somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

আত্মকথন -৬

১৩ ই জুলাই, ২০১০ রাত ১১:০৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

13th july,10
2250




আজ অনেকদিন পর আবার লিখতে বসলাম ।


একদিন কেন লিখিনি ?

আসলে হয়ে ওঠেনি ?

নাকি লিখতে ইচ্ছে হয়নি ?

নাকি লিখবার সুযোগ পাইনি ? লিখতে পারিনি ?

নাকি লিখতে ভুলে গিয়েছিলাম ?



যেকোন কিছুই হতে পারে । আবার হয়তো এগুলির কোনটাই আসল কারন নয় । আসলে কেন এইকদিন লিখিনি সেটা খুব বেশি important না ।
নাকি important ?



World cup football শেষ হল । নতুন এক champion দেখলাম এবার ।

মন খারাপ হয়েছিল semifinal দেখে । স্পেন জার্মানিকে কোন সুযোগ না দিয়েই match টা হেসে-খেলে জিতে নিল । পুরো tournament এ যে জার্মানিকে দেখলাম , semifinal এ গিয়ে তাদেরকে আর খুঁজেই পেলাম না । match এ ছিল অবশ্য খানিক সময় , কিন্তু তা যথেষ্ট ছিল না । নির্ধারিত সময় শেষে হতাশাজনক একটা পরাজয়ই কেবল দেখা গেল । তৃতীয় স্থান নির্ধারনী match এ অবশ্য জার্মানিকে পাওয়া গিয়েছিল । খর্বশক্তির জার্মানিই হারিয়ে দিল উরুগুয়েকে । সান্ত্বনাসূচক তৃতীয় স্থান পেল তারা আরকি । আরেকটা সান্ত্বনা পেলাম মুলার golden boot পাওয়াতে ।

এরপর আর final match এ আমার তেমন আগ্রহ ছিলনা । তবুও final বলে কথা । দেখলাম । দেখলাম স্পেন এর জয় । জয়ের পর ক্যাসিয়াসের আনন্দের কান্না । নেদারল্যান্ডের এত কাছে এসেও না পাবার কান্না । স্প্যানিশদের বিজয়ের আনন্দ । Europe champion রা এবার বিশ্বটাকেও জয় করে নিল ।



World cup তো শেষ । এবার ? এবার কি নিয়ে বাঙ্গালী আবার মাতামাতি করবে ?


English দেরকে বাংলাদেশ প্রথমবারে মত যেকোন ধরণের cricket এ হারালো । দেখে ভালো লাগল । কিন্তু আসল চিত্র পরের match এই আবার দেখা গেল । এরা বাঘের বাচ্চাই রয়ে গেল । বাঘ আর হলনা ।



আজও বরাবরের মতই দুপুরবেলা ঘুম থেকে উঠলাম । তিনটের পর আর ভালো লাগছিল না । মন খুব খারাপ ছিল । একটু refreshment এর দরকার class এও যেতে পারবনা আজ । maths করা সম্ভব না । ডাক দিলাম এক বন্ধুকে । এলো । কিন্তু ঘরে ভালো লাগেনা । শেষে বের হলাম বাসা থেকে । কিন্তু কোথায় যাব জানিনা তখনো । অবশেষে ঠিক করলাম হাঁটাই বড়ং ভালো । শুরু করলাম উদ্দেশ্যবিহীনভাবে হাঁটা । শুরুতে হাঁটতে খারাপ লাগছিলনা । একটু যেন ভালোই লাগছিল । কিন্তু কিছু সময় পরেই শুরু হল বিপত্তি । রাস্তায় জায়গায় জায়গায় কাদা জমে আছে । তার সাথে আছে পানি । একসাথে কাদা-পানি । এই কাদা-পানি থেকে নিজেকে বাঁচিয়ে হাঁটতে থাকলাম । রাস্তায় অনেকের সাথেই দেখা হল । দাঁড়িয়ে কথা হল । কিন্তু হাঁটা আর থামল না । হাঁটতে হাঁটতেই চলে গেলাম আমার school এর সামনে । মানে s.s.c পরীক্ষার আগে শেষ যেই school এ পড়েছি আর কি ! আল্লাহর দয়ায় school কম পাল্টাইনি । যাহোক , school এর সামনে গিয়ে কি মনে হল ভাবলাম ভেতর থেকে ঘুরে আসি । অনেকদিন যাওয়া হয়না । আজ একটু ঘুরে দেখা হবে । তো গেলাম ভেতরে ।

অনেকদিন পর school এ ঢুকে ভালই লাগল । সেই পরিচিত school gate , building , মাঠ , corridors , classrooms , পরিচিত মুখগুলি । সেই পরিচিত school uniform এ ছাত্ররা , যেই uniform এ এক সময় আমিও class করেছি । সেই পরিচিত corridors যেখান দিয়ে একসময় আমিও হেঁটেছি , দৌড়েছি । সেই পরিচিত classrooms , benches , যেখানে বসে class করেছি । দেখলাম ছেলেরা এখনো বোতল দিয়ে football খেলে । পরিবর্তনও চোখে পড়ল কিছু । দেখলাম সব ছাত্রের গলাতেই ID card ঝুলছে । আমাদের সময় ID card কি জিনিস তাই জানতাম না । school building অনেক জায়গাতেই অসমাপ্ত ছিল । সেসব জায়গার কাজ দেখলাম ভালোভাবেই শেষ হয়েছে । building এর গায়ে নম্বর দেয়া হয়েছে । এমনকি gate গুলোতেও নম্বর দেয়া দেখলাম । hostel টা আলাদা করা হয়েছে একটা gate দিয়ে । ছোট ছোট অনেক পরিবর্তনই দেখলাম । তবু সব মিলিয়ে যেন সেই আগের school টাকেই খুঁজে পেলাম ।

খুব বেশি nostalgia তে আক্রান্ত হবার আগেই বেরিয়ে এলাম school থেকে । আবার হাঁটা শুরু করলাম । আবাএ সেই কাদা বাঁচিয়ে হাঁটা । পথে এক মসজিদে নামায পড়ে নিলাম । এরপর হাঁটতে হাঁটতেই চলে গেলাম ধানমন্ডিতে । সেখানে আরেকজনকে পাওয়া গেল । ক্ষুধা ছিল । এক জায়গাতে বসে তিনজন তেহারি খেলাম । এরপর গেলাম pool খেলতে । সেখানে আরো অনেককে পাওয়া গেল । খানিক্ষণ খেললাম । আড্ডা দিলাম । এরপর আবার বের হলাম । এবারো হাঁটতেই থাকলাম । তবে এবার হেঁটে বাসাতে ফিরলাম ।



মোটামোটি এই হচ্ছে আজকের diary ।



খুব একটা খারাপ না ।



এখন বাকি সময় কি হয় দেখা যাক ।





নীল.১৭
সর্বশেষ এডিট : ১৩ ই জুলাই, ২০১০ রাত ১১:১১
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আমি আর এমন কে

লিখেছেন রূপক বিধৌত সাধু, ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৪:১৩


যখন আমি থাকব না কী হবে আর?
থামবে মুহূর্তকাল কিছু দুনিয়ার?
আলো-বাতাস থাকবে এখন যেমন
তুষ্ট করছে গৌরবে সকলের মন।
নদী বয়ে যাবে চিরদিনের মতন,
জোয়ার-ভাটা চলবে সময় যখন।
দিনে সূর্য, আর রাতের আকাশে চাঁদ-
জোছনা ভোলাবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

২০২৪ সালের জুলাই মাস থেকে যেই হত্যাকান্ড শুরু হয়েছে, ইহা কয়েক বছর চলবে।

লিখেছেন জেন একাত্তর, ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:৪৭



সামুর সামনের পাতায় এখন মহামতি ব্লগার শ্রাবনধারার ১ খানা পোষ্ট ঝুলছে; উহাতে তিনি "জুলাই বেপ্লবের" ১ জল্লাদ বেপ্লবীকে কে বা কাহারা গুলি করতে পারে, সেটার উপর উনার অনুসন্ধানী... ...বাকিটুকু পড়ুন

রাজাকার হিসাবেই গর্ববোধ করবেন মুক্তিযোদ্ধা আখতারুজ্জামান !

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১১:১৮


একজন রাজাকার চিরকাল রাজাকার কিন্তু একবার মুক্তিযোদ্ধা আজীবন মুক্তিযোদ্ধা নয় - হুমায়ুন আজাদের ভবিষ্যৎ বাণী সত্যি হতে চলেছে। বিএনপি থেকে ৫ বার বহিস্কৃত নেতা মেজর আখতারুজ্জামান। আপাদমস্তক টাউট বাটপার একজন... ...বাকিটুকু পড়ুন

চাঁদগাজীর মত শিম্পাঞ্জিদের পোস্টে আটকে থাকবেন নাকি মাথাটা খাটাবেন?

লিখেছেন শ্রাবণধারা, ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:৫৭


ধরুন ব্লগে ঢুকে আপনি দেখলেন, আপনার পোস্টে মন্তব্যকারীর নামের মধ্যে "জেন একাত্তর" ওরফে চাঁদগাজীর নাম দেখাচ্ছে। মুহূর্তেই আপনার দাঁত-মুখ শক্ত হয়ে গেল। তার মন্তব্য পড়ার আগেই আপনার মস্তিষ্ক সংকেত... ...বাকিটুকু পড়ুন

ধর্মীয় উগ্রবাদ ও জঙ্গী সৃষ্টি দিল্লী থেকে।

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৩:১৫


((গত ১১ ডিসেম্বর ধর্মীয় উগ্রবাদ ও জঙ্গী সৃষ্টির ইতিবৃত্ত ১ শিরোনামে একটা পোস্ট দিয়েছিলাম। সেটা নাকি ব্লগ রুলসের ধারা ৩ঘ. violation হয়েছে। ধারা ৩ঘ. এ বলা আছে "যেকোন ধরণের... ...বাকিটুকু পড়ুন

×