবান”



আজও ঘুম থেকে বেলা করেই উঠেছি । উঠেই দেখলাম ভেজা আবহাওয়া । প্রকৃতি কাঁদছে । আনন্দে নাকি বিষাদে ?

বৃষ্টি পুরনো স্মৃতি মনে করিয়ে দেয় । খুব বেশি পুরনো অবশ্য না ।



এ বছরেই । সেদিন বছরের প্রথম বৃষ্টিতে ভেজা ।

বিকেল বেলা । বন্ধুরা মিলে আড্ডা দিচ্ছিলাম এক জায়গাতে বসে । ধীরে ধীরে কখন যে চারপাশ আঁধার হয়ে আসতে শুরু করল কেউ বুঝতে পারিনি । যখন বুঝতে পারলাম একটূ যেন খুশিই হলাম আমি । অনেকদিন বৃষ্টিতে ভিজিনা । আজ অবশ্যই ভিজব । অন্যদের দিকে তাকালাম , আর কারো সেরকম আগ্রহ দেখলাম না । তারা বেশিরভাগই নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে চিন্তিত । একজন কে দেখলাম ব্যতিক্রম । বৃষ্টিতে ভিজবার জন্য অধীর আগ্রহে বসে আছে । আশায় দুলে উঠল মন । বৃষ্টিতে ভিজবার আশায় ? নাকি তার সাথে একসাথে ভিজবার আশায় ? তখনো জানিনা । নাকি জানি ?

একটু পর শুরু হল দমকা হাওয়া । বেশ জোরেই । ধুলো উড়তে শুরু করল । বাতাস পারলে আমাদের কেও উড়িয়ে নেয় আরকি ! বৃষ্টিতে ভেজার চিন্তা মাথায় উঠল । ধুলো থেকে বাঁচার জন্য একটা আশ্রয় খুজতে শুরু হল ছোটা । সেও ছুটতে থাকল । আর আমি থাকলাম তার পাশে পাশে । আশ্রয় একটা মিলল বটে একসময় । কিন্তু সেখানে মন টিকছিল না , আমার বা তার ।

বাইরে তখন প্রচন্ড ঝড় হচ্ছে । সে উঠল । আমি উঠলাম । সবাই উঠল । বের হলাম । সিক্ত হলাম বারিধারায় । বৃষ্টির সাথে শীলাও পড়ছিল । সেই শীলা রাস্তায় যেন সাদা রঙের গালিচা পেতে দিয়েছে ।

এরই মাঝে জরুরি দাক এল তার । আরেক জায়গাতে যেতে হবে , দূরে না কাছেই । সেখানে নাকি তার বোন সমস্যায় পড়েছে । গেলাম । দেখলাম তেমন কিছু হয়নি । শুধু একটু উৎকণ্ঠাই । ওর বোঙ্কে এগিয়ে দিতে গেল । আমিও গেলাম । ফেরার বেলায় শুধু আমি আর সে । একসাথে বৃষ্টির মাঝে রাস্তায় হাঁটা ।

সেদিন প্রথম বৃষ্টিতে ভেজা তার সাথে । প্রথম এতটা কাছে যাওয়া । যদিও তার অজান্তেই । কখনো ভাবিনি তার সাথে একসাথে বৃষ্টিতে ভিজতে পারব । কেন যেন হাতটা ধরতে ইচ্ছে করে । কিন্তু ইচ্ছে পর্যন্তই । হাতটা আর ধরা হয় না । কিছু একটা বলতে গিয়েও বলা হয় না । ভয় । যদি প্রত্যাখ্যাত হই ? যদি আর কখনো তাকে না পাই ?

আধঘণ্টা সেদিন তার সাথে বৃষ্টিতে ভিজেছিলাম । সেটা ছিল আমার জ়ীবনের সেরা আধঘণ্টা । কোনদিন তাকে একথা বলা হয়নি । কখনো বলতে পারব কিনা তাও জানিনা ।

মনটা কেমন যেন বিষণ্ন এখন । কেন যেন খুব অস্থির লাগছে । মন বসাতে পারিনা কোন কিছুতেই ।


সাদা রঙের স্বপ্নগুলো দিল নাকো ছুটি
তাইতো আমি বসে একা
ঘাস্ফুলেদের সাথে
আমি একাই কথা বলি
ঘাসফুলগুলো সব ছন্নছাড়া



সে যাক । ভুলে থাকার চেষ্টা করাই বোধহয় ভালো হবে । সফল হলাম কিনা সেটা পরে ধেখা যাবে ।

আজকে এই আবহাওয়াতে বের হতে খুব ইচ্ছে হচ্ছিল । কিন্তু বিধিবাম , তিন বছর পর কিনা আজকেই হরতাল দিতে হল । আর বাসা থেকে বের হবার উপর জারি হল নিষেধাজ্ঞা । so বাসায় বসেই যতটুকু পারা যায় উপভোগ করার চেষ্টা করছি ।

আজ খেলা দেখব ভাবছি । ভাবছি কেন , দেখব অবশ্যই । আজ যে Germany এর খেলা । প্রিয় দল Italy বাদ পড়ে গেছে । এখন Germany এর দিকেই তাকিয়ে আছি । খেলা দেখব । electricity থাকলেও দেখব , না থাকলেও দেখব ।


চেষ্টা করছি ভালো থাকার । পারব কি ?
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আমি আর এমন কে

লিখেছেন রূপক বিধৌত সাধু, ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৪:১৩


যখন আমি থাকব না কী হবে আর?
থামবে মুহূর্তকাল কিছু দুনিয়ার?
আলো-বাতাস থাকবে এখন যেমন
তুষ্ট করছে গৌরবে সকলের মন।
নদী বয়ে যাবে চিরদিনের মতন,
জোয়ার-ভাটা চলবে সময় যখন।
দিনে সূর্য, আর রাতের আকাশে চাঁদ-
জোছনা ভোলাবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

২০২৪ সালের জুলাই মাস থেকে যেই হত্যাকান্ড শুরু হয়েছে, ইহা কয়েক বছর চলবে।

লিখেছেন জেন একাত্তর, ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:৪৭



সামুর সামনের পাতায় এখন মহামতি ব্লগার শ্রাবনধারার ১ খানা পোষ্ট ঝুলছে; উহাতে তিনি "জুলাই বেপ্লবের" ১ জল্লাদ বেপ্লবীকে কে বা কাহারা গুলি করতে পারে, সেটার উপর উনার অনুসন্ধানী... ...বাকিটুকু পড়ুন

রাজাকার হিসাবেই গর্ববোধ করবেন মুক্তিযোদ্ধা আখতারুজ্জামান !

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১১:১৮


একজন রাজাকার চিরকাল রাজাকার কিন্তু একবার মুক্তিযোদ্ধা আজীবন মুক্তিযোদ্ধা নয় - হুমায়ুন আজাদের ভবিষ্যৎ বাণী সত্যি হতে চলেছে। বিএনপি থেকে ৫ বার বহিস্কৃত নেতা মেজর আখতারুজ্জামান। আপাদমস্তক টাউট বাটপার একজন... ...বাকিটুকু পড়ুন

চাঁদগাজীর মত শিম্পাঞ্জিদের পোস্টে আটকে থাকবেন নাকি মাথাটা খাটাবেন?

লিখেছেন শ্রাবণধারা, ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:৫৭


ধরুন ব্লগে ঢুকে আপনি দেখলেন, আপনার পোস্টে মন্তব্যকারীর নামের মধ্যে "জেন একাত্তর" ওরফে চাঁদগাজীর নাম দেখাচ্ছে। মুহূর্তেই আপনার দাঁত-মুখ শক্ত হয়ে গেল। তার মন্তব্য পড়ার আগেই আপনার মস্তিষ্ক সংকেত... ...বাকিটুকু পড়ুন

ধর্মীয় উগ্রবাদ ও জঙ্গী সৃষ্টি দিল্লী থেকে।

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৩:১৫


((গত ১১ ডিসেম্বর ধর্মীয় উগ্রবাদ ও জঙ্গী সৃষ্টির ইতিবৃত্ত ১ শিরোনামে একটা পোস্ট দিয়েছিলাম। সেটা নাকি ব্লগ রুলসের ধারা ৩ঘ. violation হয়েছে। ধারা ৩ঘ. এ বলা আছে "যেকোন ধরণের... ...বাকিটুকু পড়ুন

×