১) পরীক্ষার আগের রাতে আব্বু/আম্মু ফোন করে জিগ্যেস করেন যে প্রিপারেশন কেমন? কি করতেছ?
বিনা দ্বিধায় ফেসবুকে স্ট্যাটাস পড়ারত অবস্থায় বলি "পড়তেছি"
২) পরীক্ষা শেষে আব্বু আম্মুর ফোন, "কেমন হলো?"
মনে মনে একটু আগে দিয়ে আসা আড্ডার কথা স্মরণ করে উত্তর দেই, " ভালো হয়েছে বেশ"
৩) পরীক্ষার হলে খাতা পেয়ে কত দ্রুততার সাথে লিখি?
প্রথম দুই মিনিট। নাম, ডিপার্টমেন্ট, সাব্জেক্তের নাম, কোর্সের নাম খুব তাড়াহুড়ো করে লিখি যেন আমার প্লেন ছুটে যাচ্ছে
৪) এরপর... ?
Ans to the ques no লিখি, ওটাকে সবুজ কালি দিয়ে আন্ডারলাইন করি
তারপর প্রশ্নে যা চেয়েছে তার হেডলাইন লিখে ওটাকে নীল কালি দিয়ে ঢেউয়ের মত দাগ দেই, এরপর প্রশ্নে যা দেয়া আছে সেগুলো সুন্দর হস্তাক্ষরে লিখি যাতে পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতায় পূর্ণ নাম্বার পাওয়া যায় (যদিও ভার্সিটি পরীক্ষা গুলোতে এই মার্ক্স থাকে না এবং এটা মেধাবীদের মেধা ধংস করার ব্রিটিশী ঔপনেবেশিক ষড়যন্ত্র)
এরপর পাতা উল্টাই, আগের মতন আবার ans to the ques.... এভাবেই চলতে থাকে...
৫) এরপর... ?
এভাবে সব লেখা শেষ হয়ে গেলে ঘড়ির কাঁটার দিকে তাকিয়ে অপেক্ষার প্রহর গুণি কখন দেড় ঘন্টা শেষ হবে কেননা দেড় ঘন্টার আগে হল থেকে বের হতে দেয় না ।
৬) অপেক্ষার প্রহরে কি করেন?
খাতার শেষ পৃষ্ঠায় কল্ম নিয়ে আমার এই সেমিস্টারের রেজাল্ট হিসাব করি ক্যালকুলেটর দিয়ে (এছাড়া ক্যালকুলেটর আমার কোন কাজেই লাগে না।)
৭) সময় কাটানোর জন্য আর কিছু করেন না?
হুম করি, মাঝেমধ্যে বসে ভাবি ফেসবুকে কি স্ট্যাটাস দিব কিংবা প্রশ্নের উপর পেন্সিল দিয়ে কবিতা লিখি; প্রেম্র কবিতা।
৮) যেমন ?
তুমি কেন
পরীক্ষার প্রশ্নের মত বর্ণহীন
লাল কালির মত যন্ত্রণা;অন্তহীন।
কিংবা
উড়ো পবনে তোমার কেশ ঘড়ির কাঁটার মত দোদুল্যমান
নয়নের মণিকোঠায় কালো কালির গাঢ়তায় আপ্রাণ !
৯) আর কিছু... ?
আরও আছে, এই ধরেন, পরীক্ষার হলে পানির পিপাসা না পাইলেও পানি খেতে ইচ্ছা করে খুব,
বাথরুমে অযথা গিয়ে চুলে পানি দেয়া।
যে এক্সট্রা পেইজ চায় মনে মনে তার দাদা-নানার বংশ উদ্ধার করা
যে আমার মত বসে আছে তাকে শতাব্দীর সেরা ব্যক্তি হিসেবে বসে বসেই শ্রদ্ধা জ্ঞাপন
১০) মাফ চাই...
বিঃ দ্রঃ লেখককে যদি একান্তই অভিনন্দন না জানিয়ে থাকতে পারছেন না বলেই মনে হয় তাহলে ফেবুতেই জানান
সর্বশেষ এডিট : ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:১১